পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাল্গুন এরল্যাও ও গুড়াও গাড়ী হইতে নামিয়াই হিলছর ও তাহার পিতামাতার সহিত পৃথক ভাবে দেখা করিতে চাহিলেন। হিলছরের পিতার পাঠ-গৃহে শীঘ্রই তাহার আসিয়া একত্রিত হইলেন। শুভমুও তাড়াতাড়ি বলিল, “আমার মনে হয়, আপনারা সম্প্রতি সংবাদপত্রে পড়িয়াছেন যে গত শুক্রবার রাত্রে শহরতলীতে মারামারির ফলে একটি লোক মারা গিয়াছে।” বাড়ীর কৰ্ত্ত উত্তর করিলেন, “হ্যা, আমরা অবশুই পড়িয়াছি।” গুণ্ডমূও বলিয়া ধাইতে লাগিল, “ব্যাপার এই, সেদিন রাত্রে আমিও শহরে উপস্থিত ছিলাম " কেহ তার কথায় কোন সাড়া দিল না। ঘর খেন হঠাৎ শ্মশানের মত নীরব হইয়া গেল। গুডমুণ্ডের মনে হইল, সকলেই একদৃষ্টে সশঙ্ক চিত্তে তাহাকে দেখিতেছে, সে আর কথা বলিতে পারিল না। তখন তাহার পিতা তাহাকে সাহায্য করিতে লাগিলেন— , “শুভমুণ্ড সেখানে কয়েক জন বন্ধুকে মদ্যপানে আপ্যায়িত করিয়াছিল। সে নিজেও সম্ভবতঃ ঐ রাত্রে অতিরিক্ত পান করিয়াছিল ; পরে বাড়ীতে ফিরিয়া সে আর কিছুই মনে করিতে পারে নাই।” গুডমূও দেখিল প্রত্যেকটি কথা উপস্থিত সকলকেই ক্রমশঃ ভম্বব্যাকুল করিয়া তুলিতেছে ; সে নিজে কিন্তু ক্রমশঃ শাস্ত ভাব ফিরিয়া পাইতেছে। তাঁহার মনও ক্রমে দৃঢ় হইয়া উঠিয়াছে। সে নিজেই আবার বলিতে লাগিল— “শনিবার দিন সংবাদপত্রে মৃত ব্যক্তির মাথায় ছুরি বসানোর কথা ও ছুরির হাতলের কথা পড়ি। আমি আমার ছুরি বাহির করিয়া দেখিলাম, তাহার একটি ফলা নাই।” বাড়ীর কর্তা তখন বলিয়া উঠিলেন, “আপনারা বড় দুঃসংবাদ লইয়া আসিয়াছেন। একথা গতকল্য জানাইলেই ভাল হইত ” গুণ্ডমূও নীরব হইয়া রহিল। তাহার পিতা বলিতে লাগিলেন, "গুড়মুণ্ডের পক্ষে স্বীকারোক্তি করা সহজ হয় নাই। এ-ব্যাপারে নীরব থাকিবার প্রলোভন খুব বেশী । यैरै शैौकांtब्राखिब्र छछ उशिरक श्रानक किहू शब्राशेरङ श्रद ।” তরাইয়ের তরুণী ዬግግ বাড়ীর কৰ্ত্ত তিক্ত ভাবে উত্তর করিলেন, “হ্যা, এখন ষে সে এ-কথা স্বীকার করিতেছে, সেজন্ত আমাদের আনন্দিত হওয়া উচিত ;—বিশেষ করিয়া এই জঙ্ক ৰে তাহার দুঃখের মধ্যে আমাদিগকে সে আর টানিতে পরিবে না।” গুডমুও একদৃষ্টি হিলছরকে দেখিতেছিল। তাহার মাথায় মুকুট, তাহাতে আঁচল ঝুলান। সে দেখিল, হিলছর হাত দিয়া মুকুট হইতে একটি বড় পিন খুলিয়া লইতেছে। সে হয়ত বা অন্তমনস্ক হইয়া ইহা খুলিতেছিল। গুড়মুণ্ডের চোখ তাহার উপর গুস্ত দেখিয়া তখন সে আবার পিন যথাস্থানে বসাইয়ু হাত নামাইল । গুডমুণ্ডের পিতা বলিলেন, “গুডমুও ষে হত্যাকার, তাহা এখনও প্রতিপন্ন হয় নাই, কিন্তু বিচার শেষ না হওয়া পৰ্য্যস্ত বিবাহ ষে বন্ধ রাখা উচিত, আমি তাহাই ভাল মনে করি ।” কন্যার পিতা উত্তর দিলেন, “বিবাহ বন্ধ রাখার কথা তোলা নিরর্থক বলিয়া মনে করি । আমার মনে হয়, গুম্ভমুণ্ড নিজের কার্ধ্য সম্বন্ধে এত নিশ্চিত যে তাহার ও হিলদ্বদের মধ্যে প্রীতির সম্বন্ধ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হওয়াই বাঞ্ছনীয় * গুডমুণ্ড তখনই সেই কথার কোন উত্তর দিল না। সে হাত বাড়াইয়া হিলছুরের দিকে অগ্রসর হইল। হিলছর নিশ্চল হইয়া দাড়াইয়াছিল ; সে যেন গুণ্ডমুণ্ডকে দেখিতেছে না এই ভাব দেখাইতেছিল । “হিলছর, তুমি কি আমার শেষ করমর্দন লইবে না ?” এখন হিলছুর ডাহার দিকে চাহিয়াছে। অশ্রদ্ধায় তাহার চোখ জলিয়া উঠিয়াছে। সে বলিয়া উঠিল “তুমি কি এই হাতেই ছুরি বসাইয়াছিলে ?” গুডমুণ্ড এই কথার উত্তর না দিয়া হঠাৎ জুরী মহাশয়ের দিকে ফিরিয়া বলিল, “হ্যা, আমি এখন স্থিরনিশ্চয় হইয়াছি—বিবাহ বন্ধ রাখার কথা নিরর্থক।” ইহার পর কথাবার্তা বন্ধ হইয়া গেল। গুডমুগু ও এরল্যাও বাহির হইয়া চলিয়া গেলেন। তাহাদিগকে ছোট वफ़ बनक घरब्रव्र भथा निग्न बाहेरङ श्ण-गर्विबहे বিবাহ-উৎসবের বিপুল আয়োজন চলিতেছে। রন্ধনশালার