পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ ৫৯৮ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত উপরের ছবির নামসূচী মূল সভাপতি, শাখা-সভাপতিগণ ও কাৰ্য্যনিৰ্বাহক সমিতি । পবিষ্ট ( বাম দিক হইতে ) ; - ঐযুক্ত কুমুদিনীকান্ত কর, ঐযুক্ত, মণীন্দ্রনাথ লাহিড়ী, শ্ৰীযুক্ত .পেশচন্দ্র দাশ, শ্ৰীযুক্ত অনিলচন্দ্র পালিত, শ্ৰীযুক্ত সুধাংশুমোহন ন্দ্যোপাধ্যায় ( সভাপতি, ইতিহাস শাখা ) শ্রীযুক্ত ভূপেন্দ্রনাথ লশ ( অভ্যর্থন সমিতির সভাপতি ), শ্রীযুক্ত রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ( মূল সভাপতি ) পণ্ডিত শ্লযুক্ত জগদীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ( সভাপতি, দশন শাখা , শ্ৰীযুক্ত নারায়ণচন্দ্র মজুমদার ( সভাপতি, বিজ্ঞান শাপ ) শ্ৰীযুক্ত পঞ্চানন ভৌমিক ( সভাপতি অর্থনীতি ও সমাজতত্ত্ব শাখা, শ্রযুক্ত যোগেন্দ্রলাল সেন, শ্ৰীযুক্ত ক্ষেত্রনাথ ডাঙ্গালী ( কোষাধ্যক্ষ) ও শশাস্তি গঙ্গোপাধ্যায় ( যুক্ত কৰ্ম্মসচিব ) । দ্বিতীয় লাইন : প্লযুক্ত তারাপদ ঘোষ ত্রযুক্ত মট ঐযুক্ত পৃথ্বীশ সেন ( সহকারী কৰ্ম্মসচিব ), শযুক্ত ননীলাল ভট্টাচাৰ্য্য ( যুক্ত কৰ্ম্মসচিব ) শ্রযুক্ত মুকুন্দকুমার ঘোষ, ক্রযুক্ত ধীরেন্দ্রচন্দ্র দেব, শ্রীযুক্ত দেবেন্দ্রমোহন কর ( সহকারী কৰ্ম্মসচিব) শ্রীযুক্ত যোগেন্দ্রচন্দ্র ঘোষ ( সভাপতি, স্বেচ্ছাসেবক উপসমিতি, ) শ্রীযুক্ত প্রকাশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ু । তুষ্ট্রীয় লাষ্টন : শীঘূক্ত প্রিয়নাথ সেন, শযুক্ত তীরেন্দ্রনাথ দত্ত ( সহকারী কৰ্ম্মসচিব) শযুক্ত সত্য চৌধুরী (সঙ্গকারী কৰ্ম্মসচিব), শ্লযুক্ত রবীন্দ্রনাথ দাস । ব্ৰহ্মদেশের সেন্সসের একটি কৌতুকাবহ ব্যাপার এই যে, ইহাতে চট্টগ্রাম হইতে আগত লোকদিগকে অন্ত বাঙালীদিগ ইষ্টতে আলাদা করিয়া গশন করা ও দেখান হয় ! যেন তাহারা বাঙালী নহেন ! সম্মেলনে এবার একটি প্রস্তাব দ্বারা গবন্মেণ্টকে অনুরোধ করা হইয়াছে, যেন চট্টগ্রামীয় বাঙালীদিগকে অন্য বাঙালীদের সহিত একশ্রেণীভুক্ত করিয়া গণনা করা হয় । রেঙ্গুনে চট্টগ্রামীয় বাঙালীদের সমষ্টিগত উৎসাহের পরিচয় পাইলাম । তথাকার অঙ্ক বাঙালীদের সেরূপ উৎসাহ নাই বলিতেছি না—আমার তাহার পরিচয় “:উবার স্থযোগ হয় নাই । চট্টগ্রামীয়ুদিগের একটি সমিতি আছে, লাইব্রেরি অাছে, নিজস্ব গৃহ আছে। তাহ ২৫০০০ " + ব্যয়ে নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। ধৰ্ম্মসম্প্রদায়নির্বিশেষে N গ্রামাগত সকলে ইহার সভ্য হইতে পারেন । জনাব “ বহুল বারী চৌধুরী ইহার সভাপতি । সম্মেলনের সংস্রবে একটি ললিতকলার প্রদর্শনী হইয়স । কলিকাতা হইতে প্রায় ৮০টি ছবি লইয়া যাওয়া য়াছিল। তম্ভিন্ন স্থানীয় বাঙালী ও ব্রহ্মদেশীয়দের ছৰিও নক ছিল । বেঙ্গল একাডেমির একটি হলে ছবিগুলি শিত হইয়াছিল। প্রদর্শনীর কয়েক দিনের মধ্যে দুই তিন "ণ বৃষ্টি হওয়া সত্বেও দর্শকের সংখ্যা মন্দ হয় নাই । বিবিধ প্রসঙ্গ—নিখিল ব্ৰহ্ম-প্রষণসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলন ఢిహిః সম্মেলনের প্রথম সাধারণ অধিবেশন রেজুনের সিটি হলে সন্ধ্যার সময় আরম্ভ হয়। এই হলটি স্বৰ্দুগু ও বৃহৎ । রাত্রে ইহার আলোকের ব্যবস্থা অতি উৎকৃষ্ট । একটিও বৈছাতিক দীপ দেখা যায় না, অথচ ছোট অক্ষরের লেখাও অনায়াসে পড়া যায়। হলে আকুমানিক দুই হাজার লোক অনায়াসে বসিতে পারে। প্রথম অধিবেশনে হল পূর্ণ হইয়াছিল । বিস্তর মহিলা উপস্থিত ছিলেন। অন্ত সকল অধিবেশন বেঙ্গল একাডেমির নীচের হলে হইয়াছিল। সম্মেলন উপলক্ষ্যে রবীন্দ্রনাথের “নটীর পূজা” ও “বৈকুণ্ঠের খাতা”র অভিনয় হইয়াছিল । "নটীর পূজা"র অভিনয় সিটি হলে হইয়াছিল ও বেশ হইয়াছিল। অভিনয়ের সময় মনে হইতেছিল যে বৌদ্ধযুগের প্রারম্ভিক সেই সংগ্রাম প্রত্যক্ষ করিতেছিলাম যাহার এক পক্ষ অধ্যাত্মিক বলে বলীয়ান, অঙ্ক পক্ষ পার্থিব সম্পদ ও অস্ত্রবলে বলীয়ান । “বৈকুণ্ঠের খাতা"র অভিনয় শেষ পর্ষ্যস্ত দেখি নাই। যত দূর জেপিয়াছিলাম, তাহ মোটের উপর ভাল । যখন কলিকাতা আসিবার জন্য ষ্টীমারে উঠিয়াfছ তখন সম্মেলনের সাধারণ কৰ্ম্মসচিব ঐযুক্ত প্রফুল্লকান্ত বস্তু বলিলেন যে, শ্রযুক্ত শাস্কি গঙ্গোপাধ্যায় সম্মেলনটিকে সাফল্যমণ্ডিত করিবার জন্য বিশেষ পরিশ্রম করিয়াছেন । আমিও তাহা লক্ষ্য করিয়াছিলাম। র্যাহাঙ্গের উপর ষে কার্য্যের ভার ছিল, তাহারা সকলেই তাহা উৎসাহের সহিত করায়ু সম্মেলন সার্থক হইয়াছে। সম্মেলনের কয়েকটি অধিবেশনে কিছু কিছু বল ছাড়া, কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এবং কয়েকটি অভিনন্দনের উত্তরে আমাকে কিছু কিছু বলিতে হইয়াছিল। অবশু সমস্তই বাংলায়। তা ছাড়া ইংরেজীতে দুই সন্ধ্যায় কিছু বলিতে হয়। একটি বক্তৃতার বিষয় “ঈশ্বরের সহকৰ্ম্মী মানুষ", অন্যটির “স্বরাজের যোগ্যতা”, স্থান রেজুন ব্রহ্মমন্দির । এই ব্রহ্মমন্দির স্থানীয় ব্রাহ্মসমাজের নিজস্ব সম্পত্তি । রেঙ্গুনের রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম একটি সাতিশয় হিতকর ও স্থব্যবস্থিত প্রতিষ্ঠান। ইহার হাসপাতালে ১৫০টি শয্যা আছে । জাতিধৰ্ম্মনিবিশেষে রোগী ও রোগিণী রাখা হয়। তদ্ভিন্ন প্রত্যহ শত শত রোগী ও রোগিণী বাড়ী হইতে আসিম্বা ঔষধ ও ব্যবস্থা লইয়া যায়। রামকৃষ্ণ মিশনের একটি লাইব্রেরি এবং পাঠাগারও রেঙ্গুনে আছে। লাইব্রেরিতে বাংলা ইংরেজী প্রভৃতি অনেক বহি আছে । পাঠাগারে দেশী ও বিদেশী ১৮৬ থানা খবরের কাগজ ও সংবাদপত্র আসে। - রামকৃষ্ণ_মিশনের ষে অতিথিশালা আছে, তাহার জন্য নিজস্ব গৃহ নিশ্মিত হইতেছে দেখিলাম। তাহাতে লাইব্রেরিটিও থাকিবে। এখন লাইব্রেরিটি ভাড়াটিয়া বাড়ীতে আছে । - রেঙ্গুনে বাঙালীদের একটি স্পোর্টং ক্লাব আছে। তাহাতে টেনিস প্রভৃতি, খেলা হয়।