পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৪৪ --না পর সত্যি নয়—তবে শ্বশুরবাড়ীর কাছে পর বইকি ? সে যাই হোক--তুমি আমায় অবাক করলে ঠাকুরঝি —আর শ্বশুরবাড়ী ফিরে যাবে না ! লোকে বলে—শ্বশুরের ভিটে মহা তেখ । —আমার তেখে কাজ নেই বউ। যেখানে আপনার জন নেই—একটু স্বর্থ-দু:থ বোঝে এমন কেউ নেই –সেখানে যাব কোন স্বথে ? তারা আমায় ফেলতে পারে কিন্তু দাদা cણ আর আমায় ফেলতে পারবে না ।" নৃত্যকালী আর কিছুই বলিল নী—মুথ গম্ভীর করিয়া বসিয়া রহিল । নন্দ আর ফিরিয়া যাইবে না ;– বলে কি ? সেই তো একটুখানি দোকান, তাতার উপরেই সংসারের সব-কিছু নির্ভর । এই স্বল্প আয়ের উপরে নির্ভর করিয়া আবার একটা আপদ চিরকাল এই সংসারে ঢুকাইয়া রাপিতে চৈতন্য সাহস করে কেমন করিয়া ? ভাবিতে ভাবিতে চৈতন্থের উপরে তাহার অপরিসীম রাগ হইতে লাগিল। ঠিক করিল আজ বাড়ী আসিলে এজন্য ভাল করিয়া শুনাইয়া দিবে। মন তবু রহিয়াই গেল । নৃত্যকালীর আর আজকাল সঙ্কোচ নাই—প্রায়ই সংসারের কাজকৰ্ম্ম লইয়: খিঢ়িমিটি করে —মুথের উপরে দুই-এক কথা শুনাইয়া দিতেও ছাড়ে না । নৃতাকালী ভাবে, চিরটা কাল ত;হার থাইয়া পরিয়া মানুষ হইবে—কাজকৰ্ম্মে ভুলচুক হইলে একটু-আধটু কথাও সহ করিবে না—এই বা কেমন ! কিন্তু নন্দ সে-সব মুখ বুজিয়া অনায়াসেই সহ করে-এ-সব তাহার পাওনা বলিয়াঙ্গ গ্রহণ করিয়া লয় । মাঝে মাঝে যদি নিতান্ত অসহ্য হয়, তবে ফুষ্ট-এক বিন্দু চোখের জল হয়ত ফেলে—তাও আড়ালে লুকাইয়া । সারাট দিনের মাঝে নন্দ পথ চাহিয়া থাকে কখন চৈতন্য দোকান হইতে বাড়ী আসিবে । সেই সময়টা মে অন্তত: কিছু মুখে থাকে। তাহার দাদার কথা শুনিলে, মুখ পানে চাহিলে—সে সকল দুঃখ কষ্ট ভুলিয়া যায় । মন্দ কাছে না বসিলে আজকাল চৈতন্তের ভাল করিমু খাওয়া হয় না—তাহার সহিত অবসর সময়ে একটু কথাবাত্ত নী বলিলে মনটা ভাল থাকে না। এজন্যও আবার নৃত্যকালীর নিকটে নন্দর কথা শুনিতে হয় । বিধবণ SSక নন্দর আজকাল আর একটা কাজ বাড়িয়া?ছ । গৌরটা তাহার বড় বাধ্য হইয়া পড়িয়াছে । মন্দকে সে বলে ছোটমা । এই ছোটমায়ের সঙ্গ পাইলে সে মায়ের কাছ দিয়াও ঘেষিতে চান্তে না। তাঙ্গর খাওয়ান, ঘুম পাড়ান সকল কাজ নন্দকেই করিতে হয়। প্রথম প্রথম নৃত্যকালী গেীরকে আপনার কাছে টানিয়া রাখিতে চাঙ্গিয়াছিল, কিন্তু গৌরের সহিত সে পরিয় উঠে নাই—তাহার ছোটমা না হইলে এক দণ্ডও চলিবার উপাম নাই । দেখিয়া শুনিয়া নৃত্যকালী হাল ছাড়িয়া দিয়াছে । চৈতন্য বলে, “নন্দ, গেীরকে তোকেই দিলাম রে ।” — ইস আমার ভারী দায় । তোমার ছেলে কি আমায় রোজগার ল’রে খাওয়া:ব ? নিকটে দণ্ডায়মান গৌরকে চৈতন্য হাসিতে হাসিতে প্রশ্ন করে, “ইার গেীর, ন্যের ছোটমাকে রোজগার ক’রে খাওয়াবি তো ?” গৌর রাহু!র ছোটমাকে জড়াইয়া ধরিয়ু বলে, “আমি তোমাল লেঞ্জগার ক'রে খাওয়াব ছেতিমা ।” নন্দ তাঙ্গকে কোলে তুলিয়া লইয়া চুমুতে চুমুতে সারা মুখ ভরিয়া দেয় । মনাই বরাবর রশ্ন করে । কোন কোন দিন নৃত্যকালী সেদিন রাত্রে নৃত্যকালী পরিবেশন করিতেছিল। খাওয়া শেষে চৈতন্য নন্দকে ডাকিয় বলিল, “মাছের মাথাটা রইল নন্দ – দেখ্রিস, বেডালে পাবে—তুষ্ট খাস ।” নন্দ বাধা দিয়; বলিল, “ন-না উঠে না দাদা, এত বড় রুই মাছের মাথাটা একটুও খেলে না তুমি ? আমি ও ছাই মুখে তুলবো না তা বলে দিচ্ছি।” চৈতন্তু কথা বলিল না—উঠিয়াই গেল । নৃত্যকালী ব্যাপার দেখিয়া রাগে গুম্ হইয়া ছিল। মুখে একটিও কথা না বলিয়া ঘরে যে মাছগুলি ছিল প্রায় সবগুলাই চৈতন্তের উচ্ছিষ্ট পাতে ঢালিয়া দিয়া “নাও ভাবছ কি ঠাকুরঝি, খেতে বসে—ও মাথাটুকু আর খেতে পারবে ন!” কিন্তু একটু পরেই বড় ঘর হইতে চেসাইয় বলিতে লাগিল, “এমন তো দেখি নি বাপু কোন সকালে ! লজ্জাও কি নেই ? এদিকে তো বিধবা মাহ্য, ৰি q আসিয়া স্বামীর পরিবেশন কবিয়া যায় । বলিল,