পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

~ বশাখ মীর নিয়োগ নিন্দার বিষয় হইত না । কিন্তু বঙ্গের মন্ত্রিসভা অন্য সব প্রদেশের মস্ত্রিসভার চেয়ে অধিকতর কাৰ্য্যদক্ষ হইবে বা দেশের হিতসাধনে অধিকতর সমর্থ হইবে, এরূপ অম্লমান করিবার কোন হেতু দেখিতেছি না। এই জঙ্ক এতগুলি লোককে চাকরী দেওয়ার সমর্থন করিতে পারিতেছি না। বস্তুত, মন্ত্রীর যদি সকলেই খুব যোগ্য লোক হইতেন, তাহা হইলেও সকলকে কাজ দেওয়া ঠিকৃ হইত না । বঙ্গে যোগ্য অথচ বেকার লোক অনেক আছেন, কিন্তু সকলকে ত সৰ্ব্বসাধারণের অর্থে কাজ দেওয়া যায় না ও হয় না। প্রকৃত বিবেচ্য এই, যে, মস্ত্রিসভার করণীয় কাজ যাহা, তাহা কয় জন লোকের দ্বার:ইহঁতে পারে । অনেকে বলেন, চারি জনের দ্বারাই সব কাজ হইতে পারে । কিন্তু কাহারও অহমানের উপর নির্ভর না করিয়া, যত জন লোকের দ্বার বঙ্গের কাজ এত দিন চলিয় আসতেf&ল, তত জন লোক নিযুক্ত কfরলে নিশ্চয়ই কাজ চলিতে পারিভ । এত দিন তিন জুন মন্ত্রী এবং শাসনপরিষদের চfর জন সদস্য কাজ চালাই তেন । এখন সাত জন হইলেই নিশ্চয়ই যথেষ্ট হইত। উমেদাঃেঃ সংথ্য অত্যস্ত বেশী হওয়ায় এবং কতকগুলি

  1. াজ ন-দিলে তাহাদের ও তাদের দলের

লোকদের ভোট পাওয়! যাইবে ন; এইরুপ আশঙ্কা থাকায় লোককে সরদার মন্ত্রী মৌলবী ফজলুল হককে এগার জনের মস্ত্রিসভা গড়িতে হই স্থা:ছ । জন্ম নহে, বাংলা দেশ মন্ত্রীদের সেবার জন্ত, এখন ইহাই মনে दf४८९ २३८द । সরদার মন্ত্রীকে বাদ দিলে বাকী দশ জনের পচি পাচ জন মুসলমান ও হিন্দু সমাজ ইহতে লণ্ডয়া হইয়াছে বটে ; কিন্তু আমরা যেমন ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচনে তেমনই মন্ত্রী মনোনয়নেও সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারার বিরোধী। উভয় ক্ষেয়েই আমরা যোগ্যতাকেই একমাত্র মাপকাঠি করিবার পক্ষপাতী। অন্য নানা দেশের মত বঙ্গে যদি সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রথা অনুসারে ব্যবস্থাপক সভার সভা নিৰ্ব্বাচিত হহত, তাহা হইলে রাজনৈতিক দলের মধ্যে কংগ্রেস দলের সদস্যই বেশী নিৰ্ব্বাচিত হইত এবং তঁাহাদের মধ্যে কংগ্রেসের জাতীয় উপদলের লোকই হয়ত সংখ্যায় বেশী হইত। ধৰ্ম্মসম্প্রদায় অনুসারে সদস্যদের মধ্যে হিন্দুর সংখ্যাই বেশী তএব, মন্ত্রীর বাংল। দেশের সেবার বিবিধ প্রসঙ্গ—বঙ্গের মস্ত্রিসভা S8ጎ হইত। কিন্তু সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারাটা এমনভাবে করা হইয়াছে যাঙ্গতে হিন্দুর প্রভাব কমে এবং স্বাধীনতালি, শিক্ষিত জন-সমষ্টির প্রভাবও কমে। সদস্য নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারার প্রভাব স্পষ্ট অনুভূত হওয়ায় কেবলমাত্র যোগ্যতার বিচারে মন্ত্রী মনোনয়নের কোন সম্ভাবনা ছিল না। স্বতরাং মন্ত্রীদের মধ্যে কাহার যোগ্যতা কতটুকু তাহার বিচার অনাবশুক । সম্প্রদায়িক ব্যটোয়ারার ফলস্বরূপ যেমন ব্যবস্থাপক সভায় মুসলমানদের প্রাধান্ত হইয়াছে, সেইরূপ সেই কারণেই মস্ত্রিসভাতেও মুসলমানদের প্রাধান্ত হইয়াছে। তম্ভিয়, নিজের বৈষয়িক, সাংসারিক ও ব্যক্তিগত কাজ চালাইবার সমর্থ্য না থাকিলেও এবং সেই অসামর্থ্য প্রকাগুভাবে বিদিতথাকিলেও, অন্য কারণে মাহুষ রাষ্ট্রের এক-একটা বিভাগের কাজ চালাইবার যোগ্য বিবেচিত হইতে পারে, বঙ্গের মস্ত্রিসভা ইহাও সৰ্ব্বসাধারণকে জানাইয়া দিতেছে। গণতান্ত্রিক প্রথা অনুসারে ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নিৰ্ব্বাস হইলে এবং মন্ত্রিসভাও ত্যুসারে ತ হইলে এই প্রকার কোন মস্তব্য প্রকাশ করিবার কারণ ঘটিত না, ব্যবস্থাপক সভায় কত জন কোন সম্প্রদায়ের লোক তাহা গণনা করা ও অনাবশুক হইত। বিচার কেবল যোগ্যতারই হইত, এবং তাহাঙ্গ হওয়া উচিত । চাষীদের হিতের জন্যই প্রথমে কৃষক, প্রজ বা রায়তের স্বাথরক্ষার প্রচেষ্টা ১৯২১ সালে বঙ্গে আরব্ধ হয় । আরম্ভ করেন পরলোকগত কেশবচন্দ্র ঘোষ ও তাহার সহকৰ্ম্মীরা। ইহা তখন সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক ছিল। ইহাতে তখন পরলোকগত কৃষ্ণকুমার মিত্র ও প্রাণকৃষ্ণ আচাৰ্য্য, সবু প্রফুল্লচন্দ্র রায়, মৌলবী আবদুল করীম এবং মৌলবী ফজলল হক যোগ দিয়াছিলেন। পরে সবু আবদুর রহিমও ইহাতে যোগ দেন। কিছুদিন পূৰ্ব্বে কিন্তু মৌলবী ফজলুল হক প্রজাপাটী নাম দিয় যে দল গড়িয়াছেন, তাহ সাম্প্রদায়িক হইয়া পড়িয়াছে, তাহাতে হিন্দু সভের সংখ্যা কfমস্থা আসিতেছে—যদিও হিন্দু রায়ং এখনও বিস্তর আছে ও ভবিষ্যতেওঁ থাকিবে । মৌলবী ফজলল হক এই প্রজাপাটীর প্রতিনিধিরূপেই নিৰ্ব্বাচন-দ্বন্দ্বে জয়ী হইয়াছিলেন। নিৰ্ব্বাচিত হইবার পূৰ্ব্বে