পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سوا جة প্রবাসী SNరీgé কর্ণগোচর করিবার নিমিত্ত ধ্বনিবিবৰ্দ্ধক যন্ত্র বসান হইবে, শুনিয়া আসিয়াছিলাম। অনেক প্রসিদ্ধ নেতার সমাগম হইয়াছিল! আশা করি, সকল শ্রোতাই তাহদের বকৃত শুনিতে পাইয়াছিলেন । মগুপের ষে মঞ্চে সভাপতি ও নেতৃবর্গের স্থান হইয়াছিল, তাহ বিষ্ণুপুরের শিল্পীদের দ্বারা দুর্গসিংহদ্বারের ও অন্ত চিত্র দ্বারা এবং রঞ্জিত শোলার ফুল মালা প্রভৃতি দ্বারা স্থশোভিত করা হইয়াছিল। ৮ প্রতিনিধিদের আহারনিদ্রা-মাদির ব্যবস্থা যাহা দেখিয়া আসিয়াছিলাম, তাহা উত্তম । তাহীদের ব্যবহার্ষ্য জল যোগাইবার জন্য দুটি নলকূপ খনন করিয়া তাহাতে দমকল বসান হইয়াছিল। বহু নিমন্ত্রিতের ভোজনের ব্যবস্থা করিতে হইলে বাঁকুড়া জেলায় শালপাত ব্যবহৃত হয়। শুধু ভাত লুচি তরকারি নহে, বিষ্ণুপুরে শালপাতার এরূপ পাত্রও তৈরি হয় যাহাতে ডাল এবং নানাবিধ তরল পানীয়ও রক্ষিত হইতে পারে। এই সমুদরেরও আয়োজন দেখিয়া আসিয়ুছিলাম । সম্মেলনের অধিবেশন-স্থান শহর হইতে কিছু দূরে । রাত্রে প্রতিনিধি ও দর্শকদিগের যাতায়াতের স্ববিধার জন্ত শহর হইতে অধিবেশন-স্থান পৰ্য্যস্ত রাস্ত৷ উজ্জল আলোকমালায় আলোকিত হইয়াছিল। প্রতিনিধি ও দর্শকদিগের স্থবিধার জন্ত এবং অন্ত সকল প্রকার কার্ধ্যের সৌকর্ধ্যার্থ স্বেচ্ছাসেবিকা ও স্বেচ্ছাসেবকের সুশিক্ষিত হইয়াছিলেন। তাহা দেখিয়া আসিয়াছিলাম । বঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় সম্মেলনের অভ্যর্থনা-সমিতির সভাপতির অভিভাষণ বিষ্ণুপুরে বঙ্গীয় প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় সম্মেলনের অভ্যর্থনাসমিতির সভাপতি ত্রযুক্ত রাধাগোবিন্দ রায়ের অভিভাষণ সুচিস্তিত এবং স্থবিবেচনা ও বিচক্ষণতার পরিচায়ক । ইহাতে তিনি বিষ্ণুপুরের গৌরবময় ইতিহাস, বাংলার শোচনীয় অবস্থা, কংগ্রেস ও কৃষকসংঘ, আদর্শসংঘাত, অভিজাত সম্প্রদায়ের নেতৃত্বের অবসান, পল্লীসংস্কার-প্রহসন, শাসকমণ্ডলীর অভিনব রূপ, কৰ্ম্মীদের মধ্যে দলাদলি, গণআন্দোলনে মনোবৃত্তি, গণ-আন্দোলনের ক্ষেত্র প্রস্তুতি, এবং বন্দেমাতরম্ সঙ্গীতের অম্বচ্ছেদ-প্রধানতঃ এই বিষয়গুলি সম্বন্ধে নিজের মত প্রকাশ করেন । ভারতীয় আদর্শ ও প্রতীচ্য আদর্শের সংঘাত সম্বন্ধে তিনি বলেন :--- প্রেমমূলক ভারতীয় কুষ্টি, প্রতীচ্যের দাবীমূলক গণআন্দোলনের আদর্শে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় কংগ্রেসের উপর যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করিয়াছে। ভারতের বৈশ্বাঞ্চযি সত্যসেবক মহাত্মা গান্ধী গণ-আন্দোলনকে ভারতীয় কৃষ্টিধারার প্রবৰ্ত্তিত কবিসু ইহাকে ষে ব্যাপকতা দিয়াছেন তাহার রূপ সম্প্রদর্শনে জগৎ মুগ্ধ । প্রতীচ্যের আন্দোলন-আদশের তীব্র সংঘাতে আমরা আদর্শচ্যুত হইতে পারি, এইরূপ আশঙ্কা করিবার কারণ থাকিলেও আমাদের বিচলিত হওয়া উচিত নয়। প্রতীচ্যের আদশের প্রতি শ্রদ্ধাদৃষ্টি রক্ষা করিয়া আমাদিগকে দুই আদশের সামঞ্জস্য সাধন করিতে হইবে। ভারতীয় গণ-আন্দোলন পৃথিবীর অন্যান্ত স্থানের গণআন্দোলনের সহিত যোগসূত্র স্থাপন করিয়া চলিতে ন পরিলে বিশৃঙ্খলা স্থষ্টির যথেষ্ট আশঙ্কা থাকিবে । আমাদের দেশ পল্লীগ্রামপ্রধান। দেশের উন্নতি করিতে হইলে পল্লীগ্রাম-সমূহের উন্নতি করা একান্ত আবখ্যক । কংগ্রেস এ-বিষয়ে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিবার অনেক আগে হইতে ঐযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পল্লীগ্রাম-সমূহের সংস্কার ও পুনরুজ্জী বনের চেষ্টা করিয়া ত্যাসিতেছেন । কিন্তু এ-পর্য্যস্ত র্তাহ প্ল কাজ বৈদেশিক সহৃদয় সাহাষ্যে হইয়া আসিতেছে । ধাe; হউক, কংগ্রেস তাহার কার্য্যতালিকায় এই জিনিষটিকে স্থান দেওয়ায় এ-বিষয়ে বাঙালীর ষে আগেকার চেয়ে বেশ করিঃ কথা বলিতেছেন, তাহাও মনোর ভাল। কাজও সরকারী ও বেসরকারী প্রভাবে কোথাও কোথাও হইতেছে। রাধাগোবিন্দ বাবু এ-বিষয়ে যাহা বলিয়াছেন, তাই অক্ষুধাবনধোগ্য । যেমন— আমাদের শহরমুখী ভাবকে পঞ্জীমুখী করিতে হইলে পল্লীর সংবাদের বিস্তৃত প্রকাশের আয়োজন করিতে হইবে । জনসাধারণের মধ্যে পল্লীকৰ্ম্মীদের প্রতি শ্রদ্ধাদৃষ্টি জাগ্ৰত করিতে হইবে । জেলাবোর্ড ও আইন-সভার সভ্যবৃঙ্গের গৌরবের উপ” পল্লীকৰ্ম্মীবৃঙ্গের উচ্চতর গৌরবের স্থান প্রদান করিবার এ প্রবর্তিত করিতে হইবে। সংবাদপত্রসমূহ যদি পল্লীর সংবাদ ও ত্যাগ পল্লীকৰ্ম্মীদের কৰ্ম্মচেষ্টা প্রকাশ এবং তঁহাদের মধ্যে যোগ্যতা ব্যক্তিদের প্রতিকৃতি বাহির করিয়া তাহদের কাজ জনসাধারণের মধ্যে বহুলপ্রচারের ব্যবস্থা করেন, তাহা হইলে পী সংগঠনকার্ধ্যে যথেষ্ট সহায়ত হইবে। সংসাদপত্রের প্রচারও বই” পরিমাণে বৃদ্ধি পাইবে । পীগ্রামসমূহের সমুদয় জনহিতকর কার্ষের বৃত্তাত