পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^ SeR প্রবাসী SNరి98 বিভক্ত হইলে রাষ্ট্রনেতার হস্তেই স্বভাবতঃ অধিকতর রাজশক্তি কেন্দ্রীভূত হওয়ায় ক্রমে এই “রাষ্ট্রনেতা রাজা” জাতির ও সমাজের প্রধান হইয় উঠেন । তিনি সমাজের প্রতীক ও প্রাণস্বরূপ পরিগণিত হন ও সৰ্ব্বদেবতার দেবত্ব তাহাতে আরোপিত হয়। এই জন্যই হিন্দুশাস্ত্রে রাজা অষ্টদিকপাল বজ্রধারী ইন্দ্র, জগং-নিয়ামক বরুণ, প্রজাপতি ব্ৰহ্মা প্রভৃতি। রাজার শক্তিবর্ণনাকল্পে বিভিন্ন দেশে রাজাকে সিংহ, ব্যাঘ্ৰ, হস্তী খেন-পক্ষী, মাগ-সপ প্রভৃতি আখ্যা দেওয়া হইত। এখনও তাহার স্মৃতি-নিদর্শনস্বরূপ পরাক্রান্ত জাতিদের জাতীয় পতাকায় এবং কোন কোন জাতির রাজস্বাক্ষরে ঐরূপ পশুপক্ষীর চিহ্ন অঙ্কিত হয়। রাচি জেলার ওঁরাওদের বিভিন্ন ‘পারহা’ বা গ্রামসজেঘর ঐরূপ বিশিষ্ট চিহ্নযুক্ত পতাকা এখনও আছে এবং তাহাদের রাজবংশের বিশেষ চিহ্ন ও স্বাক্ষর “নাগ-সপ ” । এইরূপে দ্বিবিধ রাজশক্তি হইতে ক্রমে রাজ্যশাসন ও ধৰ্ম্মাকুশাসনের (Church এবং State-এর) বিভাগ উৎপন্ন হইল। কালক্রমে পাশ্চাত্য প্রদেশে রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে অনেক স্থলে ধৰ্ম্মযাজকের ( Church-এর) ক্ষমতা লুপ্ত হইল । কেবল ভারতেই ব্রাহ্মণ, দেবতার প্রতীকরূপে রাজা অপেক্ষা কোনও কোনও অংশে শ্রেষ্ঠতর পদ অধিকার করিতে লাগিলেন । এই উপলক্ষে ব্রাহ্মণ ও রাজন্যবর্গের মধ্যে এককালে প্রতিদ্বন্দ্বিত চলিয়াছিল। শেষ পৰ্য্যন্ত ব্রাহ্মণের শ্রেষ্ঠতা অক্ষুণ্ণ রহিল—র্তাহাদের পার্থিব স্বাখত্যাগের ফলস্বরূপ । ব্রাহ্মণ যদিও রাজমন্ত্রী রূপে রাজার অধীন এবং তাহার আসন রাজার নিম্নে তবু রাজগুরু ও রাজপুরোহিত রূপে তিনি রাজার নমস্ত । জাতিভেদের উৎপত্তি এই প্রসঙ্গে ভারতের জাতিভেদের উৎপত্তি সম্বন্ধে সামান্য ইক্ষিতমাত্র করা অসমীচীন হইবে না। কাৰ্য্যবিশেষে নিযুক্ত থাকায় ক্রমে পরিবারবিশেষের ঐ কাৰ্য্যে স্বভাবতঃ পারদর্শিতা জন্মে। এইরূপ কৰ্ম্মজনিত পার্থক্য • হইতে ক্রমে গুণগত পার্থক্য জন্মে। হিন্দুর জাতিভেদও সম্ভবতঃ এইরূপ কাৰ্য্যঘটিত পার্থক্য হইতে স্থচিত হইয়া গুণগত পার্থক্যে পৰ্য্যবসিত হইয়াছিল। যজ্ঞ বা ধৰ্ম্ম ক্রিয়ার হোতৃত্ব হইতেই ব্রাহ্মণ জাতির উৎপত্তি। এইরূপে পুরোহিত বংশগুলিকে সমাজ পৃথক করিয়া সৰ্ব্বোচ্চ আসন প্রদান করে ও রাজন্য বংশগুলি ক্ষত্রিয় জাতিরূপে পৃথক হইলে জনসাধারণ বৈশ্য বা Commonalty co, s fifto win (conquered slaves) শূদ্ৰশ্রেণীতে পরিগণিত হইল। ষে শ্রেণীবিভাগ পূৰ্ব্বে কৰ্ম্মগত ছিল তাহা কালে বংশগত হইয়া লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়া পড়িল । সভ্যতার পরিণতি সভ্য সমাজের পরিণতির ক্রম সংক্ষেপে এইরূপ নির্দেশ করা যাইতে পারে। সমগ্র জাতি ও রাজ্যের কেন্দ্র রাজা । র্তাহাতেই দেশের বা সমাজের আত্মা অবস্থিত। রাজার সমৃদ্ধিতে দেশের ও জাতির সমৃদ্ধি । তাই সৰ্ব্বদেশে রাজাকে আড়ম্বর ও গৌরবে মণ্ডিত করিয়া রাখা হয়। সেজন্য ও রাজকাৰ্য্য পরিচালনার জন্য অর্থের প্রয়োজন । ইহার ফলে ভাগ-প্রদান প্রথার উৎপত্তি হইল। রাজা সমাজের ও দেশের প্রাণস্বরূপ, সেজন্য দেশে উৎপন্ন দ্রব্যজাতের একাংশ তাহার প্রাপ্য হইল। প্রতিদানস্বরূপ রাজ। দেশের ও সাধারণের হিতার্থেই ঐ অর্থের অধিকাংশ ব্যয় করিতেন । এই রাজার প্রাপ্য অংশ পরে রাজকরে পরিণত হইল ও কালে রাষ্ট্রের রাজস্ব ও হিসাব föfðið (Revenue, Finance and Accounts Department-az) Esofs zēns i সাহিত্যস্থষ্টির প্রধান উপাদান যে সুন্দরের অনুভূতি, তাহার উন্মেষ ও আংশিক বিকাশ আদিম-জাতিদের সঙ্গীত, উপাখ্যান, বা কল্পিত উপকথা (myths) প্রভৃতি রচনাতে দৃষ্ট হয়। সুন্দরের রূপ ধরিবার ও প্রকাশ করিবার উদ্দেশ্য প্রণোদিত কলাবিদ্যার প্রথম পরিচয় পুরাতন প্রস্তরযুগের গুহাচিত্রে ও কোনও কোনও অসভ্য জাতিদের গৃহের প্রাচীরচিত্রে ও ধৰ্ম্মক্রিয়ার আলিপনায় এবং নৃত্যাদিতে পাওয়া যায়। সভ্য সমাজে রাজার ও রাজন্তবর্গের ভোগবিলাসের তৃপ্তিসাধনের জন্ত সেই কলাবিদ্যার প্রভূত পুষ্টিসাধন হইতে লাগিল ; ও তাহার সম্যক ফুরণ ও ঐদ্ধি মঠমন্দিরের ও দেবমূৰ্ত্তির স্থাপত্য