পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SeSe “তোমার অতিসাfমধ্যে যে কৰ্ত্তব্য তাহাই প্রথমে কর, দ্বিতীয় কৰ্ত্তব্য নিজেই পরিষ্কার হইবে।” ভিয়েনার পাঠ শেষ করিয়া মাসারিক লাইপ জিগ, ইউনিভার্সিটিতে যান। লাইপ জিগে তিনি যে ল্যাগুলেডীর বাড়ীতে থাকিতেন তাহার কাছে শুনিলেন যে শালটি নামী একটি আমেরিকান ছাত্রী সেই বাড়ীতে থাকিয়া পড়াশুনা করিয়া আবার দেশে ফিরিয়া গিয়াছেন। শালটির গল্প প্রায়ই বাসার লোকের মুখে শোনা যাইত। দিনকতক পরে চিঠি আসিল, শাল টি আবার লাইপ জিগে আসিতেছেন। অল্পে অল্পে মাসারিকের সঙ্গে ইহার প্রগাঢ় বন্ধুত্ব হইল। শালটি ধারবুদ্ধি, চিন্তাশীল ও আনন্দময় প্রকৃতির মেয়ে চেকোসোভাকিয়ার বর্তমান রাষ্ট্রপতি বেনেশ ছিলেন । র্তাহার একত্র পড়াশুনা, ভ্রমণ-আলোচনা করিতেন, মধ্যে মধ্যে অপেরা থিয়েটার প্রভৃতি দেখিতেন । কিছু দিন লাইপজিগে থাকার পর শালটি জাৰ্ম্মেণীর অন্যান্য স্থানে বেড়াইল্প আমেরিকায় ফিরিয়া গেলেন । সেখান হইতে চিঠিপত্রে উহাদের বিবাহ-প্রস্তাব স্থির হইল ও শালটির প্রবাসী ১৩৪৪ অনুরোধে ভাবী শ্বশুরে সঙ্গে দেখা করিবার জষ্ঠ মসিাfরক আমেরিকায় রওনা হইলেন। সেকালে আমেরিক কণ্টিনেন্ট হইতে স্বদরের পথ ছিল, মাসারিকের অর্থবলও ছিল অতি সামান্য । বস্থ কষ্টে উপাতিত অৰ্থ বঁাচাইয়া একথান পুরাতন কয়লাবাহী জাগজে মাগরিক আমেরিকা, পৌছিলেন । শালটির বাপ বন্ডলোক না হইলেও তাহার অবস্থা মন্দ ছিল না, তিনি মাগরিকের অধ্যাপক হুইবার সংকল্প শুনিয়া ও ঠাঙ্গর কথাবার্তায় আপত্তি করিবার কিছু না দেখিয়া বিবাহে মত দিলেন ; সেকালে এদেশে লোকে বিবাহ করিলে শ্বশুবের কাছে যৌতুক পাইয়া থাকিস্ত, মাসারিক শ্বশুরের কাছে সরলভাবে যৌতুকের পরিমাণ জানিতে চাহিলেন । আমেরিকান শ্বশুর ইহাতে আশ্চধা ও ক্ষিপ্ত প্রায় হঠধ জানাই লেন, তিনি জানেন র্তাহার মেয়েকে যে বিবাহ কঞ্চিলে সে তাহার মেয়েকেই বিবাহ কfরবে, তাহাকে আবার সেজন্ত যৌতুক দিতে হক্টবে এমন অদ্ভুক্ত কথা তাঙ্গার কথনও মনে হয় নাই ! দিনকতক মহা নিরানলে কাটিল, সরলপ্রাণ মাসারিক ও যৌতুকের কথা ছাড়িবেন না, বাপও তাহার জেদ ছাড়িবেন না। মাসারিক শেষে ছড়াশ্বাস ও বিমর্ষ হইয় পড়িলেন, তাহার সম্বল এক পয়সাও মাষ্ট, ফিরিবার জাহাজ-ভাড়া তিনি যৌতুক হইতে দিবেন সরলপ্রাণে ইহাঙ্গ স্থির করিয়া আসিয়াছিলেন । শেষে শাগটির মধ্যস্থতায় বাপ তাহাকে ফিরিবার জাহাজ ভাড়া দিয়া বিদায় করিলেন । স্থির হইল, বিবাহ করিয়া তিনি এখন একাই ফিরিয়া যাইবেন, পরে অবস্থায় কুলাইলে শালটি তাহার সঙ্গে যোগ দিবেন। মাসারিক একাই ফিরিলেন ও আরও কিছুদিন পড়াশুনা করিবার পর প্রাহা ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপকের কাজ পাইলেন। প্রথম প্রথম নবীন অধ্যাপকের এদেশে মাহিনী অতি অল্পই পাইয়া থাকেন, ছাত্ররা ধে বেতন দেয় তাহাই তাহদের জীবিকার উপায় হয়। পরে পালটি আসিয়া স্বামীর সঙ্গে যোগ দিয়াছিলেন ও চিরদিন গুলির সকল কাজে সহধৰ্ম্মিণীর ব্রত পালন করিয়াছিলেন । যাহার সকলেই অক্ষম তাহদের মধ্যে এক জন একটু সক্ষম হইলে অন্যেরা তাহার সামর্থ্যের মাত্রা বেশী করিয়া কল্পনা করে, বিশেষ যদি তাহাতে নিজেদেরও, লাভের সম্ভাবনা থাকে ;