পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অলখ-ঝোরা

  • x

স্কুল কলেজ থাকিলে সপ্তান্তে এক দিনের বেশী হৈমন্ত্রীদের বাড়ী যাওয়া হয় না। ঐ একটা দিনই ছিল সুধার প্রাত্যহিক রুটিনের বাহিরে মুক্তির দিন, কারণ তাহার মা পীড়িত বলিয়৷ তাতার সঙ্গে নিমন্ত্রণ-আমন্ত্রণ কি কোন উৎসব-আনন্দে ধাতবার স্বযোগ তাঙ্গর ঘটিত না। ঐ একটা দিনের জন্য সারা সপ্তাহ ধরিয়া উন্মুখ হইয় থাকা স্বধার নিয়ম দাড়াইয় গিয়াছিল, কিন্তু সে দিনট কখনও বাদ পড়িলে এমন কিছু দারুণ নৈরাশ্বের কারণ ঘটিত না । হৈমন্ত্রীর সঙ্গে সপ্তাহের আর ছয়টা দিন ত দেখা হয়ই । অকস্মাং ঐ দিনটার আশা-পথ চাহিয়৷ থাকায় স্বধার আগ্রহ ষে অনেক গুণ বাড়িয়া গিয়াছে তাহা সে আপনি দেখিয়া বিস্থিত হইল। একদিন সকালে উঠিয়া সে লক্ষ্য কুরিল যে, একটা রাত্রি কাটিয়া যাওয়াতে ছুটির দিনের কতটা কাছে সে আগাইয়া আসিয়াছে ডাহা সে গুনিতে আরঞ্চ করিয়াছে ; সন্ধ্যাভেও সে একটা দিন শেষ হওয়ায় যেন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলিক্ষ্মী বঁাচিল । দিন ও রাত্রিকে দুই ভাগ করিয়া লইয়া দিনের বারোটা ঘণ্টা কাটিয়া গেলে তাঙ্গর আনন যেন উপছিয়া পড়ে, কারণ রাfরর বারোট ঘণ্ট। ত ঘূমাঠয়াই কাটিয়া যাইবে । কখন যে তাহাব আরম্ভ সেইটুকু জানিলেই চলিবে, শেষটার জন্য দীর্ঘ বারো ঘণ্ট সজ্ঞানে অপেক্ষা করিতে হইবে না । কিন্তু কেন তাহার এই আগ্রহ । আগ্রহের কারণ বুঝিয়। আপনার কাছে আপনাকেই যেন সে অপরাধী বলিয়া মনে করিত। জীবনে উচ্চ আদর্শের, ত্যাগের আদর্শের, প্রতি স্বধার টান ছিল । সে যে তাহার জীবনে বড় কিছু ত্যাগ করিতে পারে নাই ইহার জন্য তাহার মনে মনে একটা মন্ত লজাও ছিল । তপনের গামের স্কুল দেখিয়া আসিয়া তাহার সেই লজাট অনেকখানি বাড়িয়াছে । ইচ্ছা করে তপণের اة بن مسده وينا মত সেও তাহার নয়ানজোড় গ্রামের মেয়েদের লঙ্গয় ইস্কুল পাঠশাল করে, মেয়েদের সততা ও মধ্যত্ব বৃদ্ধির জন্য বড় একটা পণ করিয়া কাজে ঝাপ দিয় পড়ে । কিন্তু স্বার্থপর সে, তাঙ্গ পারিতেছে কই ? নিকটে যাহার। তাহার মুথ চাহিয়া পড়িয়া আছে, রক্তের সম্পর্কের সেই কয়টি মানুষের সুখমুবিধা ভুলিয়া দূরের মানুষের জ্ঞপ্ত জীবনের কিছু অংশও সে দিতেছে কই ? অথচ তাহার আগ্রহের অস্ত নাই ঐ কৰ্ম্মী তপনের দেপা সপ্তাহান্তে একবার পাইবার জুