পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰৈল ॥ব লোককে প্রচুর স্বর্ণ দিয়া বিক্রমশিলা পাঠাইলেন। তাহার সেখানে গিয়া দীপঙ্করকে সমস্ত জানাইল কিন্তু তিনি তিব্বত স্ত্রী হইলেন না । &াতেও হতাশ হইলেন না । তিনি এবার সঞ্চয় করিয়া ভারত হইতে কোনও নিবার ব্যবস্থা করিতে লাগিলেন । রাজকোষে সোনী ছিল না, সুতরাং তাহা সংগ্ৰহ করিবার জন্ত তিনি লোকজন স্পষ্ট সীমান্ত দেশে গেলেন। সেথানে উrহার প্রতিবেশী গর লোগ দেশের রাজা উাহাকে বন্দী করিলেন । り পিতা বন্দী হইয়াছেন শুনি লগ-লাম চা-চুপ-ও(বোধিপ্রভ ) তাহার মুক্তির চেষ্টায় গরু-লোগ দেশে গেলেন । কথিত আছে গরু-লোগ-রাজ ভোটরাজের মুক্তির পরিবর্তে fবস্তর স্বর্ণ চাহিয়াছিলেন । চ-ছুপ-ও যে-পরিমাণ স্বর্ণ একত্র কfরয়fছলেন তাহ যথেষ্ট নয় জানিয়া তিনি আরও স্বর্ণ স গ্রশ্নের জন্য দেশে ফিরিবার পূৰ্ব্বে একবার বন্দী পিতার সীঃ ই দেখা করিয়া তাঙ্গকে সকল কথা জানাইলেন । রাজ! ८६५-९_ऊँट्टिा “তুমি জান আমি বুদ্ধ, বড়জোর আর দশ বৎসর পরমায়ু আছে, যদি আমাকে উদ্ধার করিতে রাজকোষ শূন্ত হয়, তবে ভারত হইতে পণ্ডিত আন সম্ভব হইবে না এবং ধর্থেরও সংস্কার হইবে না । ইহাপেক্ষ ধৰ্ম্মের জন্য যদি আমার দেহান্ত হয় এবং তুমি ঐ স্বর্ণ দিয়া ভারত হইতে পণ্ডিত আনাও তা? অনেক ভাল । এই রাজাকেই বা বিশ্বাস fক, সে যদি স্বর্ণ লইয়ু পরে আমাকে মুক্তি না দেয় ? অতএব হে পুত্র, তুমি আমার চিস্তা ছাড় এবং সমস্ত সোনা দিয়া অতিশা-র নিকট দূত পাঠাও। আশা আছে আমার বন্দীদশার কথা শুনিয়া ভোটদেশে ধর্মের চিরস্থিতির জন্যও তিনি আসিবেন । যদি তিনি একান্তই না আসেন, তবে উহার পরের শ্রেণীর কোনও পণ্ডিতকে আনাও।” এই বলিয়া ধৰ্ম্মবীর যেশে-ও পুত্রকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া বিদায় দিলেন। ইহাই পিতা-পুত্রের শেষ দেখা। ং-ছুপ-ও দেশ-শাসনের সঙ্গে সঙ্গে পিতৃ আজ্ঞানুসারে ভারতে দূত পাঠাইবার ব্যবস্থা করিতে লাগিলেন । উপাসক শুঙ-খং-প। ইতিপূৰ্ব্বে ভারতে দুই বৎসর যাপন করিয়া নিষিদ্ধ দেশে সওয়া ৰৎসর র্ণশুষ্ক দিতে নিষেধ করিয়া বলিলেন, SaS) ছিলেন । তিনিই এই ভার লইলেন এবং তাহার সঙ্গী হিসাবে নগ্র-ছোনিবাসী ভিক্ষু ছুল ঠিম-গাল-বা (শিলবিজয় ) ও অন্ত কয়েক জনকে লইলেন। এইরূপে দশ জনে বিপুল স্বর্ণসম্ভার লই ঘা নেপালের পথে বহু বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করিয়া বিক্রমশিলায় পৌছাইলেন (ডোমূ-তোন-রচিত গুরু-গুণ ধৰ্ম্মাকর ৭৭'পূ: ) । ইহারা বিক্রমশিলার সম্মুখের ‘গঙ্গার ঘাটে যখন পৌছাইলেন তখন স্বৰ্য্য অস্ত গিয়াছে। খেয়ার নৌকা লোকে পরিপূর্ণ, স্বতরাং মাঝি ইহাদিগকে পরের ক্ষেপে লইয়ু যাইবে এই আশ্বাস দিয়া চুলিয় গেল । ওপারে বিক্রমশিলার বিরাট প্রাকার ও দেউল দেখিয়াই তিব্বতীয় যাত্রীর পৃথকষ্ট ভুলিয়াছিলেন, কিন্তু খেয় নৌকার দেীতে উস্তুদের সন্দেহ হইল মাঝি আর সেদিন ফিরিবে না । নিজন নদভটে বিরাট স্বংরাজী লইয়। তাঁহাদের ভয় হইতে লাগিল, সুতরাং তাহারা বালুর তলায় স্বর্ণ লুকাইয়া রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা করিতেছেন এমন সময় মাঝি নৌকা লইয়া যাত্ৰীবা তাহাকে দেরীর জন্য সন্দেহের বলিল, “তোমাদের ঘাটে ফেলিয়া করিয়া কিরূপে আমি চলিয়া ধাইতে ফিরিয়া আসিল । কথা বল্লায় সে রাঞ্জাঙ্ক পারি।” নদীপথে র্তাহারা মাঝির নিকট শুনিলেন বিহারের দ্বার বন্ধ হইয়া গিয়াছে, স্বতরাং পশ্চিম দ্বারের সন্মুখস্থ ধৰ্ম্মশালায় রান্ত্রি যাপনের জন্ত তাহারা ব্যবস্থা করিতেছেন এমন সময় বিহারের তোরণের উপরস্থ কক্ষবাসী ভোটভিক্ষু গা-চোন-সে তাহাদের কথাবার্ক শুনিয়া, স্বদেশবাসী জানিয়া তাহাদের নিকট খবরাখবর লইতে আসিলেন। কথাবাৰ্ত্তায় তাহার অতিশ-কে লইতে আসিয়াছেন জানিয়া তিনি পরামর্শ দিলেন যে ইহারা যেন প্রথমে বিদ্যাৰ্থীস্কপে বিহারে প্রবেশ করেন, কেন-মা মূল উদ্বেগু সকলে জানিলে পরে অতিশ-কে লইয় যাওয়া দুরূহ হইবে । তিনি আরও বলিলেন ষে পরে স্বযোগ বুঝিয় তিনিই দূতের সহিত অতিশার সাক্ষাতের ব্যবস্থা করিবেন, তখন তাহারা তাহাদের বাসনা নিবেদন করিডে পারিবেন। তিব্বতীয় দূতগণের পৌছিবার কিছুদিন পরেই বিক্রমশিলায় পণ্ডিত-সভা বসিল । গা-চোন সকল বিখ্যাও পণ্ডিতের সহিত ইহাদের সাক্ষাৎ করাইলেন। বিখ্যাত লক্তঘল