পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ এই দৃপ্ত আমার কাছে একান্ত পরিচিত, তাই বিস্মিত হইতেছি না। চেতনার মধ্যে ইহার সমস্ত পূৰ্ব্ব-সংযোগ নিক্রিয় ভাবে সঞ্চিত রহিয়াছে । এই ছায়ান্ধকার কক্ষটি উজ্জয়িনীর প্রসিদ্ধ শস্ত্র-শিল্পী তণ্ডুর যন্থাগার। আমি দক্ষিণ মণ্ডলে উপনিবিষ্ট শকবাহিনীর এক জন পত্তিনায়ক— আমার নাম অহিদত্ত রঙ্কুল। আমি তণ্ডুর যন্থাগারে বসিয়া আছি কেন ? আসি সংস্কার করিবার জন্ত ? তণ্ডুর মত এত বড় তাপ-শিল্পী শুনিয়াfচ্চ শক-মণ্ডলে আর নাই, সে অসিতে এমন ধার দিতে পারে যে, নিপুণ শল্পী তাঙ্গার দ্বারা আ ক্লাশে ভাসমান কাশ-পুষ্পকে শ্বিপণ্ডিত করিতে পারে । কিন্তু এই জন্যই কি গত BBBSBBBBB BB BBB BSBB BBB BB BBu S চুল্লীর আলোকে ত্ তুর মুখের প্রত্যেক রেখাটি দেখিতে পাইতেছি । শীর্ণ, রক্তচীন মুখ ; গুম্ফ ও ভ্রর রোম চুল্লীর BBB BB BBBS BBSYBB BB BBB DDDS DBSBBB ললাটের দুষ্ট প্রাস্ত নিম্ন । 's প্ৰক'; অস্তিসার বক্র করিয়া তুলিয়াছে । নাসিক এই জরাবিধ্বস্ত মুখের চাবরণ ভেদ কবিয়া বাহির হইবার প্রয়াস কৰিতেছে । দেখিলে মনে হয় মৃতের মুখ, শুধু সেই মৃত মুথের মধ্যে অস্বাভাবিক রকম জীবিত,-- মুখখানা কোটা প্রবিষ্ট চক্ষু দুট ভগ্নমেরু মুমুধু সৰ্পেব চক্ষুর মত যেন একটা বিষাক জিঘাংস বিকীর্ণ করিতেছে । তণ্ডু যন্ত্রচালিতের মত কাজ কবিতেছে । আমার অসি-ফলক অঙ্গর হইতে বাহির কfরয় রসায়ন-মিশ্র জলে ডুবাইতেছে, সস্তপণে ফলকের ধার পরীক্ষা করিতেছে, আবার ভাঙ্গ অঙ্গারমধ্যে প্রোথিত করিতেছে । তাহার মুখে কথা নাই, কখনও সেই সপচক্ষু আমার দিকে ফিরাইয়। অতর্কিতে আমাকে দেখিয়ু লইতেছে, তাহার পীত-দস্ত মুখ ঈষৎ বিভক্ত হইয়। যাইতেছে, অধরোষ্ট একটু নড়িতেছে –যেন সে নিঞ্জ মনে কথা কহিল—তার পর আবার কম্মে মন দিতেছে । আমিও তাহার পানে চাহিয়া বসিয়া আছি, কিন্তু আমার মন তাহাকে দেখিতেছে না । মন দেখিতেছে— কাহাকে ? —রল্লা ! লালসাময়ী কুহকিনী রল্লা ! আমার ঐ উত্তপ্ত অসি-ফলকের স্কায় কামনার শিখারূপিণী রল্লা ! সেতু (خمسوا একটা তীক্ষু বেদন স্বচীর মত হৃদযন্ত্রকে বিদ্ধ করিল। তণ্ডুর দেহ ভাল করিয়া আপাদমস্তক দেখিলাম। এই জরাগলিত দেহ বৃদ্ধ রল্লার ভৰ্ত্ত। রল্লা আর তণ্ডু । বুকের মধ্যে একটা ঈর্ষা-ফেনিল হাসি তরঙ্গায়িত হইয়। উঠিল—ইহাদের দাম্পত্য জীবন কিরূপ ? নিজের দেহের দিকে দৃষ্টি ফিরাইলাম। বক্ষে বাহুতে উদ্ধত পেশী আস্ফালন করিতেছে—পচিশ বৎসরের দপিত যৌবন ! তপ্ত শক-রক্ত যেন শুভ্ৰ চৰ্ম্ম ফাটিয়া বাহির হইতে চাহিতেছে । —আমি লোলুপ চোরের মত নানা ছলে তণ্ডুর গৃহে যাতায়াত করিতেছি, আর তণ্ডু—রজার স্বামী ! রল্লা কি কুঠক জানে ? নারী ত অনেক দেখিয়াছি, —তাঁরণয়ন গৰ্ব্বিত শক-দুহিতা মদালসনের ছুরিতার অবস্তিক, বিলাসভfঙ্গম গতি রতিকুশল হাস্থময় লাটললন । কিন্তু রল্ল—বুল্লার জাতি নাই । তাহার তাম্রকাঞ্চন মেঙ্গে নারীত্ব ছাড়া আর কিছু নাই । সে নারী । আমার সমস্ত সভাকে সে তাঙ্গর নারীত্বের কুহকে জয় করিয়াছে ; একবার মাত্র তাহণকে দেখিয়াছি, মদনোৎসবের কুকুমআরুণিত সায়াহ্নে | উজ্জয়িনীর নগর-উদ্যানে মদনোৎসবে যোগ দিয়াছিলাম। এক দিনের জন্য প্রবীণতার শাসন শিথিল হইয় গিয়াছে । অবরোধ নাই, অবগুণ্ঠন নাই— যৌবনের মহোৎসব । উদ্যানের গাছে গাছে হিন্দোল দুলিতেছে, গুন্মে গুন্মে চটুলচরণ নাগরিকার ময়ীর বাfজতেছে, অসমৃত অঞ্চল উড়িতেছে, আসব-অরুণ নেত্র ঢুলুলু হহয় নিমলিত হইয় আসিতেছে। কলহাস্য করিয়া কুস্কুমপ্রলিপ্তদেহ নাগরী এক তরুগুল্ম হইতে গুম্মাস্তরে ছুটিয়া পলাইতেছে, মধ্যপথে থমকিয় দাড়াইয়৷ পিছু ফিরিয়া দেখিতেছে, আবার পলাইতেছে। পশ্চাতে পুষ্পের ক্রীড়ধতু হস্তে শবরবেশ নায়ক তাহার অনুসরণ করিতেছে । নিভৃত লতানিকুঞ্জে প্রণয়ী মিথুন কানে কানে কথা কহিতেছে —কোনও মূগনয়ন বিভ্রমচ্ছলে নিজ চক্ষু মার্জনা করিয়া কহিতেছে—তুমি আমার চক্ষে কুঙ্কুম দিয়াছ। প্রণয়ী তরুণ সযত্নে তাহার চিবুক ধরিয়া তুলিয়ু অরুণাভ নয়নের মধ্যে দৃষ্টি প্রেরণ করিতেছে, তার পর ফুৎকার দিবার ছলে গৃঢ়হাস্য-মুকুলিত রক্তাধর সহসা চুম্বন করিতেছে। সঙ্গে সঙ্গে লঙ্ক্ত: মাঠ ।