পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

తీరితీ তাহাতে বস্থ মহাশয়ের কাজ বন্ধ হয় নাই। তিনি অস্কান্ত কারিকরকে শিখাইয়া লইয়াছিলেন। অস্থয়াপরবশ ঐ বৈজ্ঞানিকের নাম করিব না। তাহ! সহজে অমুমেয় । আচাৰ্য্য বস্থর আত্মসম্মানবোধ আচার্ষ্য বস্তু যখন প্রেসিডেন্সী কলেজে অধ্যাপক নিযুক্ত হন, তখন র্তাহাকে গবষ্মেন্ট ইংরেজ অধ্যাপকদের চেয়ে কম বেতন দিতে চান , তাহার কারণ, তিনি ভারতববীয় লোক। তিনি কম বেতন লইতে রাজী হন নাই, তিন বৎসর কোন বেতনই গ্রহণ করেন নাই। শেষে তাহার আত্মসম্মানবোধের জয় হয়—তিনি তিন বৎসরের পূরা বেতন একসঙ্গে পান। তিনি যখন কম বেতন লইতে রাজী না হইয়া বিনা বেতনে তিন বৎসর কাজ করিতেছিলেন, তখন উাহার খুবই অর্থঙ্কচ্ছতা ছিল ও তঞ্জনিত সংগ্রাম চলিতেছিল । আচাৰ্য্য বস্থর বিজ্ঞানের জন্য বিজ্ঞানানুসরণ ফাদার লাফো কলিকাতার সেন্ট জেভিয়াস কলেজের এক জন প্রসিদ্ধ বিজ্ঞানাধ্যাপক ছিলেন। তিনি একবার এক সভায় বলেন, ধে, জগদীশ চন্দ্র যদি তাহার বেতার যন্ত্রের পেটেণ্ট লইয়া ঐ বিষয়েই ব্যাপৃত থাকিতেন, তাহা হইলে মার্কোনীর পরিবর্তে তিনিই বেতারবার্তা প্রেরণের উদ্ভাবক ও পরিচালক বলিয়া প্রসিদ্ধ হইতেন, এবং, শুধু প্রসিদ্ধ নহে, প্রভূত ধনশালীও হইতেন। কিন্তু বিজ্ঞানের অনুশীলন দ্বারা ধনী হইবার ইচ্ছা তাহার ছিল না । তাহার অন্ত বহু যন্ত্রের পেটেণ্ট লইলেও তিনি ধনী হইতে পারিতেন । কোন কোন পাশ্চাত্য যন্থনিৰ্ম্মাতা কোম্পানী প্রভূত অর্থের বিনিময়ে র্তাহার কোন কোন বস্ত্ৰ নিৰ্ম্মাণ ও বিক্রয়ের একচেটিয়া অধিকার চাহিয়াছিল। কিন্তু তিনি তাহাতে রাজী হন নাই । র্তাহার কোন কোন পাশ্চাত্য বন্ধু তাহার আবিক্রিয়ার প্রাখম্যের প্রমাণ রক্ষার নিমিত্ত র্তাহার জন্য কোন কোন ধন্ত্রের পেটেণ্ট লইয়াছিলেন, কিন্তু তিনি তাহ ব্যবহার করেন নাই। র্তাহার অভিপ্রায় এই ছিল, ষে, তাহার জাবিক্রিয় ও যন্ত্রগুলি ধাহারযোগ্যতা ও ইচ্ছা আছে তিনিই মানবের জ্ঞানবৃদ্ধি ও কল্যাণের জন্ত ব্যবহার করুন। প্রশ্বাসী ১৩৪৪ তিনি মিতব্যয়িতার দ্বারা যাহা কিছু সঞ্চয় করিয়াছিলেন, তাহা বস্ব বিজ্ঞানমন্দিরের জন্য ব্যয় করিয়াছেন ও রাখিয়া গিয়াছেন এবং অস্তান্ত প্রতিষ্ঠান ও সৎকার্ষ্যের জন্ত দিয়া গিয়াছেন । এই সঞ্চিত ধনের পরিমাণ সতর লক্ষ টাকা । আচাৰ্য্য বস্থর বঙ্গভাষা ও সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ আচার্ষ্য জগদীশ চন্দ্র বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি অনুরাগী ছিলেন । র্তাহার একটি যন্ত্রের নাম রাখিয়াছিলেন “শোষণ-গ্রাফ” । তিনি বাংলা লিখিয়াছিলেন কম, কিন্তু যাহা লিথিয়াছিলেন, তাহা কবিত্বপূর্ণ, তাহার সাহিত্যিক উৎকর্ষ সুস্পষ্ট। ইংরেজী যাহা লিখিতেন—এবং ইংরেজী পুস্তক, প্রবন্ধ ও বক্তৃত বিস্তর লিখিয়াছিলেন, তাহাও সাহিত্যিক উৎকর্ষের জন্ম স্ববিদিত। বস্তুতঃ তিনি যদি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় আত্মনিয়োগ না করিয়া সাহিত্যের সেবায় জীবন যাপন করিতেন, তাহ হইলে বাংলা ও ইংরেজী উভয় ভাষাতেই মনোজ্ঞ, তেজোগর্ত, উদ্দীপনাপূর্ণ ও শক্তিসঞ্চারিণী রচনার দ্বারা সাহিত্যকে সম্পংশালী করিতে ও যশস্বী হইতে পারিতেন। g বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষৎ তাহাকে সম্মানিত সদস্ত মনোনীত করেন। পরে তিনি উহার সভাপতিও নির্বাচিত হইয়াছিলেন এবং এই পদের কাজ যোগ্যতার সহিত নিৰ্ব্বাহ করিয়াছিলেন। গবেষণার ব্যাঘাত হওয়ায় তিনি এই পদ ত্যাগ করেন। তিনি একবার বঙ্গীয় সাহিত্য-সম্মেলনের সভাপতি মনোনীত হন । র্তাহার অভিভাষণ ঐ সম্মেলনের অভিভাষণগুলির মধ্যে একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করিয়া अद्दिक्ष । - জামরা যত দূর জানি, প্রবাসীর সম্পাদক দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও সম্পাদিত “দাসী” নামক মাসিক পত্রিকার ১৮৯৫ খ্ৰীষ্টাব্দের এপ্রিল সংখ্যায় জগদীশচক্সের “ভাগীরথীর উৎস সদ্ধানে" শীর্বঙ্ক যে প্রবন্ধটি মুজিত হয়, তাহাই মাসিকপত্রে তাহার প্রথম রচনা। এই প্রবন্ধের কিয়দংশ নীচে উদ্ধৃত করিয়া জিতেছি। cनई छुई निम दङ् दम ७ निबिनकछे अडिकध कबिब्रl, जबt