পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র Aববিধ প্রসঙ্গ-মুক্তপ্রদেশে Ně বিহারে মন্ত্রিত্ব ত্যাগ এবং =}at۹ سواسو ، چ বিশ্বভারতীN এখানে স্থানীদের ব্যয় কলিকতা অপেক্ষা কম । কিন্তু ইহা কম রাখিতে গিয়া প্রতিষ্ঠাতাআচাৰ্য্য রবীন্দ্রনাথকে অর্থ-চিন্তায় বিব্রত থাকিতে হয় এবং অধ্যাপকবর্গকে বেতন কমNলষ্টতে হয় । আমাদের দেশের প্রাচীন ধরণের টােলের অধ্যাপক ও ছাত্রদিগকে সমাজ ষে-ভাবে সাহায্য করিতেন এবং এখনও কোথাও কোথাও কিয়ংপরিমাণে করেন, তাহা প্রচলিত থাকিলে অধ্যাপক ও ছাত্রের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ ও ছোট ছোট ক্লাস সম্ভবপর হয়। কলিকাতার মত বড় শহরে বড় বড় কলেজের বড় বড় ಕ್ಹಾ! পড়িয়াও অনেক ছাত্র মিত্রতার বিমল আনন্দ [! করিয়াছেন। অধ্যাপক ও ছাত্রের মধ্যে মিত্রতাও এ-অবস্থায় একান্ত বিরল নহে। আমি নিজের পঠদ্দশার অভিজ্ঞতা হইতে ইহা বলিতে পারি। কিন্তু ভারতবর্ষে গুরুজন ও বয়ঃকনিষ্ঠদের মধ্যে যে-একটু দূরত্ব থাকে, যাহা হয়ত পাশ্চাত্য দেশে থাকে না । সেই জন্য গদ্যোপক ও ছাত্রের মধ্যে বন্ধুত্বের মর্থ যাহা, yারতবর্ষে ঠিক তাহা নহে। কন্‌ভোকেশ্যনে চ্যান্সেলরের বক্তৃত৷ এবার কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর বঙ্গের গবর্ণর মুদ্রিত বক্তৃতা পাঠ করেন নাই, মৌখিক কিছু বলিয়াছিলেন। তিনি এগুরুজ সাহেবের বন্ধুত্ব-বিষয়ক বক্তৃতাটি অনুপ্রাণনাপূর্ণ বলিয়া তাহার প্রশংসা করিয়া, তৎসম্পর্কে বলেন, “পৃথিবীর চারি দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলে, প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের দিকে তাকাইলে, দেশে দেশে পরস্পরের প্রতি সন্দেহ লক্ষিত হয় ; পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন দেশের অধিবাসীদের মধ্যে একটু অধিক বন্ধুত্ব আবির্ভূত ইউঃ, এইরূপ আকাজ হল। ইহা সত্য কথা। কিন্তু জাতিতে তিতে বন্ধুত্ব প্রবল জাতিদের ব্যবহারের উপর নির্ভর কৰে । তাহারা অন্য জাতির কাধে চড়িয়া বসিয়া থাকিতে চাহিলে তুৰ্দ্ধত্ব হইতে পারে না । Nর্ণর }ಧಿ যে, হিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কৱিৰ্ণ সংসারে প্রষ্টি হইতেছেন, তাহারা এরূপ অনেক সুবিধা পাইয়াছেন যা তাহাদের লক্ষ লক্ষ স্বদেশবাসী পান নাই। ইহা যেন তাহদের মনে থাকে। গবর্ণর সাহেব গ্র্যাডুয়েটদিগকে এই অনুরোধ করেন, যে, তাহাবু যেন সেবাকে জীবনের মূলমন্ত্র মনে করেন। এই অণ্ঠরোধ সৰ্ব্বপ্রকারে সমর্থনযোগ্য । ভাইস-চ্যান্সেলরের বক্তৃত৷ ভাইস-চ্যান্সেলর র্তাহার কনভোকেশ্বন-বক্তৃতায় ইহা স্পষ্ট করিয়া বলেন, প্রাথমিক হইতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পৰ্য্যস্ত সকল রকম শিক্ষার পরস্পর যোগ থাকা এবং সবগুলিরই বিস্তার প্রার্থনীয় ; শিক্ষা-সংস্কার অবশুই বাঞ্ছনীয়, কিন্তু সংস্কারের নামে সংহার ৰ সঙ্কোচ কখনই সহ করা যাইতে পারে না । শিক্ষার বিনাশে বা সঙ্কোচে সৰ্ব্বপ্রকারে বাধা দেওয়া সকলেরই কৰ্ত্তব্য । যুক্তপ্রদেশে ও বিহারে মন্ত্রিত্ব ত্যাগ এবং মন্ত্রিত্ব পুনগ্রহণ কংগ্রেসের হরিপুরা অধিবেশনে স্বভাষবাবুর অতিভাষণে কংগ্রেসী-মন্ত্রীদের কাজের আলোচনা যেখানে আছে, সেই জায়গাটি পড়িলেই বুঝা যায়, ষে, যে-ষে প্রদেশে কংগ্রেসী-মন্ত্রীর রাজনৈতিক সকল বন্দীকে খালাস দিতে পারেন নাই তাহাদিগকে কঠোর সমালোচনা সহ্ করিতে হইত, সমাজতন্ত্রবাদী কংগ্রেসওয়ালারা র্তাহাদিগকে তীব্র আক্রমণ করিতেন—যদি বিহার ও যুক্তপ্রদেশের মন্ত্রীর ইতিমধ্যে ইস্তফা ন-দিতেন। ইস্তফা দেওয়াতে তাহাদের উপর সমালোচনার ঝড় বহে নাই । তাহার ৬/৭ মাস ধরিয়া ২১ জন করিয়া রাজনৈতিক কয়েদীদিগকে ছাড়িয়া দিতেছিলেন, বাকী সকুলকে ছাড়িয়া দিবার জন্য গবর্ণরদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক চালাইতেছিলেন । কংগ্রেসের অধিবেশনের আগে সবাইকে ছাড়িয়া না-দিলে কংগ্রেসের তিরস্কার সহ করিতে হইবে, এই তয়েই র্তাহারা জেদ ধরেন, যে, সকলকে একসঙ্গে ছাড়িয়া দিতে হইবে। গবর্ণররা তাহাতে রাজী না-হওয়ায় তাহারা ইস্তফা দেন । কংগ্রেসের অধিবেশন হইয়া যাইবার পর,কিন্তু সেই আগেকারই মত ক্রমে ক্রমে ২৪ জনকে ছাড়িয়া দেওয়া হুইল—একসঙ্গে