পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ চিন্ময় বঙ্গ ՁԵած নেমিয় বালী শ্ৰীযুক্ত বীরেশ্বর গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ইহা এই সব খবর আমি পাইয়াছি স্বগীয় রাধিকানাখ শুনিয়াছি। গোস্বামী মহাশয়ের পুত্ৰ ঐনিত্যানন্দবিনোদ গোস্বামীর ম্যাগুলেতে যে সব পৌণ। আরাকান-পথে গিয়াছিলেন তাহাজের মধ্যে কেহ কেহ সংস্কৃত পড়িতে নবদ্বীপ আসিতেন। প্রায় এক শত বৎসর পূৰ্ব্বে পৌণ বংশীয় স্বগীয় রাজবল্লভ চক্রবর্তী নবদ্বীপে পড়িতে আসেন। সেই সময় উল গ্রামের মহামারীতে শান্তিপুরের পরম সাধক স্বগীয় রাধিকানাথ গোস্বামী মহাশয় পিতৃমাতৃহীন হইয়া সতর বৎসর বয়সে নিরুপায় হইয়া পড়িলেন। তখন তিনি vমদনগোপাল গোস্বামী মহাশয়ের ছাত্র। উক্ত রাজবল্লভ চক্রবর্তী স্বগীয় রাধিকানাখের পিতা ঐরামচন্দ্র গোস্বামীর শিষ্য। তিনি তাহার গুরুপুত্রের এইরূপ দুঃখ দেখিয়া নিজ দেশে লইয়া যান। সেখানে Vরাধিকানাথ ব্ৰহ্ম-রাজার সভাপণ্ডিত হন । ব্ৰহ্ম-রাজা মিণ্ডোম তাহাকে রাজগুরু পদে বৃত করিয়া স্বর্ণ পত্রে তাহা লিখিয় দেন। সেই দেশে বহু লোক গোস্বামী মহাশয়ের শিষ্য হন। তিনি মহামারীভয়ে ব্রহ্ম দেশ ছাড়িয়া দেশে আসেন ও বিবাহ করেন । জার একবার তিনি ত্ৰক্ষে গিয়াছিলেন বটে, কিন্তু রাজা ধিবোর সময়ে নানা রাষ্ট্রগত গোলযোগে বহু সম্পত্তি ত্যাগ করিয়া তিনি দেশে চলিয় আসেন। বুদ্ধগয়াতে যে ব্রহ্মরাজার উপথত ঘণ্টা আছে তাহাতে ব্ৰহ্মাক্ষরে লেখা শ্লোকগুলি সব গোস্বামী মহাশয়ের রচনা । ব্ৰহ্মদেশে তাহার এক জন পৌণ সহকৰ্ম্মী ছিলেন। র্তাহার নাম ঐ অচিন্তা রাজগুরু। বৃন্দাবনে তিনি এখনও জীবিত। তাহার বয়স ৮০৮৫ বৎসর হইবে । জ্যোতিষ-শাস্ত্রে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্ত র্তাহার খ্যাতি। পৌণ বৈষ্ণবেরা বৃন্দাবনে একটি মন্দির তৈয়ার করাইয়াছেন। অচিন্ত্য-রাজগুরুকে সবাই বৰ্ম্মী পণ্ডিত বলে। কাছে। তিনি পূৰ্ব্বে বিশ্বভারতীর ছাত্র ছিলেন, এখন তিনি আমাদের এক জন সহকৰ্ম্মী। তিনিও ১৩৩১ সালে ম্যাণ্ডালে গিয়া তাহার পিতার শিষ্য-সেবকদের দেখিয়! জাসিয়াছেন। এই পোণীরা সব সামবেদী। তাহারা বাংলা বলিতে পারেন, বাংলা ভাষায় লেখা ধৰ্ম্মগ্রন্থ পাঠ করেন, বাংলা কীৰ্ত্তনই গান করেন। চীনদেশে আমাকে এক জন একটি বাংলা অক্ষরে লেখা বই দেখান। কাম্বোডিয়াতে এক জন ব্রাহ্মণের কাছে তাহ পাওয়া । বোধ হয় সেই ব্ৰাহ্মণ পৌণ। গ্রন্থখানি দেখিলাম “গোবিন্দালীলামৃত”, বজাক্ষরে লেখা । মণিপুর মণিপুরে বৈষ্ণবের সব নরোত্তমের শিষ্য। নরোত্তমের গুরু হইলেন লোকনাথ গোস্বামী। কাজেই ইছারা সব অদ্বৈতশাখার মধ্যে। ১৭০৫ খ্ৰীষ্টাব্দে রাজার আজ্ঞায় মণিপুরে বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম রাজধৰ্ম্মরূপে গৃহীত হয়। তাহার পূৰ্ব্বেও মণিপুরে আচারনিষ্ঠ বাঙালী ব্রাহ্মণের প্রভাব দেখা যাইতেছিল। মণিপুরে এক জন মহাতান্ত্রিকের অভু্যদয় ঘটে যাহার নাম সৰ্ব্বজনবিদিত। তিনি “শাক্তক্রম” (১৫৭১) ঐতত্ব চিন্তামণি (১৫৭৭) প্রভৃতির লেখক পূর্ণানৰ। তাহার জন্মস্থান রাজসাহী জেলায়। পূর্ণানন্দই কামাখ্য'পীঠের পুনরুদ্ধার করেন। কাজেই পৌশাদের মধ্যে তন্ত্রশাস্ত্রেরও প্রচার আছে। 8 س-ووه ۰