পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৬২

চৈত্র বিবিধ প্রসঙ্গ—ৰঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন দলের সম্মিলিত মন্ত্রিমণ্ডল গঠষ্ট্রের গুজব ৮৮৩ هست অযোধ্য ও বিহারের এই লোকগুলির চেয়ে ভয়ানক মানুষ ? মহীশূর রাজ্যে রাজনৈতিকু বন্দী খালাস মহীশূরে রাজনৈতিক অভিযোগে দ্ধ সমুদয় বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হইয়াছে এবং ঐরুপ অভিযোগে আদালতে যাহাঁদের বিচার হইতেছিল, তাহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মহীশূর গবষ্মেন্ট প্রত্যাহার করিয়াছেন। বঙ্গের যে-সকল অস্তরিত ও রাজনৈতিক অভিযোগে কারারুদ্ধ ব্যক্তিকে এখনও মুক্তি দেওয়া হয় নাই, তারা বোধ করি অপার্থিব রকমের কোন কিছু করিয়া r. রাজদ্রোহ অপরাধ সম্বন্ধে ভারতবর্ষের একত্ব f লোপ ভারতবর্ষীয় ফৌজদারী দণ্ডবিধি আইনের অর্থাৎ পীন্যাল কোডের ১২৪-ক ধারা রাজদ্রোহ অর্থাৎ সিড়ীখন অপরাধে }পরাধী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ-শাসিত ভারতবর্ষের সৰ্ব্বত্র প্রমুক্ত হইয়া আসিতেছিল। কংগ্রেসের বহু নেতা ও সাধারণ সত্য এই ধারা অনুসারে দণ্ডিত হইয়াছিলেন। তাহারা যদি দণ্ডিত না হইতেন তাহা হইলেও ঐ ধারাটি ও অন্য কোন কোন দমনাত্মক আইন স্বাধীনতা অর্জনের পথে বাধা স্বষ্টি করে বলিয়া কংগ্রেস দমনাত্মক আইন মাত্রেরই বিরোধী, এবং কংগ্রেসীদের নির্বাচনবিষয়ক ইস্তাহারে (ইলেকগুন ম্যানিফেষ্টোত্যুে) ঐরূপ সব আইন প্রত্যাহারের আশাও দেওয়া হইয়াছিল। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কৰ্মীটি বোম্বাই অধিবেশনে এই নির্দেশ দেন, যে, যে-সকল প্রদেশে কংগ্রেসী মন্ত্রিমণ্ডল গঢ়ি হইয়াছে, সেখানে কুবল হিংসাত্মক উত্তেজনা বা হিংসাত্মক কেঞ্চক-দি এবং সাম্প্রদায়িক বিরোধজনক লে বা কাজের বিরুদ্ধে ১২৪-ক ধারা প্রযুক্ত হইবে । ওয়ার্কিং কৰ্মীটি এইরূপ নির্দেশ দেওয়ায় প্রদেশে ঐ প্লারার কার্য্যক্ষেত্র সংকীর্ণ হইয়া আসিয়াছেY. এপ্রিতি উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের ব্যবস্থাপক সভায় যে নূতন আইনের প্রস্তাব গ্রী হইয়াছে, তাহ r. তথাকার গবর সহ করিয়া মঞ্জুর করিলে, ঐ প্রদেশে খ্ৰীষ্কাল কোডের ১২৪-ক ধারা, ফৌজদারী কাৰ্য্যবিধির ১০৮ ধারা, সীমান্ত-অপরাধ-দমন আইন ও জরুরি প্রেস আইন প্রত্যাহৃত হইবে, এবং ফৌজদারী কাৰ্য্যবিধির ১৪৪ ধারা এ প্রকারে সংশোধিত হইবে, যে, উহা আর রাজনৈতিক আন্দোলন ও কাৰ্য্যকলাপ দমনের উদ্দেশ্যে প্রযুক্ত হইবে না। সুতরাং কংগ্রেস ওয়ার্কিং কৰ্মীটি যাহা করিয়াছেন ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের ব্যবস্থাপক সভা" যাহা করিয়াছেন, তাহাতে অবস্থা এই দাড়াইতেছে, যে, যাহা চারিটি প্রদেশে রাজদ্রোহ, সাতটি প্রদেশে তাহ রাজদ্রোহ বিবেচিত হইবে না। দেখাও যাইতেছে, যে, সম্প্রতি বঙ্গে দুইটি দৈনিকের সম্পাদক ও মুদ্রক রাজদ্রোহ অপরাধে ১২৪-ক ধারা অনুসারে দণ্ডিত হইয়াছেন । অতএব, জয়েণ্ট পার্লেমেন্টারি কর্মীটি যে ভারতবর্ষের একত্ব নষ্ট করিতে চাহিয়াছিলেন, ক্রমে ক্রমে তাহাদের সে উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইতেছে । রাজদ্রোহ সম্বন্ধে আইন বা তাহার প্রয়োগ যে সৰ্ব্বত্র এক থাকিতেছে না, ইহা অবশু তাহাদের অভিপ্রেত ছিল না ! বঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন দলের সম্মিলিত মন্ত্রিমণ্ডল @ গঠনের গুজব বঙ্গে কংগ্রেস ও অন্য কোন কোন দলের সম্মিলিত মন্ত্রিমণ্ডল গঠনের যে গুজব রটিয়াছে, তাহার প্রতিবাদও হইয়াছে। মৌলানা আবুল কলাম আজাদ বলিয়াছেন, এরূপ মন্ত্রিমণ্ডল গঠনের সহায়তা করা গান্ধীজীর কলিকাতা আগমনের অন্যতম উদ্দেশ্য, ইহা সত্য নহে। ঐযুক্ত শরৎচন্দ্র বস্তুও বলিয়াছেন, যে, তিনি ও-রকম কোন প্রস্তাবঘটিত কোন কথাবাৰ্ত্তার বিষয় অবগত নহেন । কিন্তু গুজবটা রটিয়াছে, যে, বঙ্গের বর্তমান মন্ত্রিসভার কিছু পরিবর্তন হইতে পারে-কোন কোন ব্যক্তি মন্ত্রী। থাকিবেন না, কোন কোন অ-মন্ত্রী র্তাহাদের জায়গায় বাহাল হইবেন, এবং নৃতনু ব্যক্তিরা কংগ্রেসী হইতেও পারেন। তাহা হইলে শরৎবাবু ৰ মৌলানা আবুল কলাম आखाएँ कि किडू छानैिरडन नै ? धषवा श्ब्रड उंशद्रा