পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২১ হা কং সমুদ্রে স্বৰ্য্যোদয় নয় । কাপড়ের উপর তালপাতার শিরার মত করে বঁাশ ধাপ, তাই দূর থেকে বিরাট তালপাতার মত দেখায়। রংটা কি কারণে বাকলের মত জানি না, ঝড়ে ঝাপটায় হয়েছে কি রঙিয়ে করা বলতে পারি না। এক পাল, দৃষ্ঠ পাল, তিন পাল নানারকম নৌকাই আছে । নৌকার গড়নও ঠিক আমাদের দেশের নৌকার মত নয়। যারা ৭ষ্ট রকম নৌকার প্রথম সৃষ্টি করে, তারা বোধ হয় কিউবিষ্ট ছিল, তাই নৌকার গায়ের রেখাগুলি বক্র নয়, গণ সরল রেখা। জোড়গুলো সব কোণাকৃতি। সেকালের চ'নী পাথরের নৌকার এই রকম ছবি দেখেছি । সমস্ত হংকং শহরটাই পাহাড়ের উপর। রাস্তা ঘুরে ধা উঠে শহরটাকে অনেক তলা দেখায়। সিঙ্গাপুরে সেন ঢিপি ঢিপি পাহাড় এ সেরকম নয়, মস্ত ਚੈਨੂ পাহাড় । দ জলিঙে কাট রোডে দাড়িয়ে জল পাহাড় যেমন ষ্ট দেখায় হংকঙের একতলার রাস্তায় দাড়িয়ে মাথার রর পাহাড়ের চুড়া তার চেয়ে উচু দেখায়। লঞ্চ নেমেই আমরা টমাস কুকের আপিসে হে টে র্গে মি। বিদেশে বেড়াতে বেরোলে এই সব আপিসের * - সবার আগে দেখা করা দরকার বলে বোধ হয় অধিকাংশ জায়গাতেই ঘাটের কাছেই এদের আস্তান ঞ্জাহাজ থেকে এদের সাইনবোর্ডটা দেখা যায় না, কিন্তু লয়েড টি ষ্টিনো প্রভৃতি অনেক বড় বড় আপিসের নাম জাহাজ বন্দরের মাঝখানে আসতেই দেখা যায়। টমাস কুকের বাড়ীটার নাম কুইনস বিল্ডি এবং বোধ হয় ওই রাস্তাটার নাম কুইনস রোড। এ রাস্তায় এবং আশেপাশে এক একটা বাড়ী ভীষণ উচ সাত-আট তলা। পাহাড়ে দেশে হালকা বাড়ীই মানুষে করে ভাবতাম, কিন্তু হংকঙে ঠিক তার উণ্টে মনে হল । এই সব বাড়ীর পিছন দিক সমুদ্র থেকে দেখা যায়, মনে হয় যেন পায়রার পোপের কি মৌমাছির চাকের মত অসংখ্য ঘরকাটা । নতম দেশে এলেই সৰ্ব্বপ্রথম পয়সার সমস্ত এ এক বেশ মজা ! যতবারই জাহাজ থেকে নাম্বে ততবার পুরানো টাকা পয়সা সব বদলে নূতন করে নিতে হবে, এবং নতন মুদ্রাগুলির মূল্য মুখস্ত করে রাখুতে হবে, না হলে কাকে যে কি দিচ্ছি কিছু হিসাব থাকবে না। মনে মনে নামৃতা পড়তে পড়তে এবং টাকা আন সেন্ট ডলার ইয়েন সেন পাউণ্ড শিলিং করতে করতে s के