পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিন্ময় বঙ্গ ঐক্ষিতিমোহন সেন ५ বীরাচার ও পশ্বাচার আমাদের দেশের সাধকরা বলেন কায়া দুই প্রকার, মৃন্ময় ও চিন্ময়। মৃন্ময়ের সীমা এই দেহেরই মধ্যে। চিন্ময় কায়াকে কৰ্ম্ম, জ্ঞান ও প্রেমের দ্বারা বহু দূর পর্যন্ত ব্যাপ্ত করিতে পারি। মামুষেরই এই ব্যাপ্তির সাধনায় অধিকার, পশুর ইহাতে অধিকার নাই। যে মানুষ আপনাকে বহুদূর ব্যাপ্ত করিতে পারে সে-ই বীর, নহিলে সে পশু । সাধকদের মতে ইহাই যথার্থ বীরাচার ও পশ্বাচার। পশুও তাহার আপন সন্তান এবং কখনও কখনও আপন দলের মধ্যে আপনাকে ব্যাপ্ত করে, কিন্তু সে ব্যাপ্তি সামান্ত এবং অনেক সময় তাহার মূলে স্বাধ ও দুৰ্ব্বলতা। নিম্বার্থ, নিষ্কাম অহেতুক ব্যাপ্তির মূলে চাই বৃহৎ বীর্ষ্য ও সাধনা । তাই বীরাচার ও পশ্বাচার স্বতন্ত্র বস্ত । বীর সাধকেরও কায় থাকে, ক্ষুধা, তৃষ্ণা, জীবনসংগ্রাম তাহারও আছে কিন্তু তবু তাহার অন্তরে এমন একটি ঐশ্বধ্য আছে যে সে আপনাকে কর্শ্বে, জ্ঞানে ও প্রেমে বহু দূর প্রসারিত না করিয়া থাকিতে পারে না। বুদ্ধ বা চৈতন্ত মৈত্রীর ছায়ায় আপনাকে সৰ্ব্বজীবে ব্যাপ্ত করিতে পারিয়াছেন, এবং সেজন্য র্তাহাদিগকে কম দুঃখ সহ করিতে হয় নাই । পশুকায় স্থানে ও কালে সীমাবদ্ধ, বীরকায়া বহুদূর ব্যাপ্ত। এই ব্যাপ্তির জন্যই সাধকের দল যুগে যুগে অশেষ ইখি সহিয়া আসিয়াছেন। প্রদীপ যেমন আপন মৃৎপাত্রে যত দিন সীমাবদ্ধ তত দিন সে মুখেই থাকে। ষে মুহূৰ্ত্তে সে আলোক পরিবেশনের দ্বারা আপনাৰে বহুদূরে ব্যাপ্ত করিতে চায় তখন হইতে ॐशtरु षां★न जरुण नक्ष्म्न क्रघ्न कब्रिग्ना श्रtण श्रहण छणिष्ट्र রিতে হয়। অথচ এই ব্যাপ্তি ছাড়া তাহার সার্থকতা নাই। ব্যক্তির মত জাতিরও পশু ও বীর এই দুই সাধনাই আছে। যখন জাতির সাধনা তাহার আপন সীমার মধ্যেই বদ্ধ তখন সেই পশু-সাধনাকে কিছুতেই বীর-সাধনা বলা চলে না । কিন্তু যখন তাহার সাধনা তাহার সঙ্কীর্ণ সীমাকে অতিক্রম করিল তখনই হইল তাহা বীরের ধৰ্ম্ম । বন্ধন ও মুক্তি জাতীয় জ্ঞান ও সংস্কৃতি যদি আপন সঙ্কীর্ণ সীমার মধ্যে বদ্ধ থাকে, তবে তাহ আমেধ্য । অশ্বমেধের অশ্ব যখন সৰ্ব্বদেশে জয়ী হইয়া ঘরে ফেরে তখনই তাহা হয় যজ্ঞের যোগ্য। আস্তাবলের ঘোড়াকে দিয়া মজুরী করান চলে, किरू ऊांझ ख्धश्छौञ्च। চিকিৎসক বলেন, বাসগৃহ ছাড়িয়া মুক্ত বায়ুতে নিয়মিত বিচরণ না করিলে স্বাস্থ্য থাকে না। নির্জন কারাগারে বন্দী হইলে বড় বড় শক্তিশালী জোয়ান ষন্নাগ্রস্ত হইয়া পড়ে । r কুলার্ণব তন্ত্র বলেন, মধুলুৰু ভৃঙ্গ যদি এক পুষ্পে বসিয়া থাকে তবে তাহার চলে না, ফুল হইতে ফুলে সে তার বস্তু খুজিয়া বেড়ায়। তেমনই সাধকও তাহার সাধনার খোজে গুরু হইতে গুরুতে গমন করিবে । মধুলুদ্ধে যথা ভৃঙ্গ: পুপাং পুপান্তরং ব্রজেং। জানলুব্ধস্তথা শিষ্যে গুরোগুৰ্ব্বস্তরং ব্ৰজেং । -কুলার্ণব, ১৩ শ উল্লাস । তাই নানা তীর্থের জল একত্র না করিলে দেবতার পূর্ণাভিষেক হয় না। তবে ভারতবর্ষ কেন এক সময় তাহার সীমার মধ্যেই বদ্ধ হইল ? কোন অভিশাপে সে এইরূপ "Interned" .হইল ? একদিন যখন তাহার অর্ণবপোত সৰ্ব্বদিকে ধাবিত হইত, তখন তাহার শক্তি ও সম্পদের অন্ত ছিল না। অধ্যাপক সিলভা লেভি বলেন, যেই নি হইতে ভারতের সমুদ্রযাত্র বন্ধ হইল, তাহার আ৭ বৎসরের মধ্যে ভারতের