পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՇԵՃ হইতেছে।Nমুলত"জামেনীরা সাম্যবাদবিরোধী ফাসিষ্টেরা রাশিয়াকে হীনবল করিয়া সেখানেও ফাপিষ্ট মতকে জয়ী করিতে চেষ্টা করিতেছে । অষ্টিয়াতে যে-চেষ্টা হইতেছে, তাহাও উল্লেখ্য । ইউরোপের সব দেশের কথা এখানে বলা অনাবশ্যক । মোটের উপর ইহাই মনে রাখিতে হইবে, যে, যেমন এক দিকে সাম্যবাদ আছে, তেমনই অন্য দিকে ফাসিষ্ট মত আছে । কোনটা ভাল, কোনটা মন্দ, তাহা এখন আমাদের বিচাৰ্য্য নহে। আমাদের বক্তব্য এই, যে, ইউরোপে যেমন উভয়ের মধ্যে সংগ্রাম ও রক্তপাত হঈর্মাছে ও হইতেছে, ভারতবর্ষে তাহা যে হইতে পারে না, এমন নয়। ইতিমধ্যেই ত বিহারে, এবং যুক্ত}প্রদেশের কানপুরে বলপ্রয়োগের স্বত্রপাত হইয়া গিয়াছে। ভারতবর্ষে কমু্যনিষ্ট-ফাসিষ্ট বিরোধ যাহাতে না-হয়, তাহার চেষ্টা করা কর্তব্য । তাহার প্রধান কারণ, আমরা রক্তপাত চাই না, আপোষে আলোচনা ও পরামর্শ দ্বার সীমাংসা চাই। তা ছাড়া, অহিংসার কুখ ছাড়িয়া দিলেও, অন্ত কারণও আছে। অনেকগুলা যুদ্ধ একসঙ্গে টীক্ষা কঠিন। আমাদের প্রধান ও একমাত্র সংগ্রাম হওয়া উচিত কেবল স্বরাজলাভের জন্য । স্বরাজ লব্ধ হইবার পর তখন, রাষ্ট্র কি নীতির ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হইবে, তাহা বিচাৰ্য্য । ইতিমধ্যে অবশু আইন পরিবর্তন ও অন্য নানা উপায়ে কৃষক ও শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতি যথাসাধ্য করিতে হইবে । বলপ্রয়োগ ও রক্তারক্তির মূলে দ্বেষ। শ্রেণীগত দ্বেষের উদ্রেক যাহাতে না-হয়, যে দ্বেষ আছে তাহা যাহাতে না-বাড়ে সকল আন্দোলন এই ভাবে চালান উচিত। তাহা করিতে হইলে মনে রাখিতে হইবে, যে, সামাজিক অসাম্য এবং ধনের অসমান ও অন্তাষ্য বণ্টন ੋਕ সময়ের অভিজাত, মধ্যবিত্ত ও ধনীদের হষ্টি হৈ । বৰ্ত্তমান জমিদাররাyঞ্জমিদারী-প্রথার স্মৃষ্টি করেন নাই ; অনেক দমিদার পুলস্ক্রিমে জমিদারও নহেন, হয়ত নীিৰ ভালুক কিনিয়াছেন ৷ পিতা বা পিতামহ কিনিয়াছেন। অন্যেরা উত্তরাধিকfস্থত্রে জমিদারীপাইরাছেন। অতএব, বিবিধ প্রসঙ্গ—ধন উৎপাদন ও বণ্টন, bళవy জমিদার-প্রথা যত খারাপই হউক না কেন, সংগ্রামটা • হওয়া উচিত প্রথাটার বিরুদ্ধে, ব্যক্তিগতভাবে জমিদার মানুষগুলার বিরুদ্ধে নহে । তাহাদের মধ্যে খারাপ-লোক ਕੈਂਕ কৃষকদের মধ্যেও আছে । তাহাদের সপক্ষে কিছুই বলিবার নাই। কিন্তু শ্রেণীগতভাবে জমিদার বা কৃষক কাহারও বিরুদ্ধে অভিযান অবাঞ্ছনীয় । কারণ, তাহা অন্যায়, তাহাতে দ্বেষ বাড়ে, ও তাহার চরম ফল রক্তারক্তি । মনে রাখিতে হইবে, জমিদারদের ও কৃষকদের মধ্যে ভাল লোকের অনেক ভাল কাজ করিয়াছেন, এবং এখনও করিতেছেন । কারখানার মালিক ও অন্য ধনী, যাহারা আছেন, এদেশে ও বিদেশে অসমান ও অন্যায় ধন বণ্টনের রীতি র্তাহারা প্রবর্তন করেন নাই । শ্রমিকদিগকে কয়েক আনা করিয়া দৈনিক মজুরী দিয়া নিজেরা লক্ষপতি ক্রোড়পতি, হইবার রীতি বহুকাল ধরিয়া চলিয়া আসিতেছে । এই রীতিটা খারাপ, ইহার আমূল পরিবর্তন আবশ্যক। কিন্তু, রীতিটা যে প্রবর্তিত হইয়াছিল এবং এখনও আছে, তাহার জন্য বর্তমান ধনিকের দায়ী নহে, এবং তজ্জন্য তাহাদের উপর ব্যক্তিগত আক্রমণ ন্যায়সঙ্গত নহে । শ্রেণীগতভাবেও র্তাহাদের বিরুদ্ধে, সাক্ষাৎ বা পরোক্ষ ভাবে, শক্রতা, উৎপাদনু পরিহার্য্য। অনেক দেশে, ভারতবর্বেও, অনেক ধনিক শ্রমিকদের বেতন বাড়াইয়া দিয়াছেন এবং অন্য নানা রকম সুবিধা করিয়া দিয়াছেন । তাহা করিয়া থাকিলেও ধন উৎপাদন ও ধন বণ্টন সম্বন্ধীয় সমুদয় ব্যবস্থারই আমূল সংস্কার ও পরিবর্তন আবশ্যক। এ-বিষয়ে দু-একটা সোজা গোড়ার কথা বলা যাইতে. পারে । তাহা পাণ্ডিত্যসাপেক্ষ নহে । ধন উৎপাদন ও বণ্টন ইহা অনেক সময় ধরিয়া লওয়া হয়, যে, বর্তমানে যাহারা ধনী তাহারা বা তাহদের পূর্বপুরুষেরা, বর্তমানে ধাহারা দরিদ্র তাহাদিগকে বা তাহাদের পূর্বপুরুষদিগকে বঞ্চিত করিয়া ধনী হইয়াছে । ইহা কোন ক্ষেত্রেই সত্য নহে বা হইতে পারে না বলিতেছি না ; অনেক ক্ষেত্রে সত্য হইতে পারে। তাহার বিচার করিতেছি না