পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ প্রাচীন ভারতে আর্য্যধৰ্ম্মে অনার্য্য-প্রভাব—যোগ ●●" তৰু হতাশ হব না ; যারা পীড়িত হচ্ছে মৃত্যুকে বরণ করেই তারা নূতনকে স্বষ্টি করছে, যারা দুঃখ পেল তারাই ধন্ত । যারা দস্থ্যবৃত্তি করছে, যারা মামুষের পথ আগলে আছে, মামুযের ইতিহাসে তারা সম্মানের যোগ্য নয় । এ-আশা দুরাশা নয় ; বিনাশের শক্তিই মানুষের ইতিহাসে শেষ কথা হতে পারে না, তাহ’লে মানুষ বাচত না । অনেক অত্যাচারের মধ্য দিয়ে এসেছে মানুষ, তবু তার বড় বড় কামনা মরে নি, কেবল ক্ষুধাতৃষ্ণার দাস নয় সে, এখনো মানুষ চলেছে, এখনো তার মহত্বের উৎস ওকোয় নি । মামুষের ইতিহাসের অস্তরে যদি মহতের কোনো স্থান না থাকত তবে মানুষের ইতিহাস এত অত্যাচার সহ করেও প্রাণশীল থাকত না । আজকের দিনে এই গভীর নৈরাপ্তের মধ্যে এইই মানুষের আশ্বাসবাণী। সমস্ত সংঘাতের মধ্যেও কল্যাণের রূপ প্রচ্ছন্ন হয়ে আছে, সমস্ত মুখের মধ্যে সমস্ত পাপের মধ্যে পুণ্যের আবির্ভাব এই আমাদের আশা । চীনের প্রতি নিষ্ঠুর অত্যাচারে আজ আমাদের হৃদয় উৎপীড়িত, কিন্তু আমাদের কী করবার আছে, আমরা কী করতে পারি ? জামরা অত্যাচারীকে নিমা করছি, কিন্তু বলা যেতে পারে, নিম্বা ক'রে কী লাভ ? এই দুঃখবোধ দ্বারা, দানবের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ করে আমরাও সেই স্বাক্টর পক্ষে কাজ করছি ; এর শক্তি যতই ক্ষীণ হোক এও স্থষ্টির কাজ । আমাদের অস্ত্র নেই কিন্তু আমাদের মন আছে ; আমরা লড়াই না করতে পারি ; কিন্তু এ-কথা যদি আমাদের মনে জাগ্রত রাখি যে অধমের দ্বারা আপাতত যতই উন্নতি হোক তার মূলে আছে বিনাশ, যদি এ-কথা বিষ্কৃত না হই ষে মানব-ইতিহাসের মূলে কল্যাণের শক্তি কাজ করছে—এ-কথা মেনে নিয়ে লেই কল্যাণের পক্ষে আমাদের কমকে চেষ্টাকে যেন প্রয়োগ করি ; আমাদের মেশিন-গান নেই কিন্তু আমাদের চিন্তা আছে, তার মূল্য যতটুকুই হোক তাকে আমরা মহতের দিকে প্রয়োগ করব। শাস্তিনিকেতন ৭ই পৌষ ১৩৪৪ { শান্তিনিকেতনের সাংবৎসরিক উৎসব উপলক্ষ্যে আচার্ষের উপদেশ ] প্রাচীন ভারতে আৰ্য্যধৰ্ম্মে অনার্য্যপ্রভাব—যোগ শ্ৰীক্ষেত্রেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আর্য্যাণাং স্বষ্টিকৰ্ত্তারমনাৰ্য্যাণাং তথৈব চ। ধ্যাত্বাহমীশ্বরং কুৰ্ব্বে আৰ্য্যানার্য্যাবিচারণম্। আমাদের দেশের প্রাচীন ইতিহাস নাই । আমাদের পুরাতন মনীষীর ইতিহাস লিখিবার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিতেন না। এই সদাপরিণামশীল জগতের সাময়িক ঘটনা লিপিবদ্ধ করায় যে কাহারও কল্যাণ সাধিত হইতে "**, डांश cबाष श्ञ उंशिरमब्र भtन शन आहेऊ न । পিাদি গ্রন্থে বংশ ও বংশামুচরিত প্রসঙ্গে যে নামগুলি পাওয়া যায় তাহাতে আমাদের ইতিহাসের ক্ষুধা মেটে না, আর তাহাদের মধ্যে ষে বিরোধ আছে তাহার পরিহার * কঠিন ব্যাপার। রাজতরঙ্কিণী ত অতি জৰ্ব্বাচন কালের ইতিহাস ; উহাতে প্রাচীনকাল সম্বন্ধে যে দু-চার কথা বলা হইয়াছে, তাহাতে আস্থা স্থাপন করাও ॐtध्र नों | এই কারণে পাশ্চাত্য মনীষিগণ যখন আমাদের প্রাচীন ইতিহাসের আলোচনায় প্রবৃত্ত হইলেন, তখন র্তাহারা প্রামাণিক ইতিহাসের অভাবে অকুমানের আশ্রয় লইলেন এবং আমাদের প্রাচীন সাহিত্য হইতে অনুমান ও অর্থাগুক্তির জ্বারা তাৎকালিক অবস্থা কি ছিল তাহা নির্ণয় করিক্তে লাগিলেন । তুলনাত্মক ভাষাতত্বের ভালোচনায় ইহা স্থির হইয়াছিল য়ে সংস্কৃত, পারসী, গ্রীক, লাতিন, ইংরেজী প্রভৃতির মূলে এক ভাষা ছিল, সেই ভাষার নাম দেওয়া