পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

प्टजार्छ cচষ্টকাস্লোভাকিয়ার উদ্ধারকর্ড cপ্রসিডেন্ট মাসাৱিক 歌 ఫిeఆ তাহার সমাজ ঘাহাকে কাষের বলে তাহাজেরও ধৰ্ম্মজ্ঞান আছে, তাহারাও ঈশ্বরের উপাসনা করে, তাহারাও দশ জন tীষ্টানের মত মানুষ । ভবিষ্যতে চিরজীবন মালারিক চেষ্টা pfরয়াছিলেন ধাহাতে ইহুদীদিগের প্রতি অক্ষায় অবিচার tা হয় । পরবর্তী কালে তিনি একবার একটি নির্দোষ ইহুদী বালকের প্রাণ বাচাইবার জন্য দলবদ্ধ সমাজের বরুদ্ধে একাকী দাড়াইয়া সারা দেশের নিন্দ ও অত্যাচার সত্ত্ব করিয়াছিলেন। চৌদ্দ বৎসর বয়সে মাসারিক মাধ্যমিক স্কুলের পাঠক্রম শেষ করিলেন। কিন্তু ষোল বংসর বয়সের আগে শিক্ষক হইবার t স্কুলে ঢোকা যায় না । এই দুই বৎসর তিনি নিজ গ্রামের স্থলের সহকারী শিক্ষকের কাজ করিবেন স্থির হইল। সহকারী শিক্ষকের কাজ ছিল ছেলেদের তত্ত্বাবধান করা, ক্লাসের আগে পরে শান্তি রক্ষা করা। আসলে কিন্তু অধিকাংশ সময়ই মাসারিককে স্কুল-পরিচালকের বাড়ীতে ও রান্নাঘরে চাকর-ঠাকুরের কাজ করিতে হইত। সঃকারী শিক্ষকরূপে তাহাকে সজ্জিার কাজকম্মেরও সহায়তা করিতে হইত। গীর্জার কাজ করিবার সময়ে ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে, বিশেষত: ক্যাথলিক মতবাদ সম্বন্ধে, তাহার মনে নানা প্রশ্ন ক্লাগিত, পাদরীর সঙ্গে আলোচনা করিয়া তিনি কোন সদুত্তর পাতভেন না । ক্যাথলিকদের মধ্যে ব! বিভিন্ন দেশে কেন এত বিভিন্ন মত ও প্রথা প্রচলিত, তাঙ্গর ৪ যুক্তিযুক্ত কারণ পাইলেন না । খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম সম্বন্ধে অনেক বঙ্গ তিনি পড়িয়া ফেলিলেন এবং সন্দেহ না ঘুচিলেও ক্যাথলিক ধৰ্ম্মে তখনও তাহার শ্রদ্ধ অটুট ছিল । একবার জেসুইটদের লেখা প্রোটেস্টান্ট-বাদের উপর একটি আক্রমণ তিনি পড়িয়া এতই উৎসাহিত হইয়াছিলেন যে প্রোটেস্টাণ্টবাদের বিরুদ্ধে তর্ক ও আলোচনা করিবার লোক খুজিতে লাগিলেন। দুঃখের বিষয় দেশময় ক্যাথলিক, কে প্রোটেস্টান্ট পক্ষ লইয়া তাহার সঙ্গে তর্ক করিবে ? অবশেষে এক জন লোক মিলিল, সেই গ্রামের কামারের জাৰ্ম্মান স্ত্রী । মাসারিক কামার-পত্নীর সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে জেসুইটদের বই হইতে শেখা তর্ক প্রমাণের সাহায্যে প্রোটেস্টান্ট-বাদের অসারতা এমনই স্পষ্ট প্রমাণ করিয়াছিলেন যে এই জাৰ্ম্মান রমণী স্বধৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া অবশেষে ক্যাথলিক দীক্ষা লইয়া ፵ዓ–? ছিল । এই সময়ের আর দুটি ঘটনা তাহার জীবনে গম্ভীর রেখাপাত করে। তাহাজের গ্রামের কাছে রাজাদের শিকারের জঙ্ক রক্ষিত একটি জঙ্গল ছিল । এই বনের হরিণ প্রায়ই গ্রামের শস্ত নষ্ট করিয়া যাইত, তবু তাহাদের বাধ, দিবার অধিকার কাহারও ছিল না । এক জন বড়লোক শিকারী একবার তার মা’র ছোট সঙ্গীর বাগামের উপর দিয়া ঘোড়া ছুটাহয়। বাগানটি নষ্ট করিয়া দিয়া গেল। ইহাতে পিতার রুদ্ধ আক্রোশ তিনি বুঝিলেন। বনের মধ্যে প্রবেশ করিয়া দেখিলেন রক্ষকের বাসার সামনে অনেক হরিণ, পাখী প্রভৃতি শিকার পড়িয়া রহিয়াছে, ভিতরে রাল্লার গন্ধ ও বড়লোকদের হৈ-হল্লা শুনা ধাইতেছে । এদিকে খিড়কীর কাছে দেখিলেন, তাহারই গ্রামের একদল লোক ছেলেপুলেসহ বড়লোকদের উচ্ছিষ্ট্রের পাইবার জন্তু নিজেদের মধ্যে কুকুরের মত কাড়াকড়ি গ্রাস মারামারি করিতেছে । ধনী-দরিদ্রের এই নিদারুণ বৈষম্যে ক্ৰোধে তাহার হস্ত মুষ্টিবদ্ধ হইয়। উঠিল, অগ্নিবর্ণ চোপে ডিনি সেথান হইতে চলিয়া আসিলেন । আর একবার আর একটি বড়লোকের শিকারী দল তাহাদের কুটারের কাছে আসিয়া নিজেদের দামী পুরু পালকের ওভারকোট সেখানে রাখিয়া রূঢ়ভাবে তাহাকে সেগুলি পাহারা দিবার কুকুম করিয়া চলিয়া গেল। সেরূপ দামী ওভারকোট fওনি জীবনে কখনও দেখেন নাই, কিন্তু তাহার মনে ইচ্ছা হইয়াfছল ছুরি দিয়া কাটিয় ছিন্নভন্ন কfরয় তাহার নোর জুতা দিয়া সেগুলি মাড়াইয়া নষ্ট করেন। বহুকষ্টে তিনি সে-বার আত্মসংবরণ করেন । আবেগের আতিশয্য কাদিয়া ভাসাইয়া না দিয়া যে স্থায্য ক্রোধ তিনি তখন দমন করিয়া হৃদয়ে পোষণ করিয়াছিলেন তাহারই প্রেরণায় পরে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল । প্রেসিডেন্টরূপে ভিনি একবার বলিয়াছিলেন, “যাহারা খাটি কাজ করে তাহারা সবাই সমান—ভাল কামারের কাজ ভাল প্রেসিডেন্টের কাজের চেয়ে কম প্রশংসনীয় নয়।” সেই সময়ে অর্থাৎ ১৮৫০ খ্ৰীষ্টাব্দে হাপ সবুর্গ-বংশের রাজত্ব চলিত মিলিটারি পুলিস ও পাদরীদের দ্বারা । ইহারাই সব বিষয়ের হৰ্ত্তাকর্তা ছিল ; রাজণ্ডের সর্বত্র সন্দেহ ও ভয় ; রাস্তার মোড়ে, হাটে বাজারে, গীর্জায়, সৰ্ব্বত্র গুপ্তচরেরা মুরিয়া বেড়াইড । ---...-a-do