পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਾਲੇ চেকোসোভাকিয়ার উদ্ধারকর্তা প্রেসিডেন্ট মাসারিক ২৩৭ গ্রামের গরীবের ছেলে কলিকাতায় সামান্ত চাকরি পাইলে গ্রামের লোক মনে করে, ইহার সঙ্গে লাট-সাহেবের প্রায়ই দেপা গুন হয়, ইহাকে ধরিলে নিশ্চয় চাকরি মিলিতে পারে। মাদারিক আমেরিকান মেয়ে বিবাহ করিয়াছেন শুনিয়া তাহার দেশের লোক মনে করিল, তিনি নিশ্চয় কোটিপতি শ্বশুর পাইয়াছেন ; তাহার মোরাভিয়া প্রদেশের লোকে সমবেত হইয়া তাহার কাছে একখানি দরখাস্ত পাঠাইয়াছিল যে ধৌতুকের টাকা হইতে মাসারিক যেন মোরাভিয়া প্রদেশের জন্য একট। রেল-রাস্ত ভৈয়ার করাইয় দেন । দরিদ্র হইলে ৪ অধ্যাপকৰূপে মাসরিক খ্যাতি অর্জন করেন। ছাত্র-সম্প্রদায়ের মধ্যে র্তাহার বিশেষ প্রভাব ছিল । শুধু বিজ্ঞানের চর্চা বা ছাত্র-পড়ানতেই তিনি তাহার অধ্যাপকের কৰ্ম্ম শেষ হইল মনে করিতেন না, ছাত্রদের সৰ্ব্ববিধ জ্ঞানচর্চার তিনি সহায়ক ছিলেন, সকল প্রসঙ্গে তাঙ্গদের সঙ্গে তর্ক করিতেন ও তাহদের উদ্বুদ্ধ করিবার চেষ্টা করিতেন। শুধু f জের বিষয় ছাড়, মানুষের চিন্তনীয় ৰঙ বিষয় আছে, সব বিষয় সম্বন্ধে নিজের মতামত তিনি ছাত্রসমাজে প্রচার করিয়া ডাহাদের চিন্তা ও বিতর্কবুদ্ধির সহায়তা করিতেন । এজগু সহকৰ্ম্মী অনেক অধ্যাপক তাহার উপর অপ্রসন্ন ছিলেন । মাসারিকের এই দরিদ্র অধ্যাপক অবস্থাভে তাহার একটি ছাত্র মারা যায় ; ছাত্রটি ধনী ছিল ও মাসারিককে তাহার সমস্ত অর্থের উত্তরাধিকারী নিয়োগ করিয়া যায় । মাসারিক এই উত্তরাধিকারস্বত্রে অনেক অর্থ পাইয় তাহ বায়ু করিলেন এই ভাবে—- বাপের অবস্থা উন্নতির জন্ত তাহাকে গাড়োয়ানী ছাড়াইয়া একটি সরাইখান শুিনিয়া তাহার মালিক করিয়া দিলেন ; ছোট ভাইকে একটি ছাপাখানা কিনিম্ন তাহার মালিক করিয়া দিলেন ; বাকী অর্থ দরিদ্র ছাত্রদের সাহায্যের জন্ত বিতরণ করিলেন–নিজের জঙ্ক এক পয়সাও রাখিলেন না । দর্শনের অধ্যাপক ও মানুষ, দুই রূপেই মাসারিক সত্যামুসন্ধিৎসা, সত্যনিষ্ঠা ও সত্য-প্রকাশকে চরম কৰ্ত্তব্য মনে করিতেন। “ষাহা অসত্য তাহা কখনই মহৎ হইতে পারে না”—ইহাই ছিল তাহার মূলমন্ত্র। অসত্য ছিল তাহার কাছে অধশ্ব, সভ্য বলিতে তিনি কাহাকেও ডরাইতেন না, কোন বাধা মানিতেন না, কোনও স্বার্থকে গ্ৰাৰ করিতেন না ; তাহার সকল শক্তি একমুখী করিয়াছিলেন অসত্যদমন ও সত্য-প্রকাশের সাধনায় । ইহার জন্তু লাঞ্ছনাও তাহাকে ভোগ করিতে হইয়াছিল কম নয় । সে-সময়ে চেকু-জাতীয়ত্বের বন্যা প্রবল হইয়া উঠিতেছিল, নবোম্বুদ্ধ জাতীয়ত্বের মধ্যাদায় চেকরা নিজেদের প্রাচীন ইতিহাস, সাহিত্য, কল প্রভৃতির আবিষ্কার ও চর্চ করিতেছিলেন । মাসারিকও এই দলে ছিলেন । সময় এক জন খ্যাতনামা চেক্ অধ্যাপক্ষ কতকগুলি প্রাচীন পুথি আবিষ্কার করিয়া তাহার চেকু-উদ্ভব প্রমাণ করিলেন । চেকু-জাতি ইহাতে গৌরবে উচ্ছসিত হঠয় উঠিল, চেক্‌-সংস্কৃতির প্রাচীনত্বের আর কোন সন্দেহ রহিল না । মাসারিক পুথিগুলি পরীক্ষা করিয়া এই সিদ্ধান্থে উপনীত হইলেন যে পুথিগুলি জাল করা, খাটি নয় ; পুরাতন হইতে পারে, কিন্তু উহাতে জালিয়াতির লক্ষণ বর্তমান, ৰতরাং অবিশ্বাস্ত । জাতীয়তাবাদীরা ইহাতে ক্ষেপিয়া উঠিল, মাসাfরককে স্বজাতিন্ত্রোহী, মিথ্যাবাদী, ঝুটা অধ্যাপক প্রভৃতি বলিয়া গালাগালি করিল, পণ্ডিতে মুখে মিলিয়া তাঙ্গকে আক্রমণ করিল। মাসারিক গ্রাহ করিলেন না, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ, ভাষাতত্ত্ব, পুথিতত্বের যেসব প্রমাণের উপর নির্ভর করিয়া তিনি উহার বিশুদ্ধতায় সন্দিহান হইয়াছেন তাহাই লোকসমাজে প্রকাশ করিলেন। এই পুথিগুলি সম্বন্ধে আমি পণ্ডিতদের সঙ্গে আলোচনা করিয়াছি, বিশেষজ্ঞদের মতও শুনিয়াছি, এখন সকলেই বিশ্বাস করেন যে সম্পূর্ণ জাল ন হইলেণ্ড পুথিগুলিতে সন্দেহজনক এমন অনেক জিনিষ আছে যাহাতে তাহার পূর্ণ প্রাচীনত্ব প্রতিষ্ঠিত হইতে পারে না। মাসারিক এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ না করিলে এ দিকটা অপ্রকাশিতচ থাকিয়া যাইত, কিন্তু জাতীয় গৌরবের চেয়ে সভাপ্রতিষ্ঠাকেই তিনি বড় মনে করিয়াছিলেন। আর একটি ঘটনায় মাসারিকের সত্যনিষ্ঠ। তাহার জীবনসংশয়ের কারণ হইয়াছিল। এবটি খ্ৰীষ্টান বালিকার মৃত্যুসম্পর্কে একটি ইহুদী ছোকরা অভিযুক্ত হয়। ইহুদী-বিদ্বেধ শুধু হিটলারের আবিষ্কার নয়, সারা ইউরোপে ব্যাপকভাবে বৰ্ত্তমান । লোকে বলিল, ইহুদীদের মধ্যে অম্লেষ্টানিক a3=vēli ( ritual murder ) zon esfē, stęTRÈ Rr ७f***