বৃন্দ-সতসই প্লাকায় রচিত অষ্টাদশ শতাব্দীর একখানি নীতিকাব্য ডক্টর ঐকালিকারঞ্জন কানুনগো শাহজাদা অজীমূলশান যখন সবে বাঙ্গালা বিহার ও উড়িষ্যার স্ববেদার নিযুক্ত হইয়াছিলেন তখন সম্রাট चां७द्रचरणरयद्र अश्मउिक्वट्य छैiशग्न भद्रयान्नैौ श्निौ कवि বুদ্ধাবনজী বা বৃন্ম শাহজাদার সহিঙ ঢাকায় আসেন। সম্রাট-পৌত্রের চিত্রবিনোদনার্থ এখানে থাকিয় তিনি হিন্দী ভাষায় একখানি কাব্য রচনা করিয়াছিলেন। ইহার নাম "ইঞ্চি-সতাই’ ; কিন্তু সাধারণতঃ ইহা বৃন্দ-সতসই নামে সমধিক প্রসিদ্ধ। গ্রন্থসমাপ্তি-দোহায় কবি লিথিয়াছেন – সন্ধত সসি রস বার সসি, কতিক সুদি সৃলি বায় । मारैटै कोक नश्य हैभ, উপজোঁ হৈ বিচায় । অর্থাৎ ১৭৬১ কিঃ সঃ কাঞ্জিক মাসের ৭ তারিখ সোমবার এই রচনা সমাপ্ত হয়। ইহার পূৰ্ব্বে বৃন্দ কবি 'ভাৰ পঞ্চাশিকা ( ১৭৫৩ কিঃ) ও ‘পূজার শিক্ষা' ( ১৭৫৮ কিঃ) কাব্য রচনা করিয়াছিলেন । কবি বুন্দাবনী শাকদ্বীপ ভোজক ব্ৰাহ্মণ বংশে যোধপুর রাজ্যের অন্তর্গত মেড়ঙা শহরে ১° • • বিঃ সঃ শুক্লাপ্রতিপক্ষ বৃহস্পতিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ২৮ বৎসর বয়সে তিনি যোধপুরাধিপতি মহারাজ যশোবন্ত সিংহের নিকট হইতে মেড়তায় কিছু জমি জাগীর পাইয়াছিলেন। ঐ জমি আজ পৰ্য্যস্ত কবির বংশজগণ ভোগদখল করিয়া আসিতেছে । ইহার দুই বৎসর পরে বৃন্দ কবি দিল্লী গিয়াছিলেন । সেখানে কোন মুসলমান আমীরের স্বপারিশে আওরঙ্গজেবের দরবার। কবি মনোনীত হইয়া দৈনিক ১০ টাকা বৃত্তি লাভ করেন। কথিত আছে, তিনি শাহজাম মোয়াঙ্গম ও তাহার পুত্র আঞ্জীমূণশানের শিক্ষকতাও করিতেন। ১৭৬২ কিঃ সঃ ( ১৭০৬ খৃঃ) কবি বচনিক নামক ঐতিহাসিক কাব্য রচনা করেন। উহাতে সামুগঢ়ের প্রথম যুদ্ধে স্বারা শুকোর অন্যতম রাজপুত সেনাধ্যক্ষ মহারাঙ্গ রূপসিংহের অসামান্য বীরত্বের বর্ণনা আছে। ১৭৬৫ বিী সঃ তিনি সামূগঢ়ের দ্বিতীয় যুদ্ধের ঘটনাবলী অবলম্বনে সত্য-স্বরূপ নামক গ্রন্থ রচনা করেন। ঐ বৎসর কিশনগঢ়-নরেশ রাজসিংহজী সম্রাট প্রথম বাহাদুর শাহর ( মোয়াজম ) অষ্ণুমতিক্রমে কবি বৃন্দকে নিজ রাজ্যে লইয়া আসেন এবং ভাল জাগীর দিয়া তাহাকে ফিশনগঢ়েই রাখিয়া দিলেন। সেই সময় হইতে তাহার বংশধরগণ আজও কিশনগঢ়ের আশ্রয়ে বসবাস করিতেছে। আধুনিক টীকাকার পণ্ডিত শ্ৰীকৃষ্ণ শুকুলজী বৃক্ষসতলই কাব্যকে প্লীপাঠোপযোগী কবিতা বলিয়া প্রশংসা করিয়াছেন । কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য, আমি ইহার ঐ বৈশিষ্টটুকু উপলদ্ধি করিতে পারি নাই। এই কাব্যে স্ট্রীজাতির প্রতি কোন বিশেষ শ্রদ্ধা বা পক্ষপাতিত্ব কিছুই নাই—আছে স্ত্রীজাতির উপর পুরুষের চিরন্তন অবিশ্বাস। ভাষা, ছন্দ ও অলঙ্কার ঐতিহাসিকের বিচাধা বিষয় নহে। কাব্য সমসাময়িক সামাজিক অবস্থা ও লোকের মনোবৃত্তির দর্পণ-স্বরূপ ঐতিহাসিকের কাছে আদৃত হইয় থাকে। আমরা কয়েকটি দোহ উদ্ধৃত করিয়া অনুবাদ ও ঐতিহাসিক টিপ্পনীসহ বাঙালী পাঠক-পাঠিকার কাছে নিবেদন করিব। ১। ফিক পৈনিক গগৈ, কহিয়ে সময় বিচারি। স্যকে মন ছবিত করে জে বিবাহ মে গরি ॥ ফিকে (মশ্ব ) কথাও ভাল লাগে যদি সময় বিচার কবিয়া বল। যায় । যেমন বিবাহের সময় গালাগালি সকলের মন হৰ্ষিত করে। কোন বাঙ্গালী বিবাহ-বাসরে গালাগালি খাইয়া উৎফুল্প হয় না। হয়ত কোন কোন অঞ্চলের লোকেরা এই উৎকট আনন্দের অধিকারী । উহাদের মধ্যেও ব্যতিক্রম দেখা যায়। আমার জনৈক জীবিত-গার পণ্ডিত-বন্ধু দ্বিতীয় পক্ষ করিবার সময় দিল্লী হইতে এক জন পাঞ্জাক .
পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।