পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ বেকার-সমস্যা ও কৃষিবৃত্তি (సెఫ్ পথের দু-ধারে উচু নীচু ধানের জমি, দূরে নাতিবৃহৎ সাহাড় ও নিবিড় শালবন দেখা যায়। মধ্যপথে ক্ষীণকায়া কাসাই নদী, মাঝে মাঝে ছোটবড় সাওতালী গ্রাম পথের আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে তোলে। হরিহরপুরে পৌছে মনে হয় যেন সহসা এক পল্লীরূপ নন্দনকাননে এলাম, এমনই স্থরম্য স্থান এটি । এই জনবিরল বনভূমি যেন প্রকৃতির লীলাক্ষেত্ৰ—এইখানে মুষ্টিমের সাওতাল প্রজা ও জনকয়েক আশ্রিত ও অমৃগৃহীত প্রতিবেশীর সাহচর্ধ্যে অমিয়বাবু বৃহৎ কৃষিব্যবসা ফেদে বসেছেন । হরিহরপুরে অমিয়বাবুর শ্রেষ্ঠ কাজ হয়েছে নিজের চেষ্টায় ও বহু ব্যয়ে তৈরি স্ববিশাল এক কৃত্রিম হ্রদ। র্তার জমিদারীভুক্ত জঙ্গলের ভিতর ছোট্ট একটি স্রোতস্বতী প্রবাহিতা ছিল, প্রতি বৎসর বর্ষার জলে স্ফীত হয়ে দু-পাশের বিস্তীর্ণ নিম্নভূমি প্লাবিত ক'রে ক্ষতি করত কম নয়। অমিয়ুবাবু অনেক ভেবে স্থির করলেন যে বাধ দিয়ে যদি এই জলধারা অবরুদ্ধ করা যায় তা হ’লে বিস্তৃত এক জলাশয় স্বষ্টি হবে ও সেই থেকে সমস্ত চাষের জমিতে জল যোগান যাবে। এই বঁধে তৈরি করতে ষে উদ্যম ও এঞ্জিনিয়ারী-কৌশল অমিয়ুবাৰু প্রদর্শন করেছেন তা সত্যই প্রশংসনীয় ও গৌরব করবার মত। অমিয়বাৰু শুধু বাঁধ তৈরি করেই ক্ষাস্ত হন নি, হ্রদ হতে এক খাল কাটিয়েছেন। এই খালও দেখবার মত জিনিষ । এটি একে বেঁকে বহুদূর অবধি গিয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে এই থেকে সমগ্র কৃষিক্ষেত্রে জল নেওয়া হবে। ফলে অমিয়বাবুকে কৃষির জন্ত আর অনিশ্চিত বর্ষার জলের উপর নির্ভর করতে হবে না। এই খালও তার নিজস্ব স্বষ্টি। এটি সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে খনন করা হয়েছে এবং এতেও তার মৌলিকতা দেখা গেল। হ্রদ ও খাল এ দুটির জন্ত তিনি কম পরিশ্রম বা অর্থ ব্যয় করেন নি ; স্বখের বিষয় তার চেষ্টা সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে। আশা করা যায় এর দ্বারা উীর কৃষিকার্ধোর যথোপযুক্ত প্রসার হবে। পলাশয়ে তিনি মংস্তের চাষ আরম্ভ করেছেন, ভবিষ্যতে এ থেকেও যথেষ্ট লাভের সম্ভাবনা আছে। বাধের তলায় নিম্নভূমির এক পাশে ছোট এক জলপ্রপাতের স্বষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে - অমিয়বাবু মোটর-ট্র্যাক্টর চালাচ্ছেন অমিয়বাবুর ইচ্ছা এই প্রপাতের সাহাধো নিজের মিল চালাবেন, ও বাড়ীতে বৈদ্যুতিক আলো সরবরাহ করবেন। এখানে বলা উচিত যে তিনি ইতিপূৰ্ব্বে নলকূপ, ও সেপটিক্‌ ট্যাঙ্কসহ, স্তানিটারী পায়খানা প্রভৃতি বাসভবনে নিজেই প্রস্তুত করেছেন। বৈদ্যুতিক আলোঁ হ’লেই শহরের অনেক স্থখস্থবিধা গ্রাম থেকেও পেতে পারবেন । - অমিয়বাবুর মতে কৃষিব্যবসা যৌথভাবে ও বৃহদাকারে করা দরকার, তা নইলে লাভের আশা অল্পই । তিনি নিজে জমিদার বলে এক জায়গাম স্ববিস্তীর্ণ চাষের জমি সহজে পেয়েছিলেন, কিন্তু মধ্যবিত্ত লোকের পক্ষে তা জোগাড় করা সহজ নয়। সহস্ৰাধিক বিঘা জমির কমে ট্র্যাক্টর দ্বারা চাষ লাভজনক হয় না । সেই জন্ত তিনি মনে করেন গবৰ্ণমেণ্টের, বা ধণী-জমিদারদের সহযোগিতা ও সাহায্য না পেলে শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত যুবকদের পূর্ধ্যাপ্ত মূনাফার আশায় কৃষিকাৰ্য্য করতে,যাওয়া বিড়ম্বন মাত্র । দল বেঁধে সমবায় কৃষিক্ষেত্র નિષ્ક્રિા করাই সব দিক দিয়ে বাঞ্ছনীয়। মোটর-ট্র্যাক্টর ও অষ্টান্ত সরঞ্জামের মূল্য