পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ ৰিবিধ প্রসঙ্গ—রবীন্দ্রনাথের “প্রশস্তিক’ های سbجه সমুদয় সরকারী চাকরির অর্ধেকের কিছু অধিক মুসলমানদের হস্তগত হইলে তাহারা নিশ্চিন্ত হইতে পারেন—আমর! মিঃ জিন্নার সাম্যের দাবীর যে অর্থ অনুমান করিয়াছি, সংক্ষেপে ইহাই তাহা । মুসলমানরা এইরূপ ক্ষমতা পাইলে নিশ্চিন্তু হইতে পারেন। তাহা হইলে তাহাদিগকে হিন্দুদের ন্যায়ৰুদ্ধির উপর বিন্দুমাত্রও নির্ভর করিতে হইবে না। ইহা অপেক্ষা কম ক্ষমতা পাইলে, তাহাদিগকে হিন্দুদের ন্যায়ৰুদ্ধির উপর কিঞ্চিৎ নির্ভর করিতে হইবে । সেরূপ অবস্থা যে মিঃ জিন্নার বাঞ্ছিত নহে, তাহ সহজেই বুঝা ६fश्व । এখন কথা হইতেছে এই, ষে, মুসলমানরা এইরূপ ক্ষমতা পাইলে হিন্দুরা এবং মুসলমান ভিন্ন সংখ্যালঘু অন্য সম্প্রদায়ের লোকেরা তাহাজের ন্যায্য অধিকার হইতে বঞ্চিত হইবেন । তাহা কি ন্যায়সঙ্গত হইবে ? হিন্দুদের সংখ্যার অনুপাতে প্রাপ্য ব্যবস্থাপক সভার আসন এবং চাকরির অংশ হইতে তাহাদিগকে ষে সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা ও চাকরিবিষয়ক সরকারী আদেশ দ্বারা বঞ্চিত করা হইয়াছে, তাহা কি ন্যায়সঙ্গত হইয়াছে ? অন্যায় ও অবিচার বোধ কি হিন্দুদের নাই ? এরূপ প্রশ্নও থাক । যেরূপ ব্যবস্থায় ও বন্দোবস্তে মুসলমানের নিশ্চিম্ভ হইতে পারেন, তাহাতে হিন্দুরা নিশ্চিন্ত হইতে পারেন কি ? ব্যবস্থাপক সভার যত আসন এবং চাকরির ষত অংশ হিন্দুরা ( যোগ্যতার বলেও ) পাইলে মুসলমানরা বিপদ মাশঙ্কা করেন, মুসলমানরা মুসলমানত্বের বলে তাহ পাইলে হিন্দুরা ও অন্য অমুসলমান সম্প্রদায়ের লোকেরা কি আপনাদের বিপদ আশঙ্কা করিতে পারেন না ? কংগ্রেস বা হিন্দুর মুসলমানদের ধৰ্ম্ম সংস্কৃতি ও ভাষায় হস্তক্ষেপ করে নাই । তথাপি র্তাহারা আশঙ্কা বা আশঙ্কার ভান করেন । ধৰ্ম্মমত অনুসারে ব্যবস্থাপক সভার আসনের ও সরকারী চাকরির ভাগবাটোয়ার হওয়া উচিত নহে, এবং দল গঠিত হওয়া উচিত নহে। গণতান্ত্রিক নীতিতে রাজনৈতিক মত অমুসারে ব্যবস্থাপক সভায় দল গঠন এবং যোগ্যতা অনুসারে চাকরিতে নিয়োগ হওয়া উচিত । ধৰ্ম্মসম্প্রদায় অনুসারে ব্যবস্থাপক সভার আসনসংখ্যা নিদিষ্ট থাকিলে ও তদনুসারে ব্যবস্থাপক সভার দল গঠিত হইলে, দলগুলির সভ্যসংখ্যার ইসবুদ্ধি হয় না, প্রবলতম দল প্রবলতম এবং দুৰ্ব্বল দলগুলি ইকবলই থাকিয়া যায়। কিন্তু গণতান্ত্রিক রীতিতে রাজনৈতিক মত অনুসারে দল গঠিত হইলে দলগুলির সভ্যসংখ্যা