পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سواولاسوا দেওয়া কত প্রয়োজন। অবশ্য দুই টনায় সম্পর্ক নাই । কিন্তু ইহার পরেই মিঃ ইডেন বিদায় লইলেন । 8 মানিতেই হইবে আজ ইউরোপ জুড়িয়া ফাসিস্ত এক-নায়কত্বের জয়যাত্র চলিয়াছে। ফ্রান্স, চেকোস্লোভাকিয়া আধা-এশিয়াটিক শক্তি সোভিয়েট রুশিয়া ছাড়া ফাসিজমের ঢেউ রোধ করিবার মত ইউরোপে আজ, আর কেহ নাই। এই কারণেই, বিশেষতঃ হিটলারের অভু্যদয়ের ফলে, ইহারা পরম্পর নিকটতর হইয়াছে, ব্রিটেনকেও তাহারা গণতান্ত্রিকতার নায়ক হিসাবে নিজেদের দলে পাইতে প্রত্যাশা করে— তাহা পাইলে তাহারা একটু নিশ্চিন্তু হয় ; না হইলে বর্তমান ইউরোপের ফাসিজমের সম্মুখে ইহারা দাড়াইতে পারিবে কি ? ফ্রান্সে অবশু “ফ্রং পপুলের” বা গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক ও সাম্যবাদীদের সম্মিলিত দলই এখনও ক্ষমতাশালী । কিন্তু ফ্রান্সের আর্থিক বনিয়াদ কিছুতেই পাকা হইতেছে না। সেই চাপেই আবার মন্ত্রিমণ্ডলের পরিবর্তন ঘটিল। কিন্তু তাহারও সমরায়োজন চলিয়াছে বিপুল বেগে । আর পররাষ্ট্রনীতিতে সে জাৰ্ম্মেনীর বিরুদ্ধে ইতালীকে স্বপক্ষে পাইতে চায়, ব্রিটেনের সহিত একযোগে চলিতেই শে সচেষ্ট । বর্তমানে তাই ফ্রান্স অবশ্য ইঙ্গ-ইতালীয় আলাপের নামে খুশী হইয়াছে, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ফরাসী মন্ত্রিমণ্ডল জানাইয়াছেন যে, তাহারা জাতিসঙ্ঘের চুক্তি “ঐকত্রিক নিৰ্ব্বিগ্নতা” প্রভৃতি স্বীকৃত নীতিকে পরিত্যাগ করিবেন না ; তাহা ছাড়া অষ্ট্রিয়া বা চেকোস্লোভাকিয়ার স্বাধীনতাও ক্ষুণ্ণ হইতে দিবেন না। এদিকে গণতান্ত্রিক চেকোস্লোভাকিয়ার দুর্বিপাকের দিনও হয়ত নিকটেই । বহুসংখ্যক ( প্রায় ৩০ লক্ষ ) জাৰ্ম্মানের দ্বারা তাহার একাংশ অধুষিত। হিটলারের মূলনীতি হইল তাহাদিগকে জার্মাব রাষ্ট্রের অন্তভুক্ত করা । অতএব, চেকোস্লোভাকিয়া সতর্ক ও সস্ত্রস্ত—অষ্ট্রিয়ার * পরেই তাহার পালা। তাহার-ভরসা ফ্রান্স ও রুশিয়া । এক দিক হইতে সাম্যবাদী য়েট রুশিয়ার বন্ধু কেহ প্রবাসী SN938 নাই। কিন্তু বিশ বৎসরের সংগঠনে তাহার শক্তি বিপুল, সাম্যবাদ নাকি এত দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত যে মাজ গণতান্ত্রিক শাসন-ব্যবস্থাও কতকাংশে প্রচলিত হইয়াছে ; অন্য দিকে তাহার আর্থিক অবস্থার কথা শুনিলে বিস্ময়ের অবধি থাকে না । তাই অনেকেই তাহার বন্ধুত্ব কামনা করে । অথচ, উৎকর্ণ ও উদগ্রীব পৃথিবী তথাপি দেখিয়া চমকিত হয়, একে একে এই বিপুল রাষ্ট্র ও সমাজের কর্ণধারগণ ইহার নিকট বলি যাইতেছেন। ঠিক এই মুহূৰ্ত্তে এমনি আবার একটি আয়োজন হইতেছে । হয়ত ইহাদের . ছাটিয়া ফেলিয়া, সাম্যবাদীরা না হউন, ষ্টালিনের রুশিয়া রাষ্ট্র-হিসাবে আরও দৃঢ়মূল হইতেছে। অন্তত: সাইবেরিয়ার সোভিয়েট-বাহিনী সম্পর্কে ইহাই বলা হয় । কিন্তু সোভিয়েট পররাষ্ট্রনীতিরও আজ সেই প্রথম যুগের দুঃসাহসিক মুক্তিবাণী নাই। স্পেনকে সে সাহায্য করিতেছে, কিন্তু ইতালী বা জাৰ্ম্মেনীর তুলনায় সে সাহায্য বেশী নয় ; চীনকে সে কতটুকু সাহায্য করিবে তাহা এখনও অনিশ্চিত । তথাপি এই কথা মানিতে হইবে, পূৰ্ব্ব-পশ্চিমের ফসিজমের বিরুদ্ধে এই সোভিয়েট রুশিয়াই আজ প্রবলতম বাধা—উক্রেইন ও মঙ্গোলিয়া বা সাইবেরিয়ায়ই হয়ত ভাবী দিনের 'ইজমের যুদ্ধের প্রথম ফুলকি জলিবে। ষ্টালিনও সম্প্রতি স্পষ্টই বলিয়াছেন, সোভিয়েটের সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তিদের মিত্রতা এবং রোম-বার্লিনের ফাসিজম্ ও টোকিওর সাম্রাজ্যবাদের সংঘর্ষ প্রায় অনিবাৰ্য্য। (? এই ভাবেই সুদূর প্রাচ্যও সুদূর পশ্চিমের সঙ্গে জড়াইয়া গিয়াছে। ইতিপূৰ্ব্বেই কোমিটার্ণের বিরোধিতা স্বত্রট অবলম্বন করিয়া জাপান জুনীে ও ইতালীর সহিত মিত্রতাস্থত্রে আবদ্ধ হইয়াছে ; Aংসী বা ফাসিস্তদের অপেক্ষা জাপানী ক্ষত্রিশক্তিও রেয়া পলেটিকে’র কম डङ नृत्व। চীনের গৃহসংস্কার আরম্ভ হইতেই তাই জাপানীর তাহার ধ্বংসের ঔজর খুজিয়া লইয়াছে কে একে চীনের < ইতিহাসপ্রসিদ্ধ নগরগুলি জাপানের হস্তগত হইয়াছে ! ময়ু-শক্তির চুক্তি ও ওয়াশিংটন চুক্তি, অবাধ বাণিজ্য