পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

た5百 গুহাস্থ চিত্রগুলি সম্ভবত নবপ্রস্তর-যুগের, অর্থাৎ আল্পমানিক সাত সহস্র বর্ষ,আগের । এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যাইতে পারে যে পাশ্চাত্য প্রাগৈতিহাসিক গবেষণার ফলে অনুমান হয় যে মানবের উদ্ভবকাল হইতে এখন অন্ততঃ পাচ লক্ষ বৎসর অতীত হইয়াছে । এই পাচ লক্ষ বৎসরের মধ্যে প্রথম দুই-তিন লক্ষ বর্ষে লগুড়াদি ও অমার্জিত উষাশিলার (Boliths-এর) যুগ ছিল । পরে লক্ষাধিক বর্ষ ঘাবং পুরাতন প্রস্তর মগের (Paleolithio Age-এর) স্থিতিকাল ও তৎপরে কেবল তিন-চারি সহস্র বর্ষ যHবং নুতন প্রস্তর-যুগের (Neolithic A c) এরস্থিতিকাল ছিল, অর্থাৎ পালিশ-কর। নানাবিধ প্রস্তরায়ুধ নিৰ্ম্মিত ও ব্যবহৃত হইত। এই যুগেই কৃষিকৰ্ম্মের প্রবর্তনের প্রমাণ প ওয়া যায় । তাহার পর আজ হইতে আনুমানিক কেবল সাত সহস্র বর্ষ মাত্র ধাতুর আবিষ্কার হইয়াছে ও পূ ত্বর অস্ত্র, অলঙ্কার ও তৈজসপত্রাদি নিৰ্ম্মাণ ও ব্যবহার .pলিতেছে ইহার প্রথম নূ্যনাধিক তিন হাজার বৎসর তাম্র ও ব্ৰঞ্জের যুগ ছিল ; পরে কেবল আজ হইতে সামানিক চার হাজার বৎসর মাত্র লৌহ-যুগ, অর্থাং লৌহের অস্থাদি নিৰ্ম্মিত ও ব্যবহৃত হইতেছে । কিন্তু দেশভেদে বিভিন্ন যুগের স্থিতিকালে কিছু প্রভেদ দেখা যায়। যাদু ও ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের উৎপত্তি সে যাহা হউক, প্রাগৈতিহাসিক কালের যে অমুকরণমূলক যাদুক্রিয়ার (imitative magica?) Exão করিয়াছি তাহার প্রাকুভাব বর্তমান কালের তথাকথিত অসভ্য জাতিদের মধ্যেও দেখা যায় । আর সভ্যতর জাতিদের মধ্যেও এই শ্রেণীর অন্তষ্ঠান আদৌ বিরল নহে। ইহার মূলস্বত্র এই ষে ক্ষপিত বস্তু বা অবস্থ ব ঘটনার বাহিক অন্তকরণ দ্বারা ও অতুরূপ শব্দ বা মন্ত্র উচ্চারণ দ্বারা ঐ বস্তু, ঘটন। বা অবস্থার আবির্ভাব সম্ভাব্য । অষ্ট্রেলিয়ার অসভ্য জাতিদের Iatichiuma নামধেয় অমুষ্ঠানগুলি, ইহার প্রকৃত উদাহরণ । খাদ্যোপযোগী বিশেষ বিশেষ পশুপক্ষীর রূপ ও ভাবভঙ্গীর অনুকরণমূলক নৃত্যাভিনয় ও তাহাদের মাংস ভক্ষণ দ্বারা তাহাদের সহিত যোগস্থত্র Գtrs স্থাপন করিয়া ঐ ঐ জাতীয় পশুপক্ষীর বংশবৃদ্ধিবু ziņE?tē Intichiuma zyờtrzā BTR-7 | (tēaপুরের আদিম জাতিদের মধ্যে এই শ্রেণীর অনুষ্ঠানসমূহের উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যাইতে পারে যে, তাহার এবং তাহাদের কোনও কোনও সভ্যতর হিন্দু প্রতিবেশীরা ও অনাবৃষ্টির সময় বুষ্টি-উৎপাদনের আশায় ঐরূপ অন্তকরণমূলক অতৃষ্ঠান করিয়া থাকে। গ্রামের রমণীর দলবদ্ধ হইয় গ্রামপুরোহিত-পত্নীর নেতৃত্বে • অতি প্রত্যুষে স্নানান্তে জলপূর্ণ কুন্তু লইয়। কোনও অশ্বখ বৃক্ষের পাদদেশে যায় ও তথায় বৃষ্টির অনুকরণে জলধারা বর্ষণ করে । আর নিকটে কোন অন্তচ পাহাড় বা ঢিবি থাকিলে কেহ কেহ তাহার উপর উঠিয়া পাহাড়ের গাত্রের প্রস্তরগণ্ড গড়াইয়া দিয়া বজনির্নোমের অনুকরণ করিতে চেষ্টা করে । তাহদের বিশ্বাস ধে এইরূপ অন্তষ্ঠানের দ্বারা অচিরে কুষ্টি আকৃষ্ট হইবে । অধিকন্তু, এই সঙ্গে দেবোদ্দেশ্যে কুকুট বলিও দিয়া থাকে। মানুষের ও গোমহিমাদির সংক্রামক রোগ দরীকরণের উদ্দেশ্যেও একাধিক অনুকরণমূলক অনুষ্ঠানের প্রচলন আছে। ক্ষেত্রে প্রচুর শস্যাদি লাভের মানসে বীজ বপনের পূৰ্ব্বে ধে ধৰ্ম্মাহুষ্ঠান করে তাঙ্গতে তাহার আল্পষঙ্গিক ক্রিয়ার মধ্যে প্রচুর জল ঢালিয়া কাদ মাটি করিয় তাহাতে নৃত্য করে ও সুর্য্য দেবতার সহিত পরিত্রীর উদ্বাহের অনুকরণকল্পে স্বর্য্যদেবের প্রতীকস্বরূপ গ্ৰাম্য পুরোহিতের সহিত তাহার সহধৰ্ম্মিণীর বিবাহক্রিয়ার অভিনয় করে । তাহাদের বিশ্বাস যে এই অনুষ্ঠানের ফলে স্থয্যদেব ধরিত্রীর গর্ভাধান করেন ও বসুমতী প্রচুর ফলপ্রস্থ হন । হিন্দুর অম্বুবাচীর মূলেও ঐরূপ বিশ্বাস বৰ্ত্তমান। কোন কোন অসভ্যজাতি শস্যক্ষেত্রের উংপাদিক শক্তি বৃদ্ধির আনুষ্ঠানিক উপায়স্বরূপ পৰ্ব্ব-বিশেষে স্ত্রী-পুরুষের অসংযত সঙ্গমের ব্যবস্থা দেয় । আদিম জাতিদের ন্যায় ছোটনাগপুরের হিন্দু জাতিরাও জলাশয়ের ও ফলোদ্যানের “বিবাহে”র “অনুষ্ঠান করে । - প্রাণশক্তি, ও আদিম যোগসাধন প্রকৃতির গুঢ়তত্ত্বে অনভিজ্ঞ অসভ্য বর্বর জাতির