পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«ηο ο প্রবাসী ১৩৪৪ জগু কাটা থাকিলেও অনেকে অনুমান করেন ইহা তাহাদের শত্রুর কবল হইতে আত্মরক্ষার একটা কৌশল মাত্র। একথা সত্য হইলে ইহার আত্মরক্ষার্থ অনুকরণকারী প্রাণীদিগের অপেক্ষা এ-বিষয়ে অধিকতর সাফল্য অর্জন করিয়াছে ইহাতে কোনই সন্দেহ নাই । অনেক জাতের প্রজাপতি ও অমুকরণকারী কীটপতঙ্গ ভয় পাইলেই পাতার সঙ্গে দেহ মিলাইয়া আত্মগোপন করিয়া থাকে । মুদ্রিত অবস্থায় ইহাদিগকে দেখিলে সেইরূপ কিছু একটা মনে হওয়া আশ্চর্য্যের বিষয় নহে । এ-পর্য্যস্ত বহু জাতের লজ্জাবতী গাছের সন্ধান পাওয়া গিয়াছে । আমাদের দেশে ছোট ছোট জল- ও স্থল- লজ্জাবতী সৰ্ব্বজনপরিচিত । কিন্তু তাহ ছাড়া বিভিন্ন জাতীয় বড় বড় লজ্জাবতীর গাছও বিরল नं । স্বতঃস্পন্দনশীল বনচাঁড়াল। . বড় পাতাগুলির বোটার নীচে যে ছোট ছোট পাত দেখা যাইতেছে সেগুলিই অনবরত তালে एकांtण ७?ांनांभां कब्रिप्रl घंtप्क । জল লজ্জাবতী হিঞ্চে বা কলমী দলের মত জলের উপর লতাইয়। চলে । বর্ষাসমাগমেই ইহাদের প্রাচুর্য্য দেখতে পাওয়া যায়, প্রত্যেক গাটের মধ্যস্থলে সাদা স্পঞ্জ বা জড়ানো ভুলার মত এক প্রকার হাস্ক পদার্থ জন্মে। এইগুলিই ইহাদিগকে জলের উপর শোলার স্থায় ভাসাইর রাখে। প্রত্যেক গাট হইতে একটি কা" ৰোটা বাহির হয়। তাহার প্রাস্তদেশে আলাদা ভাবে দুই জো . করিয়া পত্র থাকে। ইহাদের পত্রগুলিও দেখিতে স্থল-লজ্জাবত মত ; কিন্তু সামান্ত একটু চওড়া, একটু নাড়াচাড়া পাইলেণ্ড ইহাদের পত্র মুদ্রিত হইয়া যায়। কিন্তু ইহাদের গতি অপেক্ষাকৃত মন্থর। ইহাদের ফুলের রং হলদে এবং ৰোটার মাথায় গুচ্ছাকারে ফুটিয়া থাকে। জল-লজ্জাবতীর গায়ে কাটা নাই । শীতকালে ইহাদিগকে ষত্ব করিয়া জিয়াইয়। রাখিলে দেখা যায়—ডাটার গায়ে পূৰ্ব্বোক্ত শোলা-জাতীয় ভাসমান পদাখ জন্মায় না, কিন্তু বর্ষার সঙ্গে সঙ্গেই এই শোলা-জাতীয় পদার্থ গজাইতে থাকে। ডাঙায়ু জন্মিতে দিলেও ইহার বেশ লতাইয় থাকে কিন্তু শোল জন্মায় না। আমাদের দেশে বড় বড় লজ্জাবতীও দুই-তিন রকমের দেখিতে পাওয়া যায় । ইহাদের মধ্যে গাছ লজ্জাবতীই সৰ্ব্বাপেক্ষ বড় হইয়া থাকে, ইহার লম্বায় পাঁচ-সাত হাত পৰ্য্যস্ত উচু হয়। এই গাছের গায়েও কাটা আছে। পাতার ডাটাগুলি খুব বড় হইয়ু থাকে এবং এক-একটি ৰোটায় সাত জোড়া করিয়া পাতা থাকে। প্রত্যেক জোড়া পাতার সন্ধিস্থল হইতে উপরের দিকে লম্বা লম্ব। এক-একটা কঁটি বাহির হয় । জোরে হাওয়া দিলে বা ছু ইয়া দিলে পাতাগুলি মুদ্রিত হইয়। ষায় । তবে মুদ্রিত হইবার গতি অপেক্ষাকৃত মন্থর । অন্ত আর এক প্রকার গাছ-লজ্জাবতী দেখিতে পাওয়া যায়—ইহাৱা দেড় হাত দুই হাত উচু হয় এবং ঝোপ হইয়া জন্মে। ইহাদের ৰোটায় এক জোড় করিয়া পাত থাকে। ছুইয়ু দিলে ইহাদের পত্রগুলিও মুদ্রিত হইয় পড়ে। আর এক প্রকার ছোট ছোট গাছও আমাদের দেশে দেখিতে পাওয়া যায়। ইহাদিগকে ভুই-আমলা বলে। আঘাত উত্তেজনায় ইহাদের পাতাগুলিও মুদ্রিত হয় বটে, কিন্তু অতি ধীরে ধীরে । İş কামরাঙা আমাদের দেশের সুপরিচিত উদ্ভিদ । এই কাম রাঙার পাতারও বেশ স্পশামুভূতি দেখিতে পাওয়া বায় । অবশু, খুব মৃদু স্পর্শে ইহার সহজে সাড়া দেয় না । আর দিলেও তাষ্ঠী পরিষ্কার ভাবে আমাদের নজরে পড়ে না। কিন্তু পাতার উপর একটু জোরে আঘাত করিলেই দেখা যায় পাতাগুলি জোড়ীয় জোড়ায় বুজিয়া আসিতেছে । এই ত গেল আঘাত-উত্তেজনায় প্রত্যক্ষ সাড় দেওয়ার দৃষ্টান্ত । কিন্তু জীবদেহে হৃৎস্পন্দন বলিয়। যে একটি আশধ ঘটনা দেখিতে পাওয়া যায়, কোন কোন উদ্ভিদে ঠিক একই রকম ঘটনা দৃষ্টিগোচর হইয়া থাকে। মানুষ এবং অস্তান্ত জীবের হৃৎপিঠ নামক পেশীটি, স্থত ক্ষণ জীবন থাকে তত ক্ষণ আপনাআপনি i * যেন তালে তালে স্পঞ্জিত হইতে থাকে । বন-চড়াল নামে এ’ জাতীয় উদ্ভিদের এরূপ স্বতঃস্পন্ন অতি পরিষ্কাররূপে দৃষ্টিগোচর হয় । ইহাদের গাছ প্রায়ই ঝোপের মত হয় এবং প্রায় দুই হাত শাড় । হাত উচু হইয় থাকে। এক একটি ৰোটায় তিনটি করিয়া ’ । থাকে। ৰোটৰু প্রাস্তদেশের পত্রটি খুবই বড় এবং সম্মুখভা*ে * পত্র দুইটি অতি ক্ষুদ্র এবং ইহাৱাই তালে তালে নৃত্য করিয়া থা ে। লোকের বিশ্বাস তুড়ি দিলেই বন-চাড়ালের পাতার নাচ স্বপ্ন স্ট