পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀBՆ ছেলের জন্তে আমার সারাদিন বুক ধুকধুক করছে। মেয়েটির কুষ্ঠ ভারি ভাল । জন্ম-এয়োস্ত্রী থাকবে ও ” কৰ্ত্তা আর কিছু বলিলেন না। চায়ের পেয়াল। শেষ করিয়া, ইজিচেয়ারে গিয়া লম্ব হুইয়া শুইয়া পড়িলেন । চাকর নারাণ আসিয়া গড়গড়াটি রাখিয়া গেল । হৈমবতী আবার একটু এদিক-সেদিক ঘুরিয়া আসিলেন, বড়-জা তেমনই পডিয়া আছেন, দেশ হইতে র্তাহার বিধবা দিদি আসিয়া পৌঁছিয়াছেন, তাহাকে দেখিয়া দুর্ভাগিনী জননীর আশ্রস্রোত আবার উচ্ছ্বসিত হইয়া উঠিয়াছে । মেজজায়ের মেয়ে পুটু আজ যেন একটু শাস্ত, দুপুর বেলা খাইয়দাইয়া শুইয়া পড়িয়ছে, বোধ হয় ঘুমাইয়া আছে। তাহাকে আর কেহ তোলে নাই । পরদিনই আচাৰ্য্য মহাশয় কবচ দুটি দিয় গেলেন । যথানিয়মে, যথাকলে হৈমবর্তী কবচ দুটি ছেলেদের পরাইয়া দিলেন। অমল প্রথমে যথেষ্ট আপত্তি করিল, কিন্তু মায়ের চোখের জলের কাছে তাহাকেও অবশেষে হার মানিতে হইল। আচার্যা মহাশয় বলিয় গেলেন, কবচ ভারি শক্তিশালী, ধারণকারীর কোনো অনিষ্ট কোনো দুষ্ট গ্রহে পরিবে না । ফেলিলেন। দিনের পর দিন কাটিয়া চলিল, বিনয়ের শ্রাদ্ধশাস্তিও অবশেষে চুকিয় গেল। বড় গৃহিণী আর তত কাদেম কাটেন ন, মাঝে গিয়া একদিন অন্তঃসত্ত্ব পুত্রবধূকে দেখিয় আসিয়ছেন । তাহার বিনয়ের শেষচিহ্নটুকু দেখার আশায় যেন উদগ্রীব হয়ে দিন গণিতেছেন । মেজগিল্পী পুটুকে লইয় তিন-চার মাসের জন্য তীর্থে চলিয়া গিয়াছেন। পলাশপুরে ত লোক ছুটাছুটির বিরাম মাহ । দিন ক্ষণ স্থির হইতেছে, কোষ্ঠী মিলান হইতেছে এবং যতই কেন না হৈমবতী দেনা-পাওনার কথাকে উপেক্ষা করুন, সে কথাও কিছু কিছু হইতেছে । বিবাহে খুব বেশী ধুমধাম করা সাজিবে না, যাহা না হইলে নয়, সেইটুকুই হইবে। হৈমবতী ইহা লইয়া কাহাকেও কিছু বলিতে পারেন না, কিন্তু মনে মনে স্থখ আছে। তাহার ঘরে আর ত বিবাহ কোনো দিন হইবে না, এই একটিকে লইয়াই সকল সাধ তাহাকে মিটাইতে হইবে । করিতে হৈমবতী এত দিনে একটি স্বfপ্তর নিঃশ্বাস গুৰাসী >N*88 অমলের এ বিবাহে বিশেষ উৎসাহ নাই । সে শুনিয়াছে মেয়ে স্বন্দরী নয়, আধুনিক মতে শিক্ষিতাও নয়। কিন্তু মায়ের সঙ্গে ত পারিয়া উঠিবার জো নাই ? বকিয়-ঝকিয়, কাদিয়া, তিনি নিজের মত বজায় রাখিবেনই। কামিনী-মণসীর কাছে গিয়া একদিন সে বলিল, “তোমরা বুঝি ত্রিস'সারে মেয়ে আর পেলে না ? কেন কলকাতায় মেয়ে ছিল না ?” কামিনী ঠোট উল্টাহয়। বলিলেন, “আমরা কি করব, বাছা ? তোমার মায়ের কথার উপর কথা বলতে গিয়ে কে মুখঝামূট খাবে ? তার ঐ কালে মেয়েই পছন্দ।" অমল বলিল, “কি কারণে ? কালো তার স্বর্গে বাতি দেবে ?” কামিনী বলিল, “তিনিই জানেন, মেয়ের কুষ্ঠ নাকি খুব ভাল, দিদি তাচ দেখেই মজে গেছেন ।" “রাবিশ ” বলিয়৷ অমল ঘর ছাড়িয়া চলিয়া গেল । õõ বিবাহের দিন ক্রমে অগ্রসর হইয়া আসিল । পাক দেখার দিন সময় কবিয়া কমললোচন একবাং গিয়া যথাকর্তৃব্য করিয়া আসিলেন । মা একবার ছেলেকে জিজ্ঞাসা করিলে, “দেথতে-টেথতে চাস নাকি রে } বল ত তাহলে জোগাড় করি।” অমল রাগ করিয়া বলিল, “আমার দরকাব নেই, তুমি বসে বসে দেখ গিয়ে ।” কামিনী আড়ালে হৈমবতীকে বলিলেন, ছেলের কিন্তু কনে পছন্দ হয় নি দিদি ৷” হৈমবতী রাগ করিয়া বলিলেন, “ওর আবার পছন্দ ! কোনো কাণ্ডজ্ঞান থাকলে তবে বুঝত কি জিনিষ আমি ওকে দিচ্ছি। তোমরা পাচ জমে ওকে আস্কার দিও না বাপু ।” কামিনী গালে হাত দিয়া বলিলেন, “ওম শোন কথা, আমরা কেন আস্কার দিতে যাব ? তোমার ছেলে বললে তাত না আমার বলতে আসা খাক গে, কাজ কি বাপু আমার এ-সব কথায়,” বলিয়া তিনি ফর ফর করিয়া চলিয়৷ গেলেন । কৰ্ত্তা রাত্রে থাষ্টতে বসিয়া বলিলেন, “সত্যি মেয়েটির মুখে ভারি একটা শান্ত শ্ৰী আছে, দেখলে মাম্বা হয় ।” “তোমার