পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ সত্যাগ্রহের দার্শনিক ভিত্তি ও কৌশল 8g@ করিয়া দেখিতে হইবে । সাম্রাজ্যবাদের ধ্বংস চাই, ধনতন্ত্রবাদের ধ্বংস চাই। কিন্তু যাহারা সেই প্রতিষ্ঠান চালাইতেছে সে-সব মানুষের নহে। কেননা, তাহারা যখন মানুষ তখন সত্যাগ্রহের দ্বারা আমরা তাহাদিগকে পরাস্ত করিতে পারিব ४द९ डांशंरभद्र झुनरब्र थमडञ्चवांभ ७ष६ जॉयॉछjवांटमब्र भङ সঙ্কীর্ণদ্বার্থ প্রতিষ্ঠান অপেক্ষা স্বমহান ও কল্যাণকর প্রতিষ্ঠান গড়িয়া তোলার শুভ ইচ্ছা জাগাইতে পারিব এই ভরসা এবং এই আশা সত্যাগ্রহীর অস্তরে থাকা দরকার । সত্যাগ্রহীকে মানুষের মন লইয়া কারবার করিতে হয়। সকল যোদ্ধাকেই তাহা করিতে হয়, কেননা, জয়পরাজয় শেষ পৰ্য্যস্ত মামুষের মনের ব্যাপার । সত্যাগ্রহী যেমন প্রথমতঃ সমস্ত মানুষকে এক জাতীয় বলিয়া বিবেচনা করেন, দ্বিতীয়তঃ, তিনি যেমন সকল মানুষকে শেষ পৰ্য্যস্ত ভাল করা যায় এই বিশ্বাস পোষণ করেন, তেমনই তিনি ইহাও একটি মূল নীতির মত মানেন যে, বুদ্ধির দ্বারা বা তর্কের দ্বারা মানুষের মনের সঙ্কীর্ণতা বা অন্ধত্ব ঘোচান যায় না । ষে-ব্যক্তি সাম্রাজ্যবাদ চালাইতেছে, যাহার সহায়তায় ধনতন্ত্রবাদ জগতে কায়েমী হইয়া আছে, তাহার দৃষ্টি আজ ছোট হুইয়া গিয়াছে। সে সমগ্র মামুষের একত্বে বিশ্বাস করে না, সমস্ত মানবসমাজের কল্যাণের ষে শেষ পৰ্য্যস্ত একটিমাত্র পথ আছে তাহাও সে মানে না। নিজের শ্রেণীর স্বার্থকেই সে বড় করিয়া দেখে, তাহাতেই তাহার দৃষ্টির গগন ছাইয়া যায়। এই মোহগ্ৰস্ত অবস্থা হইতে মানুষকে ৰুদ্ধির দ্বার দিয়া উদ্ধার করা যায় না । কেনন, তাহার বুদ্ধি ষণ্ডই তীক্ষু হউক না কেন, তাহা শুদ্ধ নয় । হয়ে স্বার্থের সংস্কার দৃঢ়ভাবে রহিয়াছে বলিয়া তাহার বুদ্ধি এবং দৃষ্টিশক্তি সেই স্বার্থের প্রভাবে ক্ষুদ্র হইয়া যায়। তাহাকে মুক্ত করিতে হইলে তাহার হৃদয়ের উপরে স্বার্থের যে কঠিন আবরণ পড়িাছে সেই আবরণকে ভেদ করা দরকার। মহাত্মা গান্ধী বলেন সত্যাগ্রহী স্বেচ্ছায় দুঃখবরণ করিয়া প্রতিপক্ষের মোহের আবরণকে ছিন্ন করিতে পারেন। সত্যাগ্ৰহী মানুষকে ছোট না ভাবিয়াও মানুষের তৈয়ারী প্রতিষ্ঠানকে ছোট ভাবিতে পারেন এবং উtহার সমস্ত শক্তি দিয়া তাহাকে ভাঙিবার চেষ্টা করিতে পারেন। ভাঙিতে গেলে স্বার্থাদ্ধ ব্যক্তিরা তাহাৰে