পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ চৈতন্য চিন্তিত মুখে নম্পকে বলিল, “বউয়ের কথা গুনেছিস তো নন্দ, এখন কি করবি বল তো ?” নন্দ বলিল, “কথাটাও তো বড় মিধ্যে নয় দাদা—তা হ’লে নাই বা গেলাম।” –কিন্তু তা হ’লে তোর ভাস্কর যে বড় চটে যাবে রে । —তা যাক। সেখানে যে আমি তাদের প্রয়োজনের বেশী এক দিনও থাকতে পারব তা মনে ক’রে না । কথায় বলে ‘কাজের বেলা কাজী, কাজ ফুরোলে পাজী’ –এও ঠিক তই । তাদের রাগে আমার কি আসে যায় ? নন্দর ভাস্বর যাইবার সময় শাসাইয়া গেল—এ-জীবনের মত আর কোন দিন সে. শ্বশুরবাড়ীর দরজায় পা দিতে পরিবে না – এই শেষ । নৃত্যকালী বাপের বাড়ী চলিয়া গেল । কিন্তু গৌর কিছুতেই তাহার ছোটমাকে ছাড়িয়া যাইতে চাহিল না, কাজেই বাধ্য হইয় তাহাকে রাখিয়াঙ্গ যাইতে হইল । নৃতাকালীর ছেলে গেীর, সে যে কেমন করিয়া নন্দর এমন বাধ্য হইয়া গেল তাহা ভাবিয়া নন্দ একেবারে অবাকৃ হইয়া যাইত। কিন্তু নিজের অস্তরের দিকে দৃষ্টি ফিরাইবার যদি ত:হার ক্ষমতা থাকিত, তাহা হইলে দেখিতে পাইত, দোষ শুধু এক গৌরের নয়—তাহার নিজের অন্তর অলক্ষিতে গৌরের জন্য যে কতখানি স্থান ছাড়িয়া দিয়াছে তাহা একবার ও সে ভাবিয়া দেখে নাই ! একমাত্র গেীরই বুঝি তাহার এ-জীবনের শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ । গৌরকে যখন সে বুকে চাপিম্বা ধরে, তখন সে তাহার ব্যর্থ জীবনের কথা, সংসারের সমস্ত অশাস্তির কথা, এক নিমেষে ভুলিয়া যায় । সমস্ত ছাপাইয়া জ:গিয়া উঠে যে মাতৃত্ব তাহা স্বার্থলেশহীন, নিষ্কলুষ ! আবার কয় মাস পরে নৃত্যকালী নূতন ছেলে কোলে লইয়া ফিরিয়া আসিল । এবার সঙ্গে আসিয়াছে তাহার পিতা ও বিধবা এক ভগ্নী । পনরু-বিশ দিন চলিয় গেল—আবার সংসারে সেই কলহ – সেই রেফারেষি আরম্ভ হইল। মৃত্যকাল এবার ঠিক করিয়! আলিয়াছিল—বীপকে দিয়া কাজ সারিতে হইবে। সেদিন চৈতস্কের শ্বশুর দোকানের হিসাবপত্র দেখিয়া ৰিধৰণ 鲁令多 গষ্ঠীর মুখে সকলকে শুনাইয়া বলিলেন, “ব্যাপার তো বড় স্ববিধের নয় বাবাজী, দোকানের যা অবস্থা দেখছি তাতে তোমার সংসার যে কি ক'রে চলবে তাই ভাবছি। আর তার উপরে যদি এমনি বাড়তি লোক এনে সংসারে ঢুকাও, সেটা তো বড় ভাল কথা নয় ।” চৈতন্য শ্বশুরের ইঙ্গিত বুঝিতে পারিল—তাহার মেজাজটাও সেদিন বড় ভাল ছিল না—তাই শ্বশুরের উপদেশ সে নিৰ্ব্বিবাদে গ্রহণ না করিয়া কম্বুটি কড়া কড়া কথা তাহাকে শুনাষ্টয়া দিল । শ্বশুর-মহাশয় অপমানিত হইয়, তাহার বিধবা মেয়ের হাত ধরিয়া বিদায় লইলেন । কিন্তু অধিক দূর না গিয়া চৈতন্তেরই অন্ত সরিক তাহার খুড়তুতে ভাইয়ের বাউীতে উঠিলেন। তাহার পরে আরম্ভ হইল নৃত্যকালীর গালাগালি। এবার নন্দের এত দিনের অভ্যস্ত সংযমের বঁধেও ইহার নিকটে হার মানিল । মৃত্যকালী বলিয়া বেড়াষ্টতে লাগিল—সে বীপের সঙ্গে আবার চলিয়া যাইবে- চৈতন্য কেমন করিয়া সংসার করে সে দেধিতেও আসিবে না । চৈতন্ত বেচারী এই গণ্ডগোলের ভিতরে পড়িয়া একেবারে দিশাহার হইয়া গেল । নন্দ আসিয়া বলিল, “আমাকে দিনকয়েকের জন্য ૧છરবাড়ী রেখে এস না দাদা।” চৈতন্য বুঝিতে পারিল—ইহা নন্দের কম দুঃখের কথা নয় । কারণ তাহার ভাস্কর যে ভয় দেখাইয়া গিয়াছে তাহাও ইহারই মধ্যে ভুলিবার কথা নয় । প্রত্যুত্তরে চৈতন্তু একটু মান হাসি হাসিয়া বলিল, “কি ষে বলিস নন্দ ।” আজকাল তাহার দাদার এই বিষণ্ণ ভাব—এই যে অশাস্তি তাহারও মূল কারণ আবার সে-ই–ভাবিয়া নন্দর মন অত্যন্ত পীড়িত হুইতেছিল। নন্দর এক দূরসম্পর্কের জ্যেঠামশাই ও জ্যেঠাইম কাশীতে থাকিতেন । তাহারা বহুদিন পরে সকলের সঙ্গে একবার দেখাশুনা করিক্তে গ্রামে ফিরিয়া আসিয়াছেন । জ্যেঠাইমা নন্দকে বলিলেন, “এত ট্রাথি-ব’ট খেয়ে এখানে পড়ে আছিল কোন হখে নন্দ তার চেকোস্ট চল "تيم. 3ங் 领