পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ه:سb t t অধিকার আছে । " তাও আবার সমগ্র মানবজাতির নহে, এক-একট। দেশের, এক-একটা জাতির, এক- . একটা রাষ্ট্রের আলাদা আলাদা সম্পত্তি আছে। আফগানিস্থানের ঠিক পাশেই ইরান। যেখা}ে, আফগানিস্থান শেষ হইল, আফগানমনুষ্যসমষ্টির সমষ্টিগত সম্পত্তি সেই পৰ্য্যস্ত, তাহার এক চুল পর পর্য্যস্ত নহে । আবার ইরানীমতুষ্যসমষ্টির সমষ্টিগত সম্পত্তিও আফগানিস্থানের এক চুল জমী পৰ্য্যস্ত নহে। এই প্রকার যে সমষ্টিগত সম্পত্তির সীমারেখা টানা, তাহার যদি ন্যাষ্য ভিত্তি থাকে, তাহা হইলে ব্যক্তিগত সম্পত্তির ন্যায্য ভিত্তি নাই কেন? কোন জাতি এখন যে রাষ্ট্রে থাকে, তাহারা বা তাহাদের পূর্বপুরুষেরা বরাবর সেখানে ছিল না । ( যেমন বর্তমান ইংরেজ জাতির পূর্বপুরুষ ব্রিটন, এঙ্গল, স্যাক্সন, ডেন, নম্যান প্রভৃতির অন্যান্য দেশে থাকিত । ) সুতরাং উত্তরাধিকারস্থত্রে কোন রাষ্ট্রের বর্তমান অধিবাসীরা সেই রাষ্ট্রের সম্পত্তি দাবী করিতে পারে কি ? ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে কেহ উত্তরাধিকারসূত্রে স্বত্ব দাবী করিলে যদি তাহা অগ্রাহ হয়, তাহা হইলে রাষ্ট্রগত সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারসূত্রে দাবী টিকিতে পারে কি ? ধনিক ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিত্তের প্রভেদ দেখিয়া সাম্যবাদী এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন, ষে, ব্যক্তিগত সম্পত্তি থাকা উচিত নয়, সম্পত্তি হওয়া উচিত জাতির ও রাষ্ট্রের, এবং তাহা জাতির ও রাষ্ট্রের সকল সভ্য সমান ভাবে ভোগ করিবে । কিন্তু দেখা যাইতেছে, যে, কোন কোন জাতি ও রাষ্ট্র খুব ধনী, আবার কোন কোন জাতি ও রাষ্ট্র খুব দরিদ্র। এক-একটা দেশের মানুষদের ধনের অসাম্য দূর করিবার জন্য যেমন ব্যক্তিগত সম্পত্তি লোপ করিয়া সাম্যবাদ এক-একটা দেশের সব ধনকে রাষ্ট্রীয় বিত্ত ঘোষণা করিয়া তথাকার সব মানুষের স্বত্বসাম্য প্রতিষ্ঠিত করিতে চায়, সেইরূপ পৃথিবীতে ভিন্ন ভিন্ন রাষ্ট্রের সম্পত্তির অসাম্য দেখিয়া সকল রাষ্ট্রের সম্পত্তিকে সমগ্র মুনিবজাতির সম্পত্তি ঘোষণা করিয়া সকল রাষ্ট্রের ও সব মানুষের স্বত্বসাম্য প্রতিষ্ঠিত করা কি সাম্যবাদ ও সাম্যবাদীর কৰ্ত্তব্য নহে ? , প্রবাসী 'SN983 তাহারা হয়ত বলবেন ੇ, ਬਿ ও রাষ্ট্র নিজের স্বচেষ্টায় ও অপচেষ্টায় যাহার মালিক হইয়াছে তাহা হইতে তাহাদিগকে বঞ্চিত করিতে গেলে যুদ্ধ বাধিবে ; তাহারা প্রবল । তাহা হইলে কি যুক্তিটা এই, যে, প্রবলের সাত খুন মাপ ? এক-একটা রাষ্ট্রের প্রবলতম মানুষও রাষ্ট্রের তুলনায় দুৰ্ব্বল ; অতএব তাহাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত করা যাইতে পারে ? জাতিগত ও রাষ্ট্রগত সম্পত্তির সপক্ষে ইহা অবশু বলা যাইতে পারে, ষে, কোন কোন জাতিতে সুশিক্ষিত বুদ্ধিমান লোক ও মুনিপুণ শিল্পী অনেক আছে, জাতিদের তাহা নাই। অতএব পূৰ্ব্বোক্ত জাতিদের ধনশালিত স্বাভাবিক ও ন্যায্য, অন্যদের আপেক্ষিক দরিদ্রতা অস্বাভাবিক বা অন্যায্য নহে । তাহা হইলে, এক-একটা দেশের মানুষদের মধ্যেও ত বুদ্ধিমত্তা, কষ্ঠিত, শ্রমশীলতা, শিল্পনৈপুণ্য, সঞ্চয়শীলতা প্রভৃতি বিষয়ে তারতম্য আছে ; তাহাদের মধ্যে স্বত্বের অলমোও । স্বাভাবিক ও ন্তাষ্য। o ডিক্টেটরি ও গুরুগিরি গুরুগিরি যে-যে দেশের লোকেরা মানেন বা মানিয়া আসিয়াছেন, ডিক্টেটরি মানা র্তাহাদের পক্ষে সহজ ও স্বাভাবিক। "গুরুগিরি” এখানে যোগরূঢ় অর্থে ব্যবহৃত হইতেছে । গুরুগিরিতে যাহাদের বিশ্বাস আছে, তাহার মনে করেন, নিজেদের কোন আধ্যাত্মিক সত্যের প্রত্যক্ষ অনুভূতির প্রয়োজন নাই, জীবনযাপনের পথ সম্বন্ধে স্বাধীন ভাবে কিছু ভাবিবার প্রয়োজন নাই ; গুরু যাহা বলিবেন তাহা সত্য বলিয়া মানিয়া লইলেই এবং র্তাহার আজ্ঞা অনুসারে চলিলেই ঐহিক পারক্রিক মঙ্গল হইবে—এমন কি গুরু যিদের সমুদয় পাপের বোঝা নিজেরুস্কন্ধে লইতে ও শিষ্যদিকে উদ্ধার করিতেও

  • . . *~ ডিক্টেটরের অধীন দেশের লোক{েও নিজেদের বুদ্ধি খরচ করিবার দরকারণ নাই, স্বাধীন চিন্তা স্বাধীন কাজ