পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাটির বাস। ঐসীতা দেবী > * মৃগাঙ্ক বাড়ী পৌছিয়া মুণালের কথা জাবার সব ভুলিয়া গেলেন না। টাকাটা তুলিয়া সত্য-সভাই মল্পিক-মহাশয়ের কাছে পাঠাইয়া দিলেন । মল্পিক-মহাশয় বলিলেন, “এবার বোনাইয়ের সত্যিই চৈতন্ত হয়েছে দেখছি, কি বল গে৷ ” গৃহিণী বলিলেন, “তাই ত মনে হচ্ছে। তা চক্রবর্তীদের পঞ্চাননের কথা যে বলছিলে, সে প্রস্তাবটা একটু ওর জ্যাঠার কাছে তোল না 7 ছেলে বিয়ের যুগ্যি হয়েছে, ওরা আবার কোথায় হট করে ঠিক ক'রে বসবে।” কৰ্ত্ত বলিলেন, “ষাব একবার কাল সকালে । বুড়োর একটু টাকার খাই বেশী, সেই জন্যেই যা ভাবন, নইলে মেয়ে আর আমাদের কোন দিক্ দিয়ে মন্দ ?” গৃহিণী বলিলেন, “মেয়ে কেমন তা আর আমাদের দেশে কেউ দেখে নাকি ? নেহাৎ কানা-খোড়া না হ'লেই হ’ল। টাকার থলির দিকেই সকলের নজর, সেই থলিটি ভৰ্ত্তি রাখতে পার তবেই হয়।” - মল্পিক-মহাশয় বলিলেন, “ভৰ্ত্তি করার মালমশলা ত সহজে জোটে না ? ওর বাপ দিয়েছে পাচ শ, আমি বড় জোর দু-তিন শ দিতে পারি, এই ত সম্বল ।” গৃহিণী বলিলেন, “দেখ, বুড়োকে বলে কয়ে ঐতে যদি রাজী করাতে পার। বড় ঠাকুরবিকে চিঠি লিখবে ষে বলেছিলে তা লিখেছ নাকি ?” মল্পিক-মহাশয় বলিলেন, “না লেখা আর হয় নি। সনাতন যাচ্ছিল জয়রামপুরে, তাকে কথাট একবার ওদের কাছে পাড়তে বলেছিলাম । তাতে গিরিজা বলেছে, ‘অবস্থা ত দেখছ বাছ, ওঁর শরীর ভেঙে পড়েছে, এখন এসব কথা কইতে গেলে রেগে উঠবেন।” গৃহিণী বলিলেন, “ৰ দিনকাল, নিজের ঘর সামূলে কটা মানুষ জার আত্মীয়স্বজনের দিকে চাইতে পারে ? বড় ঠাকুরৰি কিন্তু আগে আগে মিছকে খুবই ভালবাসত।” পাশের ঘরে ধে মৃণাল বসিয়া পড়িতেছে তাহা কর্তৃ গৃহিণী কেহই খেয়াল করেন নাই, কাজেই গলার স্বরটাও র্তাহাদের স্বাভাবিক পর্দা ছাড়াইয়া নামে নাই। মৃণাল র্তাহাদের সব কথাই শুনিতে পাইতেছিল। এইবার স্বরু হইবে তাহার নির্যাতনের পালা, হাটে মাঠে সকলের কাছে তাহার রূপ-গুণের যাচাই, তাহার মনুষ্যত্বের অবমাননা। হিন্দু বালিকার জীবনের এই বেদনাময় অধ্যায়টিকে মৃণাল মনপ্রাণ দিয়া ঘৃণা করিত । কিন্তু অসহায় সে, অভিভাবকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিই বা করিতে পারে । তাহারা ষে জগৎটাকে একেবারে অন্ত দৃষ্টিতে দেখেন। ধে কোনও মূল্য দিয়াই হউক, নারীকে একটি পুরুষের গলায় গাধিয়া দিতে হইবে, ইহার বাড়া সৌভাগ্য কোনও কস্তার জন্তই তাহার কামনা করেন না। তাহার পর সে পুরুষটি গলার মণি গলায় রাখিল কি ছিড়িয়া পদতলে দলিত করিল, তাহ কেহই দেখিতে আসিবে না। অদৃষ্ট ও কৰ্ম্মফলের স্বন্ধে সকল দায় চাপাইয়ু সকলেই সরিয়া भैष्क्लिांझेद । পঞ্চানন, সেই চক্রাকার মুখ, আর কদমছাট চুল, তাহার মধ্যে ইহারই ভিতর একটি স্বল্প টিকি আত্মগোপন করিয়া আছে । তাহার চেহারাটা মনে করিতেই মৃণালের হাড়ের ভিতর জালা করিতে লাগিল । কোনও দিকের গোড়ামিই সে সহ করিতে পারে না। তাহ সনাতনপদ্বীরই হউক, কি আধুনিকেরই হউক। পঞ্চানন যে কালে একজন দিগগজ ধৰ্ম্মধ্বজী সনাতনপন্থী হইয় উঠবে তাহার সব ক’টা লক্ষণই তাহার ভিতর বর্তমান। এখনই সে যে রকম লম্বা লম্বা কথা বলে তাহ শুনিলে হাসি সামলানে बाञ्च श्हेंद्र फेरळे । भांभ कि चांद्र जश८ऊ दब्र पूंखि१