দুঃখ দিবে, শারীরিক কই দিবে। সেই দুঃখে যদি তিনি অবিচল থাকেন তবে র্তাহার স্বেচ্ছায় বরণ করা দুঃখ দেখিলে, সত্যাগ্রহীর অটল প্রতিজ্ঞার স্পর্শ পাইলে স্বার্থাদ্ধ মোহগ্ৰস্ত ব্যক্তির হৃদয়ে সহানুভূতি জাগিয়া উঠিবে এবং তাহার বুদ্ধির উপরের আবরণ ছিন্ন হইয়া যাইবে । হৃদয় স্পর্শ করিতে পারিলে তাহার বুদ্ধিকেও স্পর্শ করা যাইবে এবং সাম্রাজ্যবাদ এবং ধনভাবাদ ভাণ্ডিতে হয়ত আজ যাহারা সেই সকল প্রতিষ্ঠানকে বাচাইয়া রাথিয়াছে তাহাদেরই সহায়তা লাভ কয়, যাইবে। বুদ্ধির রাস্তা দিয়া বুদ্ধিকে স্পর্শ না করিয়া হৃদয়ের রাস্ত দিয়া মানবের বুদ্ধিকে স্পর্শ করিতে হইবে ইহাই সভ্যাগ্রহীর তৃতীয় এবং সৰ্ব্বোত্তম নিয়ম। সত্যাগ্রহের পথ দুঃখের পথ, তপস্তার পথ। কিন্তু সে দুঃখ হইল স্বেচ্ছায় বরণ করা দুঃখ এবং সত্যাগ্রহী জগতের দুঃখ দূর করিবার জন্ত, মানুষের দৃষ্টি এবং বুদ্ধিকে স্বার্থের নাগপাশ হইতে মুক্ত করিবার জন্ত, স্বার্থসংঘাতের মধ্যেও সমগ্র মানুষের একত্বের প্রদীপ জালাইয়া রাখিবার জন্ত এই ব্রত গ্রহণ করেন। তাই সত্যাগ্রহীর নিকট স্বেচ্ছায় वब्र4 कब्र फू:१ ८*ष १६jख् विछब्रऊिजरकद्र भङ श्रथमांशै। হইয়া উঠে । তাহার অসহযোগের ফলে প্রতিপক্ষের মুখের নীড় ঘদি ভাঙিয়া যায়, যদি সে পরোক্ষভাবে দুঃখ পায়, তাহাতে সত্যাগ্রহী কখনও কাতর হন না। কিন্তু প্রতিপক্ষকে প্রত্যক্ষভাবে দুঃখ দিয়া, তাহাকে ভয় দেখাইয়া তিনি জয়লাভ করিতে চান না। তাহাতে প্রতিপক্ষের স্বার্থসংস্কার জারও দৃঢ় হইয়া যায়। যে সকল মোহের বশে সে শোষণের প্রতিষ্ঠানগুলি জগতে কায়েমী রাখিয়াছে, বিপদের সম্ভাবনায় সেই সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাহার মমতা আরও বাড়িয়া যায় এবং সত্যাগ্রহীর পক্ষে স্থায়ী ভাবে সেই প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিঃশেষ করা আরও কঠিন হইয়া উঠে । এই জম্ভ মহাত্মা গান্ধী প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলিয়াছেন এ ভাব কখনও দেখান না, তাহার হৃদয়ে যাহাতে সে ধারণ না জাগে বরং তাহারই চেষ্টা করেন। প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধাচরণ করেন, স্বতন্ত্রভাবে মানুষের নহে । যদি কোন প্রতিষ্ঠানকে হিংসার অস্ত্র দ্বারা ভাঙা যায়, প্রতিপক্ষের অন্তরে ষে মোহের বশে সেই শোষণকারী