পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांझुन्र বিবিধ প্রসঙ্গ—রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছাত্ৰধৰ্ম্মঘটে অণপত্তি ^9:s ও অল্প জমির চাষীদের অবস্থা কারখানার শ্রমিকদের চেয়ে শোচনীয় । এই উভয় কারণে, সাক্ষাৎ বা পরোক্ষ ভাবে চাষ যাহাজের উপার্জনের উপায়, তাহদের অবস্থা কখনই অবহেলার যোগ্য নহে। তাহার উন্নতি একান্ত আবশুক । কিন্তু কারখানার শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতিও অবগুই অবিশুক । কিন্তু কারখানাগুলি রক্ষা পায় অথচ শ্রমিকদের অবস্থারও উন্নতি হয়,—এই ভাবে চলাই উচিত—বিশেষ করিয়া বঙ্গে, যেখানে বাঙালীরা এখন পৰ্য্যস্ত অল্পসংখ্যক কারখানাই স্থাপন করিয়াছে । বঙ্গে যাহারা জমিদারের অধিকার বা তথাকথিত অধিকার খৰ্ব্ব করিয়া রায়তদের অধিকার বাড়াইতেছেন, তাহাদের জানা উচিত, জমি সম্বন্ধে ইহাই চুড়াস্ত ব্যবস্থা নহে । সমুদয় জমিকে জাতির সম্পত্তি গণ্য করিয়া তাহার *Issois 5th (collectivization ) পরবর্তী ব্যবস্থা—যেমন রাশিয়ায় হইয়াছে । smisse বঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় সম্মেলনের প্রস্তাববিলী বঙ্গীয় রাষ্ট্রীষ্ম সম্মেলনের গত অধিবেশনে যে প্রস্তাবগুলি নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছে, তাহার কোনটিই অনাবশ্বক নহে। কিন্তু আর্থিক হিসাবে কয়েকটি প্রস্তাবের বিশেষ গুরুত্ব আছে । যেমন চৌকিদারী ট্যাক্সবিষয়ক প্রস্তাবটির, পাট সম্বন্ধীয় প্রস্তাবটির এবং বাকুড়া জেলার বাসন, রেশম, শঙ্খ প্রভৃতি কুটিরশিল্পগুলি সম্বন্ধীয় প্রস্তাবটির । রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছাত্রধৰ্ম্মঘটে আপত্তি বঙ্গীয় রাষ্ট্ৰীং সম্মেলনের একটি প্রস্তাব এইরূপ— এই সম্মেলন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিকে অমুরোধ জানাইতেছে বে তাহারা যেন অবিলম্বে কংগ্রেসী মন্ত্রিসভাসমূহকে এই নির্দেশ দেন ষে যেন তাহার রাজনৈতিক বন্দীদের দাবি নিজ নিজ প্রদেশের গবর্ণমেণ্টের নিকট উপস্থাপিত কবেন ও প্রয়োজন হইলে - ঐ সকল দাবির উপর মন্ত্ৰিত্বত্যাগের জন্তু প্রস্তুত থাকেন। এই ব্যাপারে কংগ্রেসের শক্তি যাহাতে বৃদ্ধি পায় তজ্জল্প এই সম্মেলন সমস্ত কংগ্রেস-কমিটি এবং সাম্রাজ্যবাদবিরোধী প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করিতেছে যে, তাহারা যেন জনসাধারণকে নিম্নলিখিত so কার্ধ্যক্রমের জঙ্ক প্রস্তুত করিতে থাকেন :– (১) ব্রিটিশ পণ্য বর্জনের আন্দোলনকে অধিকতর শক্তিশালী कब्र । (২) শ্রমিক ও ছাত্রদের ব্যাপক ধৰ্ম্মঘট করা । রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি আমরা সৰ্ব্বাস্তঃকরণে চাই, দেশের স্বাধীনতাও পূর্ণমাত্রাতেও চাই। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক উদ্বেগু সাধনের জন্ত ছাত্রদের ধৰ্ম্মঘট ঘটানর আমরা সম্পূর্ণ বিরোধী। ইহাতে ছাত্রদের অনিষ্টই করা হয়। রাজনীতির জ্ঞান লাভ করা, রাজনীতির চর্চা করা ছাত্রদের নিশ্চয়ই উচিত । কিন্তু রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে লিপ্ত হওয়া, নেত হওয়া, নেতৃযশঃপ্রার্থী হওয়া তাহাদের উচিত নহে। তাহার। শতরঞ্চ খেলার ঘুটি নহে, যে, নেতারা রাজনৈতিক দাবাখেলায় তাহাদিগকে বোড়ের মত চালাইবেন । বাংলা দেশের ছাত্রেরা যে বিদ্যার্থী হিসাবে অন্যান্য প্রদেশের ছাত্রদের চেয়ে বিদ্যাবত্তায় নিকৃষ্ট হইয়া ধাইতেছেন, তাহার একটি কারণ অতিরিক্ত রাজনৈতিক হুজুক । যদি ছাত্রেরা বা নেতারা মনে করেন বিদ্যাবত্তা অনাবশুক, তাহা হইলে ছাত্রেরা ছাত্র কেন, ছাত্রস্তু স্বীকার করিয়া পিতামাতার টাকা খরচ কেন করেন । ছাত্রস্ব ত্যাগ করিয়া স্বাবলম্বী হওয়া বা নেতাদের পোষ্য হওয়াই ত তাহাদের পক্ষে উচিত । সাবালক ব্যক্তি মাত্রেরই ভোট দিবীর অধিকার প্রাপ্তি গণতন্ত্রের একটি লক্ষ্য । সেই আদর্শ অনুসারে সাবালক ছাত্রেরা নিজেদের পথ নিজের বাছিয়া লইবার দাবী নিশ্চয়ই করিতে পারেন । কিন্তু তাহা হইলে তঁtহাদিগকে স্বাবলম্বী হইতে হইবে, কিংবা বেশী পরিমাণে রাজনীতিতে আত্মনিয়োগ করিবার অনুমতি প্রতিপালক অভিভাবকদের নিকট হইতে লইতে হইবে, কিংবা নেতৃবর্গের পোষ্য হইতে হইবে। অকপট সরল সত্যের সহিত সমঞ্জসীভূত পথ এই তিনটি । আমাদের মস্তব্যে রাজনৈতিক নেতার এবং ছাত্রেরাও অসন্তুষ্ট হইতে পারেন। তখাণি আমরা সেইরূপ নিঃসংশয়েই ছাত্রদিগকে বোড়ে মনে করার প্রতিবাদ করিতেছি, যেরূপ