বাড়ে কমে, এবং প্রবলতম দল কখন কখন দুৰ্ব্বল হয়, দুৰ্ব্বল দলও প্রবলতম হইতে পারে। তদ্ভিয়, রাজনৈতিক মত অনুসারে দল গঠিত হইলে প্রত্যেক দলে নানা ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের লোৰু থাকিতে পারে, এবং প্রত্যেক সম্প্রদায়ের লোককে অষ্টান্ত সম্প্রদায়ের লোকদের উপর নিজ নিজ হিতের ও স্বার্থরক্ষার নিমিত্ত অংশতঃ নির্ভর করিতে হয় । এই কারণে, কোন ধৰ্ম্মসম্প্রদায় অন্য সম্প্রদায়ের অধিকারে ও স্বার্থে হস্তক্ষেপ করিতে ইচ্ছুক থাকিলেও তাহা হইতে নিবৃত্ত থাকাই প্ৰেয়ঃ মনে করিতে পারে । * “চণ্ডীদাস-চরিত” “চণ্ডীদাস-চরিত” নামক ধে কাব্যটির কিয়দংশ প্রবাসীতে মুদ্রিত হইয়াছিল, তাহা আদ্যোপাস্ত পুস্তকের আকারে প্রকাশিত হইয়াছে । প্রবাসীর যে-সকল পাঠিকার ও পাঠকের উহা ভাল লাগিয়াছিল, তাহার এখন সমগ্র গ্রন্থখানি পড়িবার স্বযোগ পাইবেন । গ্রন্থখানির সামান্ত অংশও প্রকাশিত হইবার পূৰ্ব্বেই কোন কোন পণ্ডিত ব্যক্তি উহার সমালোচনা করেন, এবং উহা যে জাল এরূপ ইঙ্গিতও করিয়াছিলেন। কাব্যটি এখন ত ছাপা হইয়া গিয়াছে। এখন তাহারা তাহাদের মন্তব্য সমর্থন করিতে কিংবা ভ্রম বুঝিতে পারিবেন। As রবীন্দ্রনাথের “প্রান্তিক” পৌষে ঐযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “প্রাস্তিক’ নাম দিয়া তাহার আঠারটি নূতন কবিতা প্রকাশ করিয়াছেন। কয়েকটি ছাড়া কবিতাগুলি তাহার কঠিন পীড়ার পর রচিত। আখ্যা-পত্রের আগের একটি পৃষ্ঠায় ভূমিকাস্বরূপ কবির হস্তাক্ষরে এই কথাগুলি মুদ্রিত আছে :– “অন্তসিন্ধুকূলে এসে রবি পূরব দিগন্ত পানে পাঠাইল অস্তিম পূরবী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর” খ্ৰীষ্টের জন্মদিন বলিয়া খ্ৰীষ্টীয় জগতে যে ২৫শে ডিসেম্বরে উৎসব হয়, সেই দিন পুস্তকখানির শেষ দুটি কবিতা কবি লিখিয়াছিলেন । একটিতে কবি বলিতেছেন :– "যেদিন চৈতন্ত মোর মুক্তি পেল লুপ্তিগুহা হতে নিয়ে এল দুঃসহ বিস্ময়বড়ে দারুণ দুর্যোগে কোন নরকাগ্নিগিরিগহবরের তটে ; তপ্তধূমে গজি উঠি ফুসিছে সে মামুষের তীব্র অপমান, অমঙ্গলধ্বনি তার কম্পান্বিত করে ধরাতল, কালিমা মাথায় বায়ুপ্তরে । দেখিলাম একালের আত্মঘাতী মূঢ় উন্মত্তত, দেখিছু সর্বাঙ্গে তার• বিকৃতির কদর্ধ বিদ্রুপ। একদিকে স্পধিত করত, মত্ততার নিলজ হস্কার, অন্যদিকে ভীরুতার দ্বিধাগ্রস্ত চরণ-বিক্ষেপ, বক্ষে আলিঙ্গিয়া ধরি কৃপণের সতর্ক সম্বল ; সন্ত্রস্ত প্রাণীর মতো