পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধুচন্দ্রিক ঐআশালতা সিংহ বিবাহের সময় স্বনন্দ যখন শুনিল তাহার স্বামী নিজে উপার্জন করা দূরে থাক এখনও তাহার পঠদশ, তখন তাহার মনটা বিরাগে বাকিয়া দাড়াইল । নব্য শিক্ষায় এবং নব যুগের আলোতে সে ছোট হইতে মানুষ হইয়াছে। পাশ্চাত্য জালোকের প্রখরতা চোখে লাগিয়াছে ভাল। প্রথম হইতে কল্পনা করিয়া রাখিয়াছে বিবাহের পরই স্বামীর ঘরণীগৃহিণী হইবে, তথাকার সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র অধিশ্বরীর পদে অভিষিক্ত হইবে। আর কোন বন্ধন নাই, কোন দাবিদাওয়া নাই, কোন জটিলতা নাই। সরল স্বচ্ছ স্বাধীন জীবন । যেমন ওদেশে হয় । ইউরোপে উপযুক্ত পুত্রও কখনও বিবাহের পর এক শহরে মা-বাপের সহিত একান্নবর্তিতায় এক বাড়ীতে থাকে না । প্রত্যেকের স্বাধীন জীবনধারা জাপন আপন স্বতন্ত্র পথে ও স্বতন্ত্র পরিবেষ্টনে চলে। কাহারও সহিত কাহারও সংঘর্ষ বাধিবার অবসর নাই । কিন্তু তাহার এই কল্পনায় ঘা পড়িল । শোনা গেল পাত্রের পিতা মস্ত বড় উকীল, মস্ত র্তাহার নামভাক, অর্থেরও অবধি নাই। কিন্তু ছেলেটি সবে মাত্র ল’ কলেজে চুকিয়াছে। এখনও শেষ পাশ দ্বিতে বছর জুয়েক দেরি। তাহার পর সে হাইকোর্টে ব্যবসায় স্থর করিবে স্বাধীনভাবে । ভবিষ্যতে কোন এক দিন স্বাধীন গৃহের স্বাধীন গৃহিণী স্থনম্বা হাত হইবে ; কিন্তু আপাততঃ তাহাৰে হইতে হইবে শ্বশুরশাশুড়ীর আদরের বধূ, অনেকগুলি দেবর ও ননম্বার বৌদি। তাহার ভাৰী শ্বশুরবাড়ী জাবার বৃহৎ একান্নবর্তী পরিবার। ८गथांप्न चाब्रस कठ cछाठेलां७फ़ौ भूज्रशांलग्नेौ निक्षिाउज़ेौ व्षांtझन डांशद्र हिब्र कि ! श्नचाब्र भनछैों अथनब्र श्हेब्र। উঠিল। কিন্তু সবচেয়ে মুদ্ধিল এই ষে বাপ-মা বেস্থানে বিবাহ স্থির করিতেছেন তাহার ভালমন্দ বিচার করিবার, খুংমুং করিবার, মন ভার করিবার মত মনের সাবলীলতা निकांब्र दांब्री थांथ श्ब्रांtष्ह,. किरू भूषं क्रूछब्राँ ७ अषहरु কোন কথা বলিবার বা আপত্তি করিবার মত বেহায়াপনা এখনও ধাতস্থ হয় নাই। তাই মনে মনে অনেক বিতর্কবিসম্বাদ করিলেও মুখে সে কিছুই বলিতে পারিল না। ছিং, তাও কি পারা যায়। বাড়ীতে কিন্তু ঠিক ইহার বিপরীত স্বরই অহৰ্নিশি ধ্বনিত হইতেছিল। আত্মীয়-পরিজন যে শুনিতেছিল সে-ই বলিতেছিল, “মৃক্ষ অনেক তপস্যা করেছিল তাই এমন ঘরে-বরে বিয়ে হচ্ছে । খণ্ডর ত রাজী-বিশেষ ! জার ছেলেটি যেন হীরের টুকরো। লেখাপড়াতেও যেমন, চেহারাও যেন রাজপুত্রের মত ; পানটি সিগারেটটি অবধি খায় না।” বরের নিকট-সম্পৰ্কীয় এক জন বন্ধু কাৰ্য্যস্থত্রে এ-বাড়ীতে বেড়াইতে আসিয়াছিলেন, তিনি বলিলেন, “আর যেমন বিনয়ী তেমনই পিতৃমাতৃবংসল । কে বলবে যে আজকালকার ছেলে ।” * স্বনন্দী আড়াল হইতে বিশেষ করিয়া ঐ কথাটা গুনিয়া মুখ বাকাইল । মনে মনে বলিল, পিতৃমাতৃবৎসল ! আহ যেন সত্যযুগের মাহুৰ । আর তাই যদি বাপু তবে একটি সেকালের তপোবন-কস্তাকে বিয়ে করলেই ত পারতেন । খুঁজে পেতে স্বনদ্বার মত মেয়ে যার বাপের বাড়ী কলকাতার আর যে বেথুনে আই-এ অবধি পড়েছে, তেমন মেয়ের খোজে তার কি প্রয়োজন ঘটেছিল ? * কিন্তু অবশেষে সারা দেশ খুজিয়া-পাতিয়া স্থনচ্ছাকেই তাহারা জাবিষ্কার করিলেন। কি-ই বা করা যায়। মনে মনে একটা গভীর দুঃখ, একটা মহৎ ত্যাগ বরণ করিয়া লইবার জগু স্বনন্দ প্রস্তুত হইতে লাগিল । তাহার কলেজের বান্ধবীর সেদিন বিদায়সম্ভাষণ জানাইতে আসিয়াছিল । তাহীদের মধ্যে অনেকেই অবিবাহিত, অনেকে আসন্ন বিবাহের সম্ভাবনায় অপেক্ষারতা এবং দুইএক জনের সবেমাত্র বিবাহ হইয়াছে, এবং সকলেই প্রায় শিক্ষ, মানসিক আদর্শ এবং চিন্তাধারায় স্বনার সহিত