পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাস্তুন রবীন্দ্রনাথ ও পল্লী-সংগঠনের আদর্শ (هوجيا


جیپیی

অনেককেই আহবান করিলাম, অনেককেই সমবেত্ত করিলাম, জনতার বিস্তার দেখিয়৷ আনন্দিত হইলাম কিন্তু এমন করিয়া কোন কাজের ক্ষেত্র প্রস্তুত করিলাম না যাহাতে উত্ত্বোধিত শক্তিকে সকলে সার্থক করিতে পারে। কেবল উৎসাহই দিতে লাগিলাম কাজ দিলাম না । মামুষের মনের পক্ষে এমন অস্বাস্থ্যকর ব্যাপার আর কিছুই নাই। মনে করিলাম উৎসাহে মামুষকে নির্ভীক করে এবং নিভীক হইলে মানুষ কৰ্ম্মের বাধাবিপত্তিকে লঙ্ঘন করিতে কুষ্ঠিত হয় না । কিন্তু এইরূপ লঙ্ঘন করিবার উত্তেজনাই ত কৰ্ম্মসাধনের প্রধান অঙ্গ নহে-স্থির বুদ্ধি লষ্টযু বিচারের শক্তি, সংযত হইয় গড়িয়া তুলিবার শক্তি, যে তাতার চেয়ে বড় । ( রাজা প্রজা— পথ ও পাথেয়” ) পূৰ্ব্বে কংগ্রেসে ও প্রাদেশিক সভায় ইংরেজী ভাষায় বক্তৃতার প্রচলন ছিল। এই প্রকার বিদেশী ভাষা ও বিদেশী ভাবাপন্ন সভা-সমিতি কথনষ্ট দেশের প্রাণকে স্পর্শ করিতে পারে না । তাহাই লক্ষ্য করিয়া কবি বলিয়াছেন :– মনে কর প্রভিন্‌শ্যাল কনফারেন্সকে যদি আমরা যথার্থই দেশের মন্ত্রণার কার্য্যে নিযুক্ত করিতাম তবে আমরা কি করিতাম ? তাই হইলে আমরা বিলাতি ধাচের একটা সভা না বানাইয়। দেশী ধরণের একটা বৃহৎ মেলা করিতাম । সেখানে যাত্রা-গান আমোদ-আহ্বাদে দেশের লোক দূরদূরাস্তর হইতে একত্র হইত । মুখানে দেশী পণ্য কুষিদ্রব্যের প্রদর্শনী হইত। সেখানে ভাল কথক, কীৰ্ত্তন গায়ক ও যাত্রার দলকে পুরস্কার দেওয়া হইত । সেখানে ম্যাজিকলঠন প্রভৃত্তির সাহায্যে সাধারণ লোকদিগকে স্বাস্থ্যতত্ত্বের উপদেশ সুস্পষ্ট করিয়া বুঝাইয়া দেওয়া হইত এবং আমাদের যাহ। কিছু বলিবার আছে যাগ কিছু সুখ-দুঃখের পরামর্শ আছে তাহ। ভদ্রাভদ্রে একত্রে, মিলিয় সঙ্কজ বাংলাভাষায় আলোচনা ক৷ যাইত । ( সমুহ– স্বদেশী সমাজ” ) আমাদের দেশের এই সব নানা প্রকার সমস্তার সমাধান করিতে হইলে আমাদের দেশের লোকের কি কৰ্ত্তব্য হওয়া উচিত সে সব বিষয়ে কবির মতামত— আমাদের অভিমান করিবার, কলহ করিবার, অপেক্ষ করিবার আর অবসর নাই । যাহা পারি, তাহাই করিবার জগু এখনই আমাদিগকে কোমর ৰাধিতে হইবে । চেষ্টা করিলেই যে সকল সময়েই সিদ্ধিলাভ হয়, তাহ ন হইতেও পারে, কিন্তু কাপুরুষের নিষ্ফলত যেন ন ঘটিতে দিই—চেষ্ট না করিয়া ষে ব্যর্থত, তাহ পাপ, তাহা কলঙ্ক।” (সমূহ—“দেশনায়ক” ) কোন উপায় নেই, এত বড় মিথ্য। কথা যেন না বলি । বহির থেকে দেখলে তো দেখা যায় কিছু পরিমাণেও বেঁচে আছি । কিছু আগুনও যদি ছাই-চাপা পড়ে থাকে তাকে জাগিয়ে তোল Rায় । ( ঐনিকেতনে বাৎসরিক অভিভাষণ “১৯৩২ ) محاسبصوتناميا মিথ্যে ভয় দূর করতে হবে, যেমনি