পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミミ8 প্রবাসী S)へ○88 তাদের মত এই যে জনকয়েক গরজী ধনী ও রাষ্ট্রপতির নিজেদের বা একটা ক্ষুদ্র সমষ্টির স্ববিধার জন্য মানুষকে তৈরি করেন কামানের খোরাক ক’রে, দেশের প্রতি বিশেষ কোন মমতার কারণে নয় । গ্রীক-যুগে ব্যায়ামচর্চার যে দোষ পরিলক্ষিত হয়েছিল সেটা যৌন। দোষ হ'লেও তাতে জাতিগত কোন ক্ষতি হয় নি কিন্তু ব্যক্তিগত ক্ষতি হ’ত প্রচুর । যুথবদ্ধ সবল মানুষের শক্তি অন্যান্য শক্তির সঙ্গে মিলিত হয়ে প্রসারলাভ করতে যায়। মুসোলিনীর ব্যায়ামসংস্কারের সহিত আবিসনিয়া গ্রাস করার যোগ আছে । আমাদের দেশে অনেক স্থানে ব্যায়ামচচ্চার ও খেলাধুলার সরকারী ব্যবস্থা আছে। ব্যবস্থা প্রয়োজনানুরূপ কি না, এ ক্ষেত্রে সে-আলোচন! আবাস্তর। এক দিকে সংঘবদ্ধ খেলার অনেক সামাজিক গুণ আছে, অন্য দিকে ক্রীড়পরায়ণ মন জীবনের গভীর সমস্তাগুলি আগ্রাহ না করলেও, উপলব্ধি করতে শেখে না । ক্রীড়াপরায়ণ মাচুর্য বিশেষ ক’রে রাজনীতি প্রভৃতি গভীর বিষয়ের সঙ্গে নিজের যোগস্থাপন করতে সমর্থ হয় না। আধুনিক জগতে জনসাধারণকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখবার জন্য থেল। ব্যাপকভাবে ছড়ানো হচ্ছে । ( কেপ টাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে জর্জ বার্ণার্ড শ'র অভিভাষণ দ্রষ্টব্য )। যেখানে শুধু ব্যায়াম ও খেলা আছে, গভীর কোন বিষয়ের, অর্থাৎ রাজনীতি, সমাজনীতি, সাহিত্য, চারুকলা প্রভৃতির অনুশীলন নেই, সেখানে মায়য জীবন থেকে বিযুক্ত হয়ে পড়ে এবং লঘুচিত্ত হয়ে যায় । ব্যায়াম যেখানে পেশ ব’লে গ্রাহ, সেখানেও আমৃযঙ্গিক বৈজ্ঞানিক বা গভীর বিষয়ের চর্চার সুযোগ আছে । অন্যথা কেবলমাত্র শারীরিক বল সংগ্রহ করা মানুষকে এক বলবান পশুর পর্য্যায়ভুক্ত করে এবং সমাজে অপাংক্তেয় ক’রে রাখে । ংলা দেশের চিস্তাশীল যুবক-সম্প্রদায় এই সকল কারণের জন্য ব্যায়ামান্দোলন থেকে দূরে থাকেন। রাজবন্দীদের বিষয়ে কর্ণেল বার্কলে হিল যে বিশ্লেষণ করেছিলেন, তাতে খেলা বা ব্যায়ামের দ্বারা চিত্তবিনোদন করেন এমন বন্দীর সংখ্যা নামমাত্র ছিল । সংবাদপত্রে এ কথাও আমরা পড়েছি যে, যেখানে ব্যায়ামচৰ্চার সঙ্গে গভীর কোন বিষয়ের যোগস্থাপন করবার চেষ্ট হয়েছে, সেপানেই রাজনীতির চর্চা এসে পড়েছে । বৈজ্ঞানিক নিরিখে বাংলা দেশের ব্যায়ামচৰ্চা দোষমুক্ত নয়, এ কথা সাধারণভাবে বলা যায় ; দোযের যথেষ্ট বাহুল্য আছে । কিন্তু সে কথা বলা বর্তমান প্রবন্ধের লক্ষ্য ময় । যুবক-মনের নানা প্রেরণ সকল দেশে আছে, বাঙালী যুবকেরও তা আছে । কিন্তু বিকাশের পথ আমাদের সুলভ ব। সুগম নয়। আমাদের ব্যায়ামচটচ সাইকো-অ্যানলিসিসের ভাষায় একটা escape বা নিঃসরণপথ ছাড়া আর কিছু নয়। সাধারণ মননশক্তিবিহীন মাহুষের অন্তরের প্রেরণার বিকাশ লাভের এটি সহজতম উপায় । এ কারণে অন্য কিছু করতে পেলে, অথবা অল্পচিস্ত। উপস্থিত হ'লে ব্যায়ামের অভ্যাস ঝরে পড়া নিত্যকার ঘটনা । কলিকাতায় ব্যায়ামশিক্ষা দিয়ে অল্প কিছু উপাষ্ট্রন করার সুযোগ আছে ; বস্তুতপক্ষে এই উপার্জনের মূল্য পরগাছা বৃত্তি বাড়ে । যতগুলি ব্যায়াম-প্রতিষ্ঠান আমি জীবনের বৃহত্তর সমস্তাগুলির সঙ্গে অথবা জাতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে ধোগসাধন করবার প্রয়াস দেথা যায় লf । কোথাও ব্যক্তিগত ব্যতিক্রম দেখা যায়ু মাত্র, এবং এই সকল ব্যক্তির সংখ্যাও বাস্তবিকই অত্যন্ত অল্প । কাঙ্গেত এs fভfগুষ্ঠান ও জীবনরসবঞ্চিত আন্দোলনকে স্থায়ী করা অত্যন্ত কঠিন কথা । ব্যাঃfমচস্টার এটিও একটি কাবণ । অতjস্ত কম । এতে দেখেছি, তাতে কোথাও বিদেশে অবস্থা অনুকূল ; দেশের আভ্যন্তরিক শাস্তিরক্ষার জন্য পুলিসবাহনী ও সেনাবাহিনীর স্থায়িত্বের সঙ্গে এই আন্দোলনের যোগ আছে, সুস্থ কৰ্ম্মঠ ব্যক্তিদিগকে এই বাহিনীভুক্ত করার প্রয়োজনও চিরদিন আছে ; আমাদের অনুরূপ কোন সুযোগ নেই, আন্দোলনটিকে বঁচিয়ে রাখার উত্তেজনাও চিরদিন থাকবার কথা নয়। অন্ত দেশের অভিজ্ঞতায় যে দোষগুলি পরিস্ফুট হয়ে উঠেছে, আমাদের সব-আন্দোলনটিকে দোষমুক্ত করবার জন্ম সেইগুলির আলোচনা করবার প্রয়োজন আছে।. আমাদের বেলায় আন্দোলনটি রাষ্ট্ৰীয় কোন আকার নেবে না, এটি নিছক সামাজিক আন্দোলন হয়ে দাড়াবে বা হওয়া উচিত। এই দিক দিয়ে স্বাস্থ্যের অথবা দৈহিক বলের মূল্য কোন দিনই