পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেদার রায় কোষ ও জেলিয়ার সাহায্যে মগ ও মোগলকে পরাজিত ও সস্ত করিয়া তুলিয়াছিলেন। সেই কোষ ও জেলিয়া বিক্রমপুরেই নিৰ্ম্মিত এখনও বিক্রমপুরের নদ নদী ও থালে বিলে নানা শ্রেণীর নৌকা দেখিতে পাওয়া যায়। কাজেই কাষ্ঠশিল্পের দিক্ দিয়া বিক্রমপুত্ববাসী স্বয়ধরেরা কি কোষতরী নিৰ্ম্মাণে, কি জেলিয়া তরী নিৰ্ম্মাণে, কি বজরা ও ছিপ নিৰ্ম্মাণে অতিশয় সুদক্ষ ছিল। ডক্টর নলিনীকান্ত ভট্টশালী সোনারঙ্গের দেউলবাড়ীর নিকটবর্তী পুকুর হইতে প্রাপ্ত এবং রামপালের কাছাকাছি প্রাপ কয়েকটি কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত স্তম্ভ এবং তাঙ্গার উদ্ধ ভগের চিত্র প্রকাশ করিয়াছেন। তাহার একটিতে বিষ্ণু অতি নিপুণভাবে খোদিত রহিয়াছে। কতদিন চলিয়া গিয়াছে, গভীর জলতলে কাদার মধ্যে পড়িয়া থাকা সত্ত্বে ৪ কাঠের রহিয়াছে, তেমনি শিল্পীর শিল্পনৈপুণ্য প্রত্যেকটি কারু নিদর্শনের মধ্য দিয়৷ দেীপ্যমান রহিয়াছে। এমন করিয়া কাঠের গায়ে যাহারা শিল্পমাধুর্ঘ্য ফুটাইয়। তুলিতে পারিয়াছিল, দেবতার সৌম্য শাস্ত সৌন্দর্ঘ্যের অপূৰ্ব্ব গাম্ভীৰ্য বিকশিত করিতে পারিয়াছিল, তাহার যে কত বড় শিল্পী ছিল, তাহা প্রত্যক্ষ ভাবে অতুভব করিতেছি । হইত। দৃঢ়তাও যেমন কলমী গ্রামে শ্ৰীযুক্ত বিনোদেশ্বর দাশগুপ্ত মহাশয়ের বাড়ীতে যে কালীমূৰ্ব আছে তা বিক্রমপুরের দক্ষিণ কালী’ নামে পরিচিত । খুব প্রাচীন বিগ্ৰহ বলিয়। এতদঞ্চলে “বুড়া কালী” নামে খ্যাতি লাভ করির আদিতেছেন। আহ্মানিক ১৭৬০-১৭৭০ খ্ৰীষ্টাব্দ মধ্যে এই দেবীমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিলেন। দেবীর সিংহাসনটি কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত ও নানারূপ কারুকার্যাশোভিত বলিয়া বিক্রমপুরের একটি দর্শনীয় বস্তু-মধ্যে পরিগণিত। ১৮৫১ খ্ৰীষ্টাব্দে এষ্ট সি’হাসননিৰ্ম্মাণ শেষ হয়। বিক্রমপুরের শিল্পী কাশীনাথ মিন্ত্রী ইহা নিৰ্ম্মণ করেন । নিৰ্ম্মণিকাল ও শিল্পীর নাম সিংহাসনের গায়ে পোদিত রঙ্গিয়াছে। এই বুড়া কালীর মন্দিরের সম্মুখের দরঞ্জার কপাটটি৪ সূক্ষ্ম কারুকার্য্যের নিদর্শন। ইহা ১৮৫২ খ্ৰীষ্টাব্দে ভৈয়ারী হয় । ইহার শিল্পী ও কাশীনাথ মিস্ত্রী । কপাটের উপরিভাগে দেবীপক্ষ ও অন্তর-পক্ষের যুদ্ধের চিত্র খোদাই কর রহিয়াছে । কাৰ্বিক, হলধর, শ্র কৃষ্ণ, লক্ষ্মী, সরস্ব তী, বৃষবাহন শিব ( মাথায় গঙ্গা ) প্রভৃতি পোদিত চিত্র আছে। সৰ্ব্বনিয়ে তিনটি সিপাহী রহিয়াছে। ডক্টর স্থণীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের মতে, এইরূপ সিপাহীর মূৰ্ত্তি খোদিত করিবার পদ্ধতি সিপাহী-বিদ্রোহেব সমকালে বিদ্যমান ছিল।} এতদ্বাতীত গণেশ, কাছে ও দূরে শ্ৰী নিৰ্ম্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় অতি কাছে থাকি রেখেছিলে ঢাকি চেতন মেরি, ঘুমে জাগরণে যেন স্ট্র নয়নে স্বপন-ঘোর । দূরে গেছ চলে, প্রতি পলে পলে এবার আমি আপিল মায়ায় ঘিরেছি তোমায় বিসয়ামী ।