পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

沈ラエ সরকারের এক অমর কীৰ্ত্তি ।" ु হইতে উপাদান সংগ্ৰহ করিয়া প্রবাসী পত্রিকায় পনর বৎসর পূৰ্ব্বে তিনি ছয়টি প্রবন্ধ লিখেন। ঐ প্রবন্ধগুলি পাঠেই প্রথম আমরা প্রতাপাদিত্য, ওসমান, ঈষা খার পুত্র মুশা খা, সাহাজাদপুর, খলসী ও চাদপ্রতাপের হিন্দু জমীদারগণ ইত্যাদি অসংখ্য বাঙালী বীরগণের বিশ্বত কীৰ্ত্তিকাহিনী সম্বন্ধে প্রকৃত তথ্য জানিতে পারি। কি পরিমাণ বাধা প্রতিহত করিয়া জাহাঙ্গীরের মুবাদার ইসলাম খাকে বাংলা দেশ মোগলশাসনে আনয়ন করিতে হইয়াছিল, মোগলপক্ষীয় প্রত্যক্ষদশী লিখিত তাহার বিবরণ পড়িয়া আমরা বিস্ময়ে স্তম্ভিত হইয়া যাই ! সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পারস্ত-বিভাগের অধ্যক্ষ ডক্টর বরা মূল পারসী হইতে ইংরেজী ভাষায় অনূদিত করিয়া আসাম গবর্ণমেণ্টের সাহায্যে তাহ প্রকাশিত করিয়া এই অমূল্য পুস্তক সৰ্ব্বসাধারণের অধিগম্য করিয়াছেন । সর যদুনাথ অক্লান্ত উদ্যমে আঞ্জীবন স্বয়ং ইতিহাসের দুষ্ট ত করিয়াছেনই, সেই উদ্যম তাহার শিষ্যবৃন্দে সঞ্চারিত করিয়া তিনি যে একটি ঐতিহাসিকমণ্ডলী গঠিত করিয়া তুলিয়াছেন, তাহার সেই কীৰ্ত্তি করান্তস্থায়ী হইবে । অধ্যাপক ডক্টর শ্রীযুক্ত কালিকারঞ্জন কাননগো প্রমুখ তাহার, শিষ্যবৃন্দ তাহার পন্থা অনুসরণ করিয়া মোগল ও মোগল-পর যুগের ইতিহাসের অনেকগুলি অন্ধকার কোণ প্রশংসনীয় উদ্যমের সহিত আলোকিত করিয়া তুলিতেছেন। সৰু যদুনাথের অন্যতম শিষ্য শ্ৰীযুক্ত ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় “সংবাদপত্রে সেকালের কথা” সঙ্কলিত করিয়া আধুনিক কালের ইতিহাসচর্চার পথ মৃগম করিয়াছেন । ডক্টর তাণ্ডারকরের সম্মেহ লালনে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাসচর্চার এক প্রধান কেন্দ্রস্থান হইয়া দাঁড়ায় ডক্টর ভাণ্ডারকরের কৃতী ছাত্র ডক্টর ঐক্ত হেমচন্দ্র রায় চৌধুরী স্বীয় কৃতিত্ববলে গুরুর আয়ুন অধিকার করিয়াছেন। তাহার ইংরেজী ভাষায় রচিত প্রাচীন ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাস বহুদিন পর্য্যন্ত অপ্রতিদ্বন্দ্বীস্বপে বিরাজ করবে। র্তাহার সহকৰ্ম্মী ডক্টর ঐযুক্ত ংলা দেশে ইতিহাসচর্চ ጫግ¢ স্বরেন্দ্রনাথ সেন মহাশয় মারাঠা শাসনযন্থের বিস্তৃত বিবরণ লিথিয়া যশস্বী হইয়াছেন। অন্যতম সহকৰ্ম্মী ডক্টর ঐযুক্ত". হেমচন্দ্র রায় মহাশয়ের ইংরেজী ভাষায় সঙ্কলিত বৃহৎ দুই খণ্ড “উত্তর-তারতের রাজবংশসমূহের ইতিহাস” (Dynastio History of Northern In, lia ) wwryfāvs orfiwfw সহকারে সঙ্কলিত । এই গ্রন্থ ভবিষ্য অনুসন্ধিৎসুগণেব নিত্যসহচর হইয়া থাকিবে । ইহাদের নিপুণ শিক্ষাপ্রভাবে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রগণের মধ্য হইতে অনেক ঐতিহাসিক উদ্ভূত হইবেন, সন্দেহ নাই । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূৰ্ব্বতন ইতিহাসের অধ্যাপক এবং বর্তমান ভাইসচান্সেলর ডক্টর ঐযুক্ত রমেশচন্দ্র মজুমদার মহাশয় প্রথম জীবনে ভারতের ও বাংলার ইতিহাসের একনিষ্ঠ সেবা করিয়া ইতিহাসক্ষেত্রে অনেক নূতন তথ্যের প্রতিষ্ঠা করিতে সমর্থ হইয়াছেন। পরে তিনি বৃহত্তর ভারতের ইতিহাসই নিজের গবেষণার বিশেষ ক্ষেত্র বলিয়। বাছিয়া লইয়া নিষ্ঠার সহিত তাহার চর্চা করিয়া আসিতেছেন। পরলোকগত অক্ষয়কুমারের বড় সাধ ছিল, তিনি বাঙালীকে এই ইতিহাস শুনাইবেন । র্তাহার “সাগরিকা” এই উদ্যমেরই পূৰ্ব্বাভাসরূপে সমাজপতির সাহিত্য’ পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়াছিল। ডক্টর মজুমদার অক্ষয়কুমারের সেই সাধ সম্পূর্ণ করিয়াছেন। এত কাল দেশীয় ভাষায় এই বিষয়ে ত পুস্তক ছিলই না, ইংরেজী ভাষায়ও এই বিষয়ের পুস্তকের নিতান্ত অসম্ভাব ছিল । ডক্টর মজুমদারের পুস্তক সেই অভাব মোচন করিয়াছে। তাহার ইংরেজী ভাষায় রচিত “চম্পা” ও “সুবর্ণদ্বীপ”, চম্পা, যবদ্বীপ, স্বমাত্রা, ও মালয় উপদ্বীপে হিন্দু রাজ্যসমূহের সম্পূর্ণাঙ্গ বিবরণরূপে আদৃত হইয়াছে। ডক্টর মজুমদারের লালনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হইতে এক দল নবীন ঐতিহাসিকের উদ্ভব হইয়াছে। ইহাদের মধ্যে ডক্টর ক্রমান ধীরেন্দ্রচন্দ্র গাঙ্গুলী, শ্ৰীমান হিমাংশুভূষণ সরকার, শ্ৰীমান নীরদভূয়ণ রায়, শ্ৰীমান প্রমোদলাল পাল এবং শ্ৰীমতী করুণাকণা গুপ্ত বিবিধ পুস্তক ও প্রবন্ধ রচনা দ্বারা খ্যাতিভাজন হইয়াছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রমতী করুণাকণা এবং কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী