পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8سbسو٦ কংগ্রেসী-সরকারী ভাবে অর্থাৎ অফিণ্ডালি’ অবগত নহেন ; স্বতরাং গুজবটা অন-অথরাইজ টু’ ! 救 মামি গত ফেব্রুয়ারির শেষে ও বর্তমান মার্চের গোড়ায় শান্তিপুরে ছিলাম। সেখানে কোন বিশিষ্ট ব্যক্তি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, রবীন্দ্রনাথ বঙ্গে কংগ্রেসীদের সহযোগে সম্মিলিত মন্ত্রিমণ্ডল ("কোয়ালিশুন মিনিধি” ) গঠনে কোন সাহায্য করিতেছেন কি না। আমি বলিলাম, আমি এ-বিষয়ে কিছু জানি না, রবীন্দ্রনাথের সহিত আমার এ-বিষয়ে কোন কথা হয় নাই। ডাক্তার ঐযুক্ত বিধানচন্দ্র রায় ও শ্ৰীযুক্ত নলিনীরঞ্জন সরকার যে একসঙ্গে বধর্ণয় মহাত্মা গান্ধীর নিকট গিয়াছিলেন, বোধ হয় গুজবটি রটিবার তাহ একটি কারণ ; রবীন্দ্রনাথের নাম উহার সহিত জড়িত হইবারও উহা একটি কারণ হইতে পারে । কংগ্রেসের কোন নীতি পরিত্যাগ না করিয়া যদি বঙ্গের কংগ্রেসী দল অন্য কোন বা কোন-কোন দলের সহিত সহযোগিতা করিয়া মন্ত্রিমণ্ডল গঠন করিতে পারেন, তাহা হইলে তাহ বাংলা দেশের পক্ষে ভাল হয় । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গের মন্ত্রিমণ্ডল কয়েক দিন পূৰ্ব্বে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদবীসম্মান-বিতরণ সভার অধিবেশন হইয়াছিল। এই কনভোকেশ্যনে বঙ্গের প্রধান মন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী মৌলবী ফজলল হক এবং অপর পাচ জন মুসলমান মন্ত্রীর মধ্যে এক জনও উপস্থিত হন নাই। ভূতপূৰ্ব্ব শিক্ষামন্ত্রী এবং বর্তমানে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার স্পীকর’ মৌলবী আজিজুল হকও অনুপস্থিত ছিলেন। হিন্দু মন্ত্রীদের মধ্যে "নলিনীরঞ্জন সরকার, ঐযুক্ত প্রসন্নদেব রায়কত ও ঐযুক্ত মুকুন্দবিহারী মল্পিক উপস্থিত ছিলেন। অপর দুই জন হিন্দু মন্ত্রীর অনুপস্থিতি আকস্মিক কারণে ঘটিয়া /াকিতে পারে। কিন্তু মুসলমান মন্ত্রী ছয় জন ও মুসলমান স্পীকর, সকলেই যে অনুপস্থিত হইলেন, ইহা কি আকস্মিক ? আকস্মিক হওয়াটা ৰে সম্পূর্ণ অসম্ভব, তাহা বলা যায় না। কিন্তু আকস্মিক না হইলে তাহারা কি কারণে এই প্রকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি বিরাগ • প্রবাসী SN983 প্রদর্শন করিলেন ? মানুষ কাহারও উপর বিরক্ত হইলে তাহার ক্ষতি করিতে, তাহাকে জব্দ করিতে চেষ্টা করে। সাত জন মুসলমান রাজকৰ্ম্মচারী কনভোকেশ্যনে উপস্থিত না-হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ক্ষতি হইবে না। তাহাকে Aখ করিবার ও তাহার ক্ষতি করিবার অস্ত্র মন্ত্রিমগুলের হাতে আছে। কিন্তু সেই অস্ত্র প্রয়োগে বোধ হয় তাহারা হিন্দু মন্ত্রীদের সম্মতি পান নাই । হয়ত তাহাই এই নিষ্ফল বিরক্তিপ্রকাশের কারণ। মুসলমান মন্ত্রীরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর অসন্তুষ্ট, তাহা নানা কারণে অনুমিত হইয়াছে। মাধ্যমিক শিক্ষানিয়ন্ত্রণ বিলের খসড়া লইয়া তর্কবিতর্ক এবং “শ্ৰী” ও:পদ্ম” সম্বন্ধে আলোচনা এই রূপ অনুমানের কারণ । এগুরুজ সাহেবের বক্ততা এবার কনভোকেশ্যনে এগুরুজ সাহেব যে বক্তৃতা করিয়াছিলেন, তাহা একটু নূতন ধরণের। সাক্ষাং ও পরোক্ষ ভাবে রাজনীতির আলোচনা পরিহার করিবার ইচ্ছা এই প্রকার বক্তৃতার অন্যতম কারণ হইতে পারে" কিন্তু ইহা আমাদের অনুমান মাত্র । .هت.م.م তিনি প্রধানত: শিক্ষাদাতা ও বিদ্যাধীদের মধ্যে এবং বিদ্যার্থীদের পরস্পরের মধ্যে “বন্ধুত্বের বিষয়ে বক্তৃত৷ করিয়াছিলেন । বিষয়টি মনোজ্ঞ ও গুরুত্বপূর্ণ। এইরূপ সখ্য কেবল ষে জ্ঞানার্জনের বন্ধুর পথে আনন্দ দেয় তাহা নহে, নানা প্রকারে জ্ঞানান্বেষণের ও জ্ঞানার্জনের সহায়কও ইহা বটে। এগুরুজ সাহেব তাহ বলিয়ছেনও } কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসগুলি ছোট ছোট হইলে, এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সাশ্রম হইলে, অর্থাৎ অধ্যাপক ও ছাত্রেরা উহার অঙ্গীভূত গৃহে রাস করিলে, অধ্যাপক ও ছাত্রদের এবংজ্ঞস্থদেরyারপরের মধ্যে সখ্যের সম্ভাবনা অধিক হয় । কিন্তু সাগু-লেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কিছু অধিক ব্যয়সাধ্য, ভারতবর্ষের মত দরিদ্র দেশের উপযোগী নহে। তাহা হইলেও এই প্রকার বিদ্যাপীঠ, বড় শহরের বাহিরে প্রতিষ্ঠি, ও পরিচালিত হইতে পারে। যেমন শান্তিনিকেতনের