হোক পায়ের তলায় খাড়া দাড়াবার জমি আছে, এই বিশ্বাস দৃঢ় করব সেই আমাদের ব্রত। এখানে এসেচি সেই ব্রতের কথা ঘোষণা করতে । বাইরে থেকে উপকার করতে নয়, দয়া দেখিয়ে কিছু দান করবার জন্তে নয়। বে প্রাণস্রোত তার আপন পুরাতন খাত ফেলে দূরে সরে গেছে, বাধামুক্ত করে তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যারা নিজেদের রক্ষা করতে পারে না, দেবতা তাদের সহায়তা করেন না । দেবাঃ হুৰ্ব্বলঘাতকাঃ’ । ( শ্রমিকেতনে অভিভাষণ, ১৯৩২ ) অতএব ঈশ্বর করুন, আজ যেন আমরা ভয়ে, ক্ৰোধে, আকস্মিক বিপদে, দুৰ্ব্বলচিত্তের অতিমাত্র মাক্ষেপে আত্মবিস্তৃত হইয়া নিজেকে বা অঙ্গকে ভূলাইবার জন্ত কেবল কতকগুলো ব্যৰ্থ বাক্যের ধুল উড়াইয়। আমাদের চাৰিদিকে আবিল আকাশকে আরো অস্বচ্ছ করিয়া না তুলি । তীব্র বাক্যের দ্বারা চাঞ্চল্যকে বাড়াইয়! তোলা হয় । ভয়ের দ্বার সত্যকে কোনপ্রকারে চাপ। দিবার প্রবৃত্তি জন্মে—অতএব আদ্যকার দিনে হৃদয়াবেগ প্রকাশের উত্তেজনা সম্বরণ করিয়া যথাসম্ভব শাস্তভাবে যদি বর্তমান ঘটনাকে বিচার না করি, সভ্যকে আবিষ্কার ও প্রচার না করি তবে আমাদের আলোচনা কেবল যে ব্যর্থ হইবে তাহা নহে, তাঙ্গতে অনিষ্ট ঘটিবে । ( রাজাপ্রজা—“পথ ও পাথেয়” ) श्रांभaाँ नf५Tभड दिलाडौ प्लद वTदशांद्र मा कब्रेिम्नां ¢म*ञ्च শিল্পের রক্ষা ও উন্নতি সাধনে প্রাণপণে চেষ্টা করিব ইহার বিরুদ্ধে আমি কিছু বলিব এমন আশঙ্কা করিবেন না । বহুদিন পূৰ্ব্বে আমি যখন লিখিয়াছিলাম— নিজ হাতে শাক অল্প তুলে দাও পাতে, তাই যেন কুচে,— মোট বস্ত্র বুনে দাও যদি নিজ হাতে, তাহে লজ্জা ঘুচে ;– তখন লর্ড কার্জমের উপর আমাদের এাগ করিবার কোন কারণই ঘটে নাই এবং বহুকাল পূৰ্ব্বে যখন স্বদেশী ভাণ্ডার স্থাপন করিয়া দেশী পণ্য প্রচলিত করিবার চেষ্টা করিয়াছিলাম তখন সময়ের প্রতিকূলতার বিরুদ্ধেই আমাদিগকে দাড়াইতে হইয়াছিল। ( “পথ ও পাথেয়” ) বিদেশে প্রভূত পরিমাণ অর্থ চলে যাচ্ছে, সব তার ঠেকাবার শক্তি আমাদের হাতে এখন নেই, কিন্তু একাস্ত চেষ্টায় যতটা রক্ষা করা সম্ভব তাতে যদি শৈথিল্য করি তবে সে অপরাধের ক্ষম নেই। দেশের উৎপাদিত পদার্থ আমরা নিজের ব্যবহার করব । এই ব্ৰত সকলকে গ্রহণ করতে হবে । দেশকে আপন করে উপলব্ধি করবার এ একটা প্রকৃষ্ট সাধন । ( শ্রীনিকেতনে অভিভাষণ, ১৯৩২ ) যেখানে যাহার কোন অভাব তাহ পূরণ করিবার জন্য আমাদিগকে যাইতে হইবে ; অন্ন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিতরণের জন্য আমাদিগকে নিভৃত পল্লীর প্রাস্তে নিজের জীবন উৎসর্গ করিতে হইবে, আমাদিগকে আর কেহই আমাদের নিজের স্বার্থ ও স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যে ধরিয়া রাখিতে পরিবে अt !