পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(్స8 এক দিন মধ্যরাত্রে চক্সের আলোক গবাক্ষপথে নিৰ্ব্বাণের পরিবেশে প্রবেশ করিয়াছিল ; অন্ধকার কক্ষে গুস্ৰ সূক্ষ্ম চীনাংশুকের মত এক খণ্ড জ্যোৎস্ব যেন আকাশ হইতে জ্বলিত হইয়া পড়িয়াছিল। নিৰ্ব্বাণের চোখে নিজ নাই, সে ঐ গবাক্ষের দিকে চাহিয়া ভূ-শধ্যায় শয়ান ছিল । নিস্তদ্ধ রাত্রি ; সঙ্ঘের কোথাও একটি শব্দ নাই। নিৰ্ব্বাণ নিঃশধ্যে শষ্য ছাড়িয়া উঠিয়া দাড়াইল ; তার পর ছায়ামূৰ্ত্তির মত অলিন্দ উত্তীর্ণ হইয়া সঙ্ঘের বাহিরে উপস্থিত হইল । খর্জুরকুন্ধতলে জ্যোৎস্না-তরলিত স্বল্পান্ধকার যেন ইন্দ্ৰজাল রচনা করিয়া রাখিয়াছে। উদ্ধে খর্জুরশাখা কচিৎ তন্ত্রালস মৰ্ম্মরধ্বনি করিতেছে, নিম্নে প্রস্রবণের উৎসমুখে উদগত জলের মুদ্র কলশব্দ। চারি দিকে অপার মরুভূমির উপর চন্দ্ররশ্মির শীতল প্রলেপ। নিৰ্ব্বাণের বক্ষ বিীর্ণ করিয়া একটা দীর্ঘশ্বাস পড়িল । এই দৃপ্ত তাহার চিরপরিচিত ; কিন্তু আজ আর ইহার সহিত তাহার কোনও সম্বন্ধ নাই—সে বহুদূরে চলিয়া গিয়াছে। ‘নিৰ্ব্বাণ ।” প্রস্রবণের কলধ্বনির মতই মৃদু কণ্ঠস্বর। চমৰিয়া নিৰ্ব্বাণ ফিরিয়া চাহিল। শুভ্র বালুকার উপর বায়ুতাড়িত কাশপুষ্পের স্থায় ইতি তাহার পানে ছুটিয়া আসিতেছে। তাহার চরণ যেন মুক্তিকা স্পর্শ করিতেছে না ; চন্দ্রকরকুহেলির ভিতর দিয়া স্মিত-ক্ষুধিত মূখখানি অস্পষ্ট দেখা যাইতেছে । ‘ন-না—না—’ দুই হস্তে চক্ষু আবৃত করিয়া নিৰ্ব্বাণ পলায়ন করিল। উৰ্দ্ধশ্বাসে নিজ পরিবেণে প্রবেশ করিয়া অধোমুখে ভূতলে পড়িয়া ঘন ঘন নিশ্বাস ত্যাগ করিতে লাগিল । t ফিরিবার সময় নির্বাণের পদ্ধপাত সম্পূর্ণ নিঃশৰ হয় নাই ; অন্য পরিবেশে আর এক জনের নিস্লাভজ हहेब्रांfछ्ज । পরদিন মধ্যরাত্রে আবার চন্দ্ররশ্মি নিৰ্ব্বাশের গবাক্ষপথে প্রবেশ করিয়া ছনিবার শক্তিতে বাহিরের পানে টানিতে লাগিল। নিৰ্ব্বাণ অনেকক্ষণ নিজের সহিত যুদ্ধ করিল— প্রবাসী SN98g কিন্তু পারিল না। মোহগ্রস্তের মত খর্জুরছায়াতলে গিয়া দাড়াইল । ‘নিৰ্ব্বাণ ! ইতি তাহার পাশে আসিয়া দাড়াইয়াছে। কিন্তু আজ আর নিৰ্ব্বাণ পলাইল না ; সমস্ত দেহের স্বায়ুপেশী কঠিন করিয়া অন্য দিকে মুখ ফিরাইয়া দাড়াইয়া রহিল। ‘নিৰ্ব্বাণ, আর তুমি আমার সহিত কথা কহিবে না ? নিৰ্ব্বাণ উত্তর দিল না ; কে যেন তাহার কণ্ঠ দৃঢ়মুষ্টিতে চাপিয়া ধরিয়াছে। ইতি সশঙ্ক লঘু হস্তে তাহার বাহু স্পর্শ করিল। ‘নিৰ্ব্বাণ, আর তুমি আমার মুখ দেখিবে না ? ইতির কণ্ঠস্বরে শক্তি নাই—ভাঙা ভাঙা অৰ্দ্ধোচ্চারিত উক্তি। নিৰ্ব্বাণের স্বায়ু-কঠিন দেহ অল্প অল্প কঁাপিতে লাগিল । - ‘নিৰ্ব্বাণ, একবার আমার পানে চাও’ ধরিয়া নিৰ্ব্বাণের মূখ ফিরাইবার চেষ্টা করিল । , স্বায়ুপেশীর নিরুদ্ধ বন্ধন সহসা যেন ছিড়িয়া গেল ; জ্যা-মুক্ত ধষ্ণুর স্থায় নিৰ্ব্বাণের উৎক্ষিপ্ত একটা বাছ ইতির মুখে গিয়া লাগিল। ইতি জম্মুট একটা কাতরোক্তি করিয়া অধরের উপর হাত রাখিয়া বসিয়া পড়িল । নিৰ্ব্বাণ ব্যাকুল চক্ষে একবার তাহার পানে চাহিল। তার পর—না না—আমি ভিক্ষু—আমি ভিক্ষু—আমি foot-' অন্ধের মত উন্মাজের মত নিৰ্ব্বাণ সে স্থান ছাড়িয়া চলিয়া গেল । এক জন অলক্ষিতে থাকিয়া এই দৃপ্ত দেখিলেন। কিন্তু তাহার অশাস্ত চিত্ত আশ্বস্ত না হইয়া আরও দুৰ্ব্বার ক্রোধে আলোড়িত হইয়া উঠিল। মার পরাস্তৃত হয় নাই । সত্য জগুচি হইয়াছে। এ-পাপ দূর করিতে হইবে—নচেৎ বুদ্ধের ক্রোধানলে সঙ্ঘ ভক্ষ্মীভূত হইবে।

    • g 韃 穆 क्लकां★शंयौग्न क्रौञ्चभांम छटा थांग्न भक्षाभं★न चङिक्रम করিয়া গিয়াছে। রান্ত্রি শেষ হইতে জার বিলম্ব নাই ।

ত চিবুক