পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ বিবিধ প্রসঙ্গ-প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের পঞ্চদশ অধিবেশন ৪৩৭ পরমার্থ চিন্তায় জগদীশ চন্দ্র জগদীশ চক্স ব্রাহ্মসমাজভূক্ত ছিলেন এবং স্বয়ং বৈদাস্তিক মত যেরূপ বুঝিতেন তদনুসারে বৈদাস্তিক ছিলেন। তিনি ও প্তাহার সহধৰ্ম্মিণী প্রাত্যহিক প্রাতঃকালীন উপাসনায় ব্রাহ্মসমাজের মুদ্রিত আরাধনা পাঠ করিতেন। প্রার্থনা তিনি কিংবা তাহার সহধৰ্ম্মিণী, ধেদিন মনের ভাব যেরূপ হুইত, সেইরূপ করিতেন। কবি রজনীকান্ত সেনের নিম্নমূত্রিত গানটি তাহার বিশেষ প্রিয় ছিল – কেন বঞ্চিত হব চরণে । আমি কত অাশা ক'রে ব'লে আছি, পাব জীবনে না হয় মরণে । আহা ! তাই যদি নাহি হবে গো,— পাতকী-তারণ-তরীতে তাপিত আতুরে তুলে না লবে গো,— হয়ে পথের ধুলায় অন্ধ, এসে দেখিব কি খেয়া বন্ধ ? তবে পারে বসে “পার কর” ব'লে পাপী কেন ডাকে দীন-শরণে ? আমি শুনেছি, হে তৃষাহারী ! তুমি এনে দাও তারে প্রেম অমৃত, ভূষিত যে চাহে বারি, তুমি আপন হইতে হও আপনার, যার কেহ নাই, তুমি আছ, তার, এ কি সব মিছে কথা ? ভাবিতে যে ব্যথা বড় বাজে, প্ৰভু মরষে । আচার্ধ্য বস্থ তাহার একটি বক্তৃতার শেবে বিশ্বের একত্ব সম্বন্ধে ইংরেজীতে ঋষিদের বাক্য বলিয়া যাহা বলিয়াছিলেন, তাহা কঠোপনিষদের নিম্নোদ্ধৃত শ্লোকের তাৎপৰ্য্য। “একো বশী সৰ্ব্বভূতাত্তরাত্মা একং রূপং বহুধা যঃ করোতি, তমাত্মস্থং যেহম্পশুস্তি ধীরাঃ, তেষাং সুখং শাশ্বতং নেতরেযাম্ ॥” “সৰ্ব্বভুতাস্তৱাক্স একেশ্বর যিনি আপনার এক রূপকে বছ করেন, তাহাকে ৰে ধীরের আত্মস্থ ( আপনাদের মধ্যে স্থিত ) দেখেন, তাহাদের মুখ শাশ্বত, অঙ্গদের নহে ।” বছর মধ্যে এককে যিনি জানেন, তিনিই সত্য জানিয়াছেন, অল্পের নহে, এই মর্শের উপনিষদবাক্য র্তাহার প্রিয় ছিল । বছর মধ্যে এই একের সন্ধান তিনি পাইয়াছিলেন। পরমাত্মার উপলব্ধির জন্ত কর্ণের পথ, রসামুভূতির পথ, ও জ্ঞানের পথ তাহার অধিগম্য ছিল, এবং তিনি তাহ অবলম্বন করিয়াছিলেন । ভিয়েনার অধ্যাপক হাম্মল মোলিশ ভিয়েনার স্থপ্রসিদ্ধ উদ্ভিদবিজ্ঞানবিং অধ্যাপক হান্স মোলিশ দেহত্যাগ করিয়াছেন। তিনি কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে ভারতবর্বে জাসিয়াছিলেন এবং বন্ধ-বিজ্ঞানমন্দিরে কয়েক অধ্যাপক হান্স মোলিশের প্রতিমূৰ্ত্তি মাস ছিলেন। তিনি যেমন বিজ্ঞান ও প্রতিভাবান গবেষক ছিলেন, মানুষটিও তেমনি সরল ছিলেন । তিনি ভারতীয় সভ্যতা, ভারতীয় খাদ্য পৰ্য্যস্ত, খুব ভালবাসিতেন। আচার্ধ্য জগদীশ চন্দ্রের কোন কোন যন্ত্র তিনি এরূপ বিস্ময়কর মনে করিতেন যে, বস্থ-বিজ্ঞানমন্দিরে সেই যন্ত্রগুলির পাশ দিয়া যাইবার সময় প্রতিবার নমস্কার করিতেন। তিনি ১৯২৯ সালের ১৩ই এপ্রিলের বিখ্যাত বিলাতী বৈজ্ঞানিক কাগজ নেচারে বস্থ-বিজ্ঞানমন্দিরের এবং আচার্ষ্য বস্থর আবিক্রিয়সমূহের অতি উচ্চ প্রশংসা করিয়াছিলেন। ভারতবর্ষে দীর্ঘকাল থাকিবার তাহার ইচ্ছা ছিল—হয়ত বরাবরই এখানে থাকিয়া যাইতেন । কিন্তু গ্রীষ্মপ্রধান দেশে তাহার স্বাস্থ্য খারাপ হইতে থাকায় তিনি স্বদেশে ফিরিয়া যান। তিনি আচার্ষ্য জগদীশ চক্সের প্রতি বিশেষ প্রীতিমান ও অচুরক্ত ছিলেন। এখন ভাবিতে ভাল লাগে উভয়ে পরলোকে মিলিত হইয়াছেন। প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের পঞ্চদশ অধিবেশন . আমরা ইতিপূৰ্ব্বে একাধিক বার লিখিয়াছি, এবার পাটনায় প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের অধিবেশন হইবে । स्रशिरवणत्न कि कि कांछ हद्देश्य, अछार्थन-मभिष्ठिब्र अवर অধিবেশনের কি কি কাজে কাহার নেতৃত্ব করিবেন, তাহাও छांनांन श्हेबांदह । 婚 -