পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-कोस्छन्। বাঙালী গ্রন্থকারদের বহু রচনা ভারতীয় অন্যান্য বহুভাষায় अन्श्ऊि श्ब्रारझ ; क्रूि बारणा खांबांब वन धरनरश्रब्र আধুনিক গ্রন্থাদি সম্বন্ধে কোন আলোচনা তেমন হয় নাই। এমন হইতে পারে, যে, অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ বা সংকলনের ধোগ্য আধুনিক গ্রন্থাদি যথেষ্টসংখ্যক নাই। কিন্তু সে-কথাটা আমরা আলোচনাম্বারা পবখ করিয়া ততটা দেখিয়াছি কি না সন্দেহ, যতটা অনুমান করিয়া বা স্বতঃসিদ্ধ বলিয়া ধরিয়া লইয়াছি । তার পর বিভিন্ন প্রদেশের বিচিত্র আচার-ব্যবহার সামাজিক রীতিনীতি-অনুষ্ঠান সম্বন্ধেও আমাদের ঔদাসীন্ত যথেষ্ট । একটি সামান্ত উদাহরণ দেওয়া যাইতে পারে, কারণ জামাদের অজ্ঞতা সামান্ত বিষয় ও দৈনন্দিন ব্যবহারের মধ্য দিয়াও পরিস্ফুট। বিভিন্ন স্থানের ভাষাপার্থক্য অনুসারে কংগ্রেসের স্বকীয় নিৰ্ব্বাচন-ইত্যাদি ব্যাপারে ভারতবর্ষের প্রদেশসমূহ বিভক্ত, এবং ভবিষ্যতে সরকারী বিভাগেও এই ভাষাপার্থক্য অনুসারে প্রদেশসমূহের বিভাগ অনেকে চান। কিন্তু আমাদের মধ্যে স্বশিক্ষিত অনেকেও অবগত্তই নহেন, ধে দক্ষিণ-ভারতে তেলুগু, তামিল, কানাড়ী, মলয়ালম প্রভৃতি বিভিন্ন স্বতন্ত্র ভাষা প্রচলিত এবং ঐ সমস্ত ভাষাগতভাবে তাহারা অভিহিত হইতে ইচ্ছা করেন ; আমাদের অনেকের কথায় মনে হয়, তাহারা সকলেই ‘মাস্ত্রাঙ্গী" এবং র্তাহাজের সকলের ভাষাও 'মান্দ্রাজ", যদিও মাঙ্গাজী বলিয়া কোন ভাষা নাই । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাহাদের পাঠক্রমের মধ্যে বিভিন্ন প্রদেশের ভাষাকে আসন দিয়াছেন এবং ভারতীয় ভাষাসমূহে এম. এ. পরীক্ষার ব্যবস্থা করিয়াছেন। বিভিন্ন প্রদেশের ভাষায় পরীক্ষা দিয়া কোন কোন বাঙালী প্রতি বৎসর উত্তীর্ণ৪ হইয়া থাকেন । অঙ্ক প্রদেশের সাহিত্য সম্বন্ধে বিশেষ আলোচনা করিতে এই সকল পরীক্ষোৰ্ত্তীর্ণ সুজিদের বিশেষ উদ্যোগী দেখা যায় না । ঐযুক্ত ক্ষিতিমোহন সেন অন্ত প্রদেশের ভক্তদের বাণী ৪ জীবন সম্বন্ধে বাংলায় আলোচনা করিয়া ও শ্ৰীযুক্ত সতীশস্ত্ৰ দাসগুপ্ত মহাত্মা গান্ধীর পুস্তকাবলী বাংলায় অনুবাদ *রিয়া আধুনিক ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশের মধ্যে - و دسته چ বিবিধ প্রসঙ্গ—মফঃসলের কাগজে পল্লী উন্নয়নের স্বত্তাস্ত ৭৩৭ : সংস্কৃতিগত ধোগাভিলাষ্ট্ৰীদিগের কৃভজ্ঞতাভাজন হইয়াছেন। তুলসীকৃত রামায়ণের কয়েকটি অনুবাদ আগেই হইয়াছিল, শিখদিগের ‘জপঞ্জী প্রভৃতির অনুবাদও হইয়াছিল। ' বাঙালীরা তাহাদের শ্রেষ্ঠতা অক্ষুন্ন রাখুন, ইহা আমরা নিশ্চয়ই কাম্য মনে করি । কিন্তু বাংলাদেশ ভারতবর্ষের অন্তর্গত, ভারতবর্ষের অন্তান্ত প্রদেশ সম্বন্ধে উদাসীন ও অবজ্ঞাশীল থাকিয়া আমাদের সর্বপ্রকার উন্নতি সাধন কখনও সম্ভব নহে। বাংলাকে অস্ক প্রদেশের নেতৃত্ব করিতে হইলে ভ্রাতৃত্ববোধের দ্বারাই তাহা সম্ভব হইবে, শ্রেষ্ঠত্ববোধের दींद्र! नtट् । - হিন্দীকে আমরা রাষ্ট্রভাষা বলিয়া মানিয়া লই বা না-লই, হিন্দী সাহিত্য উন্নত হউক বা না-হউক, একথা ত সত্য যে হিন্দী ভারতবর্ষের একটি প্রধান লোকসমষ্টির ভাষা। এজন্ম হিন্দীভবন স্থপরিচালিত হইলে, এবং ইহার কার্য্যক্রম বাঙালী শিক্ষার্থীদের মধ্যেও স্বপরিব্যাপ্ত হইলে ইহা দ্বারা এই পারস্পরিক যোগরক্ষার কাজ অংশতও স্বসম্পন্ন হইতে পারে। - মফঃসলের কাগজে পল্লী-উন্নয়নের বৃত্তান্ত বঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় সম্মেলনের গত অধিবেশনের অভ্যর্থনাসমিতির সভাপতির বক্তৃতার একটি বক্তব্য অবলম্বন করিয়া আমরা লিখিয়াছি যে, প্রত্যেক জেলার পল্লী-উন্নয়ন কার্ধ্যের বৃত্তান্ত সেই জেলার খবরের কাগজে বাহির হওয়া আবগুক । এইরূপ কাগজ বাহির করিবার ও চালাইবার ভার কে লইবেন ? পথপ্রদর্শক কে হইবেন ? বাকুড়া জেলায় রাষ্ট্রীয় সম্মেলনের অধিবেশন উপলক্ষ্যে এই কথাটি উখাপিত হইয়াছে তথাকার উদ্যোগী লোকের পথ দেখাইতে পারেন না কি ? কাজ আরম্ভ করিবার পূৰ্ব্বে কিন্তু উদ্যোক্তাদিগকে যথেষ্ট পুজি লইয়া বসিতে হইবে, এবং তাহাদিগকে চমকপ্রদ রাজনৈতিক আন্দোলনের মোহ কাটাইতে হইবে। ইহাও বুঝা অবিশ্বক যে, র্যাহাদের ঝোক বৈপ্লবিক, এরূপ একঘেয়ে আটপৌরে কাজ তাহাদের ভাল লাগিবে না। বিপ্লবপ্রয়াসীরা এরূপ কাজকে বলিবেন সাংস্কারিক (*reformist"), বৈপ্লবিক ( "revolutionary” ) বলবেন २t ।