পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ఆఆ প্রবাসী 令°88 প্রতিষ্ঠান গড়িয়া উঠিয়াছিল, সেই বীজকে কিন্তু ভাঙা যায় না। বরং হিংসার যুদ্ধের দ্বারা অারও স্থায়ীভাবে সেই বীজ প্রতিপক্ষের অস্তরে গাখিয়া যায়। তাহ আবার অঙ্কুরিত হইয়া উঠিবার স্বধোগ খোজে। ইহাকে গান্ধীজী স্থায়ী প্রতিকার বলিয়া বিবেচনা করেন না। শোষণের বীজ মানুষের অন্তরে নিহিত আছে। তাহা প্রতি নবজাত শিগুর সহিত প্রত্যহ জগতের ক্ষেত্রে সঞ্জাত হইতেছে। স্বার্থের বুদ্ধি যে কেবলমাত্র শ্রেণীবিশেষকে আশ্রয় করিয়া আছে এবং একবার তাহাদিগকে হিংসার অস্ত্রের দ্বারা শাসনে আনিতে পারিলেই যে জগতের সমস্তার সমাধান হইবে তাহী নহে । চিরকাল মানুষকে মানব-অন্তরে অবস্থিত স্বার্থের বীজের সহিত সংগ্রাম চালাইয়া যাইতে হইবে । যথোচিত শিক্ষার দ্বারাই ইহা সম্ভব । সমাজতন্ত্রবাদিগণ এক্ষেত্রে বলেন, “হ, শিক্ষার নিত্য প্রয়োজন ত আছেই। কিন্তু আমাদের সে শিক্ষা দিবার স্থযোগ কোথায় ? যাহার কায়েমী ভাবে রাষ্ট্রকে অধিকার করিয়া রাখিয়াছে, তাহাদের হিংসার অস্ত্রের দ্বারা আগে সরাইয়া তার পর আমরা শিক্ষার আয়োজন করিব। এই উপায়ে সব চেয়ে কম যুদ্ধ করিয়া জগতের অধিক এবং সমাজব্যবস্থায় বিপ্লব আনিয়া সাম্যের প্রতিষ্ঠা করা যাইবে।” গান্ধীজী এই জায়গায় বলেন তাহাদের সরাইবার জন্যও হিংসার প্রয়োজন নাই, অহিংস অসহযোগের দ্বারা তাহা সম্পূর্ণ ভাবে সম্ভব, এবং এই উপায়ে রাষ্ট্রকে অধিকার করিতে পারিলে ভবিষ্যতে জগতে নিঃস্বার্থপরতার শিক্ষা দেওয়া আরও স্বসাধ্য হইবে । বস্তুতঃ অহিংস অসহযোগের স্বচনা হইতেই সত্যাগ্রহী আচরণের দ্বারা মানুষকে সে শিক্ষা দেওয়া আরম্ভ করেন । গান্ধীজী মনে করেন হিংসার দ্বারা হিংসার বিনাশ সাধন করা যায় না। অহিংসার দ্বারাই হিংসা বিনষ্ট হয়, স্বার্থহীনতার দ্বারাই স্বার্থপরতাকে দূর করা যায়, ঐক্যে বিশ্বাসের দ্বারাই ভেদবুদ্ধির অবসান হয়। ইহাকেই তিনি সনাতন পথ বলিয়া বিবেচনা করেন । ইহাই হইল সত্যাখ্রহের দার্শনিক ভিত্তি। এইবার আমরা তাহার কৌশলের সম্বন্ধে আলোচনা করিব। মহাত্মা গান্ধী সত্যাগ্রহের সম্বন্ধে বিভিন্ন কালে যে সকল নিয়ম রচনা করিয়াছেন আমরা একে একে সেগুলির অালোচনা করিব । (১) সত্যাগ্রহীকে দুঃখ বরণ করিতে হইবে এবং কেন করিতে হইবে তাহ পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে। দুঃখবরণ শেষ পৰ্য্যস্ত কোথায় দাড়ায় তাহা স্পষ্টভাবে জানা দরকার। গান্ধীজী বলিয়াছেন ষে সত্যাগ্রহীকে অবশেষে মৃত্যুর দুয়ার পর্য্যন্ত আগাইতে হইবে। মরণের দাম দিয়া যাহা जाउ कब्र षष्ट्रि उांश३ भूलावांन। उांशद्ध cछtञ्च अग्न मांभ দিয়া ধে বস্তু লাভ করা যায় তাহার মূল্যও কম ! কিন্তু হঠাৎ মরণের জন্য কেহ প্রস্তুত হইতে পারে না। বর্তমান সমাজ আমাদের কতকগুলি মুখ-সুবিধা দেয়, কিন্তু সমগ্র মামুষের স্বার্থের দিকে চাহিলে আমরা বুঝিতে পারি ষে শ্রেণীবিশেষ এই সুবিধা পাইলেও অধিকাংশ মানবকে শোষণ করিয়া স্ববিধাগুলি আহরণ করা হয়। আমরা সত্যাগ্রহের দ্বারা এই সমাজব্যবস্থার বিনাশ সাধন করিবার চেষ্টা করিলে আমাদিগকে দুঃখ বরণ করিতে হয়। বৰ্ত্তমান সমাজের দেওয়া স্বর্থ-স্থবিধাগুলি হাতছাড়া হইয়া যায় এবং নূতন দুঃখও মাথার উপর জাসিয়া পড়ে। গান্ধীজী বলেন, প্রথম হইতেই বৃহৎ দুঃখ ঘাচাই করিয়া লইও না । এমন একটি বিষয় লইয়া সত্যাগ্রহ আরম্ভ কর যাহাতে প্রথমেই বৃহত্তম দুঃখ আসিয়া না পড়ে। জনগণকে cडांभांद्र मरत्र जङ्गेब यांशे८७ श्tव, वङ4द अझ फूःथं श्रु বেশী দুঃখ, অল্প সাহস হইতে বেশী সাহসের পথে সকলকে লইয়া যাও। যে জনগণ বৃহৎ দুঃখের জন্ত প্রস্তুত হয় নাই তোমার নেতৃত্বে হঠাৎ তাহাজের মাথায় বৃহৎ দুঃখের বোঝা নামাইও না। ক্রমবৃদ্ধিশীল দুঃখের পথে, তপস্যার পথে, সত্যাগ্রহী নিজে অগ্রসর হইবেন, অপরকে লইয়া যাইবেন । ইহা সত্যাগ্রহের একটি মূল এবং প্রধান কৌশল। ধিনি সত্যাগ্রহী তিনি স্বীয় অস্তরের সঙ্গে গোড়া হইতে যুঝিয়া মৃত্যুর ভয়কে অতিক্রম করিবেন, তাহার নিজের জন্ত কোনদিনই দুঃখের সীমারেখা নিদিষ্ট থাকিবে না। কিন্তু যাহাদের তিনি সাথী করিয়া লইতে চান তাহাদের ধেন অসম্ভব দুঃখের মধ্যে হঠাৎ না ফেলেন। তাহার লক্ষ্য হইবে সেই জনগণকেও শেষ পৰ্যন্ত মৃত্যুর ভয়কে অতিক্রম করিতে শেখান। কিন্তু তিনি ক্রমশঃ সাধনার দ্বারা তাহাদিগকে সেই ভয় অতিক্রম করিতে শিখাইবেন ।