পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سینه جدید মাছ খাওয়ার বেলায় তিন হাত জিব । ছোটলোক আর বলে কাকে ৷” কথাগুলি আত্মগত হইয়েও বাড়ীর সকলেই শুনিতে পাইল । নন্দ পাতে বসিয়া ভাত লইয়া নাড়াচাড়া করিল— দুই চোখের জলে দৃষ্টি অন্ধকার হইয়া আসিল—একটা ভাতও মুখে গেল না। রাত্রে অভুক্ত নন্দ গৌরকে কোলে লইয়া সারারাত কঁাদিয়া কাটাইল । এ-বাড়ীতে আসার পর অনেক অপ্রিয় কথা সে গুনিয়াছে—সহও করিয়াছে— কিন্তু এত বড় মৰ্ম্মাস্তিক তাহার একটিও হয় নাই। হায় রে সংসার! এখানে এমন একটু ঠাইও কি তাহার নাই, যেখানে একটু জুখে স্বচ্ছন্দে সে ত হার জীবনট কাটাহঁয়া দিতে পারে! ব্যাপার আর বেশী দূর গড়াইল না বটে, কিন্তু পরের দিন হইতেই নন্দ মাছ ছাড়িয়া দিল । চৈতন্য এবার এজন্য পীড়াপীড়ি তো দূরের কথা - এ সম্বন্ধে আর একটি কথাও বলিল না । চৈতন্তের বাপ-পিতামহ পরম বৈষ্ণব ছিলেন । তাহদের গুরুবংশও পরম বৈষ্ণব। চৈতন্য নিজেও প্রত্যহ পূজা-আহ্নিক না করিম আহার করিত না । দিন-পনর পরে চৈত্র ন্য এক দিন খবর দিয়া তাহার গুরুদেবকে আনিয়া হাজির করাইল। এবার সে দীক্ষা লইবে । যথারীতি দীক্ষা হইয়া গেল। গুরুদেব বিদায় লইয়া গেলেন। এদিকে চৈতন্ত কিন্তু দীক্ষার দিন হইতেই মাছ খাওয়া ছাড়িয় দিল । ব্যাপারটিকে ছল করিয়াই চৈতন্য ঢাকিতে চাহিয়াছিল, কিন্তু কাহারও বুঝিতে বাকী রহিল না যে ইহার মূল সেই দিনের ঘটনা— যাহার ফলে নন্দ মাছ ছাড়িয়াছে। নৃত্যকাল্ট সাধ্যমত চেচ মেচি করিতে লাগিল কিন্তু চৈতন্য কিছুতেই টলিল না। নন্দর কাজ জাবার বাড়িল—নিজের জন্য যা হোক চাটি সিদ্ধ করিয়া লইলেই হুইত, কিন্তু চৈতন্য আসিয়া তাহার হেঁসেলে ভর্তি হইল-কাজেই অন্ততঃ একটা ডাল তরকারি রোজ তাহাকে করিতেই হইত । किछ झेशंद्र शाल ५झे श्झेल ८ष, झेझांद्र छछ नृडाकालौद्र নিকটে তাহার গঞ্ছনা বাড়িয়াই গেল । নৃত্যকালী এবার ঠিৰু বুঝিয়া লইয়াছিল যে, নন্দ যদি আরও কিছুদিন এ-সংসারে থাকে তবে স্বামী তাহার একেবারে আয়ত্তের বাহিরে চলিয়৷ প্রেৰণসী S లిki8 যাইবে। সুতরাং বিষবৃক্ষ আর বাড়তে দেওয়া উচিত নয় । 8 তিন বৎসর পরে মৃত্যকালীর আবার সন্তান হইবে- তাই মাস-তিনেক পূৰ্ব্ব হইতেই সে বাপের বাড়ী যাই-যাই করিতেছিল। কাজেই তাহার সঙ্কল্প আপাতত: স্থগিত রাখিতে স্থির কfরল বাপের বাড়ী হইতে ফিরিয়া এদিকে বাধ হইল । আসিয়া মনকে তাড়াইবার ব্যবস্থা করিতে হইবে । হঠাৎ একদিন ননার ভাস্কর আসিয়৷ হাজির । নন্দকে তিনি লইয়া গাইবার জন্ম আসিয়াছেন,। কিছু দিন হইতে র্তাহার স্ত্রা নানা অসুখ-বস্থে একেবারে অচল হইয়া আছেন –সংসারেও আর লোক নাই ; এটিকে তিন চারটি ছেলে মেয়ে-তােহাঁদের তদারক করে এমন মাতুষ নাই, কাজেই ননকে অন্ততঃ দু-চার মাসের জন্ম একবার যাইতেই হইবে। নমা জানিত বড়-জে'র দু-চাপ মাসের বেশী সে সেথ'নে কিছুতেই থাকিতে পরিবে না এটা ঠিক । কারণ তাহার প্রয়োজন যখনই শেষ হইবে, তখনত কেনি-ন-কোন অছিল করিয়া তাহারা তাঙ্গকে তাড়াইবেষ্ট । অ’র না-হয় কাটলাথি খাইয় পড়িয়া থাকিতে হইবে। তবু নন্দ ভাবিতেছিল—কি করিবে। চৈতন্ত বলিল, “তই তো, কি করবি নন্দ ? লোকটা তো বড় বিপদেই পড়েছে। আমি বলি একটিবার যা—আমি না-হয় মাস দুই পরে গিয়ে আবার নিয়ে আসব।” নন্দ বলিল, “আমিও ঠিক তাই ভাবছি দাদ—সেই ভাল ।” কিন্তু নৃত্যকালী কপালে চোখ তুrিয় চেচাইতে স্বরু করিয়া দিল, “কি, এখন যাবে খণ্ডববাড়ী ! এভ দিন বসে বসে আমার পিণ্ডি গিন্সলেন, আর এখন আমার অসময়ে যাবেন শ্বশুরব উী ! আমার গায়ে কি এক রভি বল আছে, না আমি কোন কাজ করতে পারি ? তা দেখবে কে, আর বুঝবেই বা কে ?” বাস্তবিকই নৃত্যকালীর শরীর ইদানীং অনেকটা কাহিল হইয়াছিল—তাহার উপরে সাত-আট মাসের অন্তঃসত্ত্ব।