পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्ल ज्ञाञ्चश्व त्रञ्त्रञ्टु து. “সৰ্ব্বনাশ’ ও ‘পৌষ মাস” কথায় বলে, “কারো সৰ্ব্বনাশ, কারো পৌষ মাস। ভারতবর্ষের নূতন শাসনবিধানের ফলে ইতিমধ্যেই দেশের সৰ্ব্বনাশ হইয়াছে, দেশ ছারথার হইয়াছে, বলিলে ঠিক সত্য কথা বলা হইবে না। যাহার অতুমান যাহাই হউক, সকলকেই ফলের জন্য অপেক্ষ করিয়া থাকিতে ইষ্টবে, এবং তাহ! কি প্রকার, যথাসময়ে বলিতে হুইবে । এখন ত শাসন-বিধানের শুধু প্রাদেশিক অংশ অনুসারে সবেমাত্র কাজের আরম্ভ হইয়াছে । কিন্তু নূতন শাসন-বিধানে গণতান্ত্রিকতার ও নিয়মতান্ত্রিকতার সর্বনাশ যে হইয়াছে, সে বিষয়ে বিন্দুমাত্রও সংশয় নাই। এই নূতন আইন দ্বারা গবর্ণর-জেনারাল ও প্রাদেশিক গবর্ণরদিগকে নামে নিয়মতাস্থিক শাসক কিন্তু কাজে স্বেচ্ছাকারী অর্থাৎ ডিক্টেটর করা হইয়াছে । তাহাদিগকে যত প্রকার ক্ষমতা যে পরিমাণে দেওয়া হইয়াছে তাহা কোন নিয়মতান্ত্রিক দেশের রাজা বা শাসকের নাই, কোন কালে ছিল না । নিয়মতান্ত্রিকতা ও গণতান্ত্রিকতার এই যে সৰ্ব্বনাশ, ইহাতে কতকগুলি লোকের পৌষ মাস হইয়াছে। যাহাদের ‘পৌষ মাস হইয়াছে, তাহারা বিশেষ কোন একটিমাত্র ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের লোক নহে, যদিও তাহাদের মধ্যে মুসলমানের আচুপাতিক সংখ্যা বেশ । কিন্তু ধীর ভাবে চিন্তা করিলে সকলেই বুঝিতে পরিবেন, যে, যাহার দ্বারা নিয়মতান্ত্রিকতা ও গণতান্ত্রিকতার সর্বনাশ হইয়াছে এবং যাহার ফলে দেশের বিষম অনিষ্ট হইবে, তাহা হইত্তে কাহারও প্রকৃত পৌষ মাস উদ্ভূত হইতে পারে না। ‘পৌষ মাসটা হুইয়াছে কি প্রকার বলিতেছি । ছয়টি প্রদেশের ব্যবস্থাপক সভায় কংগ্রেসওয়াল সদস্যেরা সংখ্য!গরিষ্ঠ হইয়াছিলেন । এই ছয়টি দলের নেতাদের ঐ ছয়টি প্রদেশে মন্ত্রিসভা গঠন করিবার আইনামায়ী অধিকার ছিল । গবর্ণরেরা তাহাদিগকে ডাকিয়াও ছিলেন । কিন্তু নিখিল ভারতীয় কংগ্রেসকমিটির সিদ্ধাস্ত অনুসারে তাহার গবর্ণরদিগের নিকট হইতে এই প্রতিশ্রুতি চান, যে, গবর্ণরের মন্ত্রীদের শাসন-বিধান-সঙ্গত কাজ-কৰ্ম্মে বাধা দিবেন ন}, হস্তক্ষেপ করিবেন না । গবর্ণরের সেই প্রতিশ্রুতি দেন নাই ; এবং পরে ঐ ছয়টি প্রদেশে তাহার সংখ্যালঘিষ্ঠ কোন কোন দলের সদস্তদিগকে লইয়া মস্ত্রিসভা গঠন করিয়াছেন। যে পাচটি প্রদেশে কংগ্রেসওয়াল সদস্যেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হন নাই, তথায় পূৰ্ব্বেই মন্ত্রিসভা গঠিত হইয়াছিল। এই এগারটি প্রদেশে মোট যত জন মন্ত্রী হইয়াছেন, তাহার মধ্যে পচিশ জন মুসলমান, সাতাশ জন হিন্দু, দুই জন পারসী, দুই জন খ্ৰীষ্টিয়ান এবং এক জন শিখ । এই সকল মায়ষের মনে হইতে পারে, যে, তাহার ৫’স সি হইছে। । श्लूिসমাজের, অন্তত: অধিকাংশের, নিশ্চয়ই তাহ মনে হইবে ন। পারসীদের তাই মনে না হইতেও পারে। খুব সম্ভব শিখদের তাহা হইবে না। খ্ৰীষ্টয়ানদের কথা বলিতে পারি না। এগারটি প্রদেশের এগার জন সরদার মন্ত্রীর মধ্যে সাত জন মুসলমান, তিন জন হিন্দু ও এক জন পারসী। আমরা একাধিক বার দেখাইয়াছি, যে, স্বাধীন ইউরোপের স্বাধীন দেশসকলের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষা অনগ্রসর দেশের সৰ্ব্বাপেক্ষা অনগ্রসর শ্রেণীর লোকেরাও পরাধীন ভারতবর্ষের সৰ্ব্বাপেক্ষ আমলাতন্ত্রামুগুহীত সম্প্রদায় বা শ্রেণীর চেয়ে শিক্ষায়, জ্ঞানে, স্বাস্থো, আর্থিক অবস্থায় এবং রাষ্ট্রীয় অধিকারশালিতায় শ্রেষ্ঠ, এবং রাজামুগ্রহনিরপেক্ষভাবে ভারতবর্ষের যে বিশাল হিন্দুসমাজ কতকটা অগ্রসর, তাহারাও সকল বিষয়ে ইউরোপের অনগ্রসরতম স্বাধীন দেশের অনগ্রসরতম শ্রেণীর লোকদের চেয়ে অনগ্রসর । অতএব শাসকদের খেয়ালে পরাধীন দেশের কাহারও I মুসলমান সম্প্রদায়ের ৪ হয়ত তাহা মনে হইবে ।