পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ASది প্রবাসী SNరి38 এসিডের প্রাচুর্ঘ্য হইবে। কিন্তু বস্তুত তাহা হয় না। কারণ উদ্ভিদ দিবাভাগে কাৰ্ব্বনিক এসিড গ্রহণ ও অম্লজান ত্যাগ করে এবং এই ভাবে আমজানের অপ্রতুলতা ও কাৰ্ব্বনিক এসিডের প্রাচুর্ঘ্য দূর করে। উদ্ভিদ পত্রের সাহায্যে কাৰ্ব্বনিক এসিড বায়ু গ্রহণ করে এবং স্থধ্যকিরণ ও পত্ৰহরিতের ( ক্লোরোফিল ) সাহাধ্যে উহাকে ক্রমে শর্করাজাতীয় পদার্থে পরিণত করে। ভূমি হইতেও উহার খাদ্য জাহরণ করে ; ভূমিতে শিকড় ঢুকাইয়া উহাদের সাহায্যে তাহারা প্রধানতঃ দ্রবণীয় যবক্ষারজানমূলক খনিজ পদার্থ শোষণ করিয়া জানে ও তাহাকে বিবিধ উপায়ে ক্রমে প্রোটিন-জাতীয় পদার্থে পরিণত করে। এই প্রক্রিয়া উদ্ভিদ-দেহেই সম্ভব, প্রাণীদেহে নহে। এই ভাবে খাদ্য আহরণের জন্য ভূমি ক্রমে নিস্তেজ হইয় পড়ে এবং তাহাতে উদ্ভিদ-খাদ্যের অভাব হইতে থাকে। এই অভাবের পরিপূরণ অত্যাবগুক, নতুবা ঐ ভূমি ক্রমে উদ্ভিদের পক্ষে অনুপযোগী হইয়া পড়িবে। এই উদ্ভিদ-খাদ্যকেই সার বলে। জমির উর্বরতাশক্তি লোপ পাইলে অর্থাৎ যবক্ষারজানসংযুক্ত পদার্থ নিঃশেষিতপ্রায় হইলে উহাতে সার দিয়া উদ্ভিদধারণোপযোগী করিতে इम्न । এই সার কতক প্রকৃতি উদ্ভিদের জন্ত অহরহই প্রস্তুত করিতেছে । যখনই উদ্ভিদের পত্রাদির অখবা জৈবিক কোন পদার্থের শটন স্বরু হয়, তখন নানাবিধ আণুবীক্ষণিক কীটাণু উহাদিগকে আক্রমণ করে এবং ক্রমে উহাদিগকে সোরা অথবা এমোনিয়া-জাতীয় পদার্থে পরিণত করে । এই উভয় পদার্থেই যুক্ত-যুবক্ষারজান বিদ্যমান। তার পর প্রাণিগণের মলমূত্রাদিও ঐভাবে ক্রমে ঐ জাতীয় পদার্থে পরিবর্তিত হয়। কয়লা হইতে গ্যাস হয়—এই গ্যাস তৈয়ারীর সময়েও এমোনিয়া প্রস্তুত হয়। এই সব উপায়ে স্বতই এই জাতীয় পদার্থ ভূমিতে আহৃত হয়। সৰ্ব্বোপরি মাতা বস্থদ্ধর তাহার সস্তানের কল্যাণকামনায় নিজবক্ষে স্তম্ভস্থন্ধের প্তায় বহু উদ্ভিদখাদ্য সংগ্ৰহ করিয়া রাখিয়াছেন। দক্ষিণ-আমেরিকার পশ্চিম প্রাস্তে সমুদ্রোপকূলে চিলি নামক দেশে একটি সোরার খনি আছে । তাঁহাতে ষে পরিমাণ সোর-লার মজুত আছে, তাহ পৃথিবীর যাবতীয় কষিত ক্ষেত্রে সাররূপে ব্যবহৃত হইতেছে। এই নির দৈর্ঘ্য ২৬০ মাইল, প্রস্থ ২ মাইল ও গভীরতা ৫ ফুট । সমুদ্র উপকূল হইতে উহা প্রায় ২৫/৩০ মাইল দূরে, ২••• হইতে ৫০০০ ফুট উদ্ধে অবস্থিত। চিলির আবহাওয়া অত্যস্ত শুষ্ক, প্রায় মরুভূমির তুল্য। বৃষ্টি ঐ দেশে মোটেই হয় না। এই অনাবৃষ্টিই সোরার খনিকে রক্ষা করিতেছে। কারণ, সোরা জলে দ্রবণীয় ; বৃষ্টি হইলে সমস্ত জলে গলিয়া সমুদ্রে নীত হইত, ঐ স্থানে আবদ্ধ থাকিতে পারিত না। চিলিবাসিগণ এই সোরার খনি হইতে প্রভূত অর্থ সঞ্চয় করে, কারণ ইহা তাহাদের প্রায় একচেটিয়া। পৃথিবীর সর্বত্রই এই খনি হইতে সোরা-সার সংগৃহীত ट्झ ! কিন্তু সোর-ব্যবসায়ীদিগের জীবন খুব আরামপ্রদ নহে। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, সোরার খনি বৃষ্টিপাতশূন্য দেশে অবস্থিত— উহা অত্যন্ত শুষ্ক ও উষ্ণ। যদিও এই সোরা পৃথিবীর সৰ্ব্বত্র শস্তোৎপাদনের সহায়ক, তথাপি ঐ খনি একেবারে শস্যশূন্ত মরুভূমি। দিনের পর দিন মেঘমুক্ত আকাশ হইতে অবিশ্রাস্ত সূৰ্য্যকিরণ বধিত হইতেছে। খাদ্যদ্রব্য সমস্তই বিদেশ হইতে আমদানী করিতে হয়। পানীয় জলের অত্যন্ত অভাব। নলকূপের জল অখাদ্য, বিস্বাদ । ৫০ হইতে ১•• মাইল দূরস্থিত এণ্ডিজ পৰ্ব্বতমালা হইতে নল-সংযোগে পানীয় জল আহরিত হয়। কাজেই ইহা আশ্চর্ঘ্যের বিষয় নহে ষে বিলাতের হুইস্কি অপেক্ষাও চিলিতে পানীয় জল বেশী মূল্যবান। কিন্তু এত অসুবিধা সত্ত্বেও চিলি ধরার স্বৰ্গ । কারণ, এই মরুভূমির পাথরের নিয়ে যে অমূল্য পদার্থ লুক্কায়িত রহিয়াছে, তাহ পৃথিবীর যাবতীয় জমির উৰ্ব্বরতা সাধন করে, তাহাকে সারবান করে এবং ফসল জন্মিতে সাহায্য করে। এঞ্জিনীয়ারগণ প্রথমতঃ খনিতে কোথায় কি পরিমাণ সোরা-সার আছে, তাহ পরীক্ষা করে ; সোর জলে শ্রবণীয় বলিয়া গৰ্ত্ত করিয়া, জলে গলাইয়া পম্পদ্বারা উহাকে উপরে আনয়ন করে ; তার পর বিশ্লেষণ করিয়া উহাতে কি পরিমাণ সোরা অাছে তাহা নির্ণয় করে ; পরীক্ষা সন্তোষজনক হইলে ভাইনামাইট যোগে ফাটাইয় উহার অভ্যস্তরস্থ সোর-বালি সংগ্রহ করে। এই সেরিH বালি জলে গলাইয়া বালি কাদা হইতে মুক্ত করিয়া রেীত্রের