পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

こち否 সমস্ত উজ্জল ও সজীব করিতে হইবে। এই সকল কাজের কথা স্মরণ করিলে আমার দুৰ্ব্বলতা চলিয়া যায় । আমার কাজ অসম্পন্ন থাকিবে না--আমি রণে ভঙ্গ দিব না। ইংরাজি শিক্ষার সুবিধার জন্য আমি সুবোধকে আবার দিল্লি হইতে টানিয়! আনিয়াছি । সুবোধ ইংরাজি ভাল পড়াহত । দিল্লিতে সে হেডমাষ্টার হইয়া আমাকে বড় বিপদে ফেলিয়াছিল । আমি তাহাকে জবরদস্তি করিয়া এখানে ফিরাইয়াড়ি । অরবিন্দ সম্বন্ধে এগন হইতে আপনি আর কিছুই ভাবিবেন না। আপনি কেন আমাকে লোভ দেখাইতেছেন ! দাৰ্জিলিঙে আপনার ওখানে যাইতে পারিলে তামি আর কিছু চাহিতাম না। কিন্তু বালককালে ইস্কুল পালাইয়াছি এ বয়সে আর চলে না । আমার আনেক লেখাপড়ার কাজ মুস্তবি আছে—আপনার আশ্রয়ে যদি যাইতে পারিতাম তবে অধ্যাপক একদিকে আর এই সম্পাদক শার একদিকে নিঃশব্দে আপন আপন কাজে লাগিয়া %কিতাম। --ক্ষুধার সময় আপনার কাছে গিয়া পড়িতাম—- কণ্ঠ নিরামিষ, তাঙ্গ বলিতেছি--আর কই মাছ’নয় . দ্বিপদ চত্বপদের ত কথাই নাই । কলিকাতার চেয়ে “রীরটা অল্প একটু সারিয়াছে । যদি ছুটি লওয়া সঙ্গত ও আবশ্যক বোধ করি তবে , অগ্রহায়ণের পূৰ্ব্বে নড়িব না। শমার বোটে কি আপনাদের টানিতে পারিব না ? শামাকে নিঃসহায় পদ্মায় বিসর্জন দিবেন ? আমাকে যদি এমন করিয়া অবহেলা করেন তবে একলা এই শরীরটাকে লষ্টয়া কত করিব ? আপনাদের শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতন বোলপুর মাননীয়াম ঠিক নববর্ষের প্রথম দিনের প্রভাতে আপনার চিঠি অনিন্দসংবাদ বহন করিয়া সমুদ্র পার হইয়া এই প্রাস্তরের মধ্যে আমার হাতে আসিয়া উপস্থিত হইল। কলিকাতা ইঠতে সেদিন অনেক কলেজের ছাত্র এবং মোহিত বাবু প্রভৃতি অধ্যাপকদল এথানে উপস্থিত ছিলেন । প্রাতঃকালের উপাসনা শেষ করিয়া আমরা আমাদের বিদ্যালয়গৃহে বসিয়াছিলাম এমন সময় আপনার পত্ৰখানি সিয়া আমাদের উৎসব সম্পূর্ণ করিয়া দিল। আমাদের রবীন্দ্রনাথের পত্ৰণৰলী a&6. এই বাংলা দেশের নববর্ষের আনন্দ-অভিবাদন আপনারা গ্রহণ করুন। অধ্যাপক মহাশয় জয়যুক্ত হইবেন তাহাতেসন্দেহ মাত্র করি না--নি:শব্দ ভারতবর্ষ তাহাকে শেষ পৰ্য্যস্ত সাহায্য করিবে। ক্ষণে ক্ষণে আমার কেবলি ইচ্ছা হয় আপনাদের দেপিয়া আসি । নানা কারণে আমি তাহাতে অক্ষম । ঘদি আপনারা ভারতবর্ষে ফিরিবার সময় জাপান দিয় ঘুরিয়া আসেন তবে সেই সময়ে জাপানে গিয়া আপনাদের সহিত সাক্ষাং করিবার জন্য একান্ত চেষ্টা করিব । নিবেদিতার কল্যাণে একটি জাপানীর সহিত আমার বন্ধুতা হইয়াছে—অধ্যাপক মহাশয়কে তাহারা জাপানে বন্দী করিবার জন্য অত্যস্থ উৎসুক আছেন । আমার এখানকার পবর আপনি নিশ্চয় জানেন । আমি এখন গুটিকয়েক বালক লইয়া এখানে নিভৃতে পড়াইতেছি। আশা করিতেছি এই গঙ্কুরটি ক্রমে বড় গাছ হইয়া ফলবান হইয়া উঠিবে। ইতি ৩রা বৈশাখ ১৩০৫ আপনাদের শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ξ কলিকাতা ৪ জুন ১৯০১ মাননীয়াম আপনি ধন্ত । গামরাও দরে থাকিয়া তাহার বন্ধুত্বে ধন্য হইয়াছি । আমার গৰ্ব্ব আমি গোপন করিতে পারিতেছি না -আমি সকলকে জয় সংবাদ জানাইয়। বেড়াইতেছি । ত্রিপুরার মহারাজকে কাল টেলিগ্রাফ করিয়া দিয়াছি । - বন্ধুকে তাহার কৰ্ম্ম সমাধার পূৰ্ব্বে দেশে আসিতে দিবেন না। এদেশে তাহার জীবন নির কি হইবে। আমরা তাহাকে যুরোপে রাখিবার আয়োজন করিতে পারিব—তিনি যেন তাহার এই সামান্য কাজটুকু করিবার অবসর আমাদিগকে দেন । আপনার প্রবাসে থাকিয়াও আমাদের অপেক্ষাও ভারতের অস্তরে রহিয়াছেন—সেইখানে, স্বদেশের হৃদয়মণ্ডপে, চিরদিন আপনাদের প্রতিষ্ঠা অক্ষয় হউক! আপনাদের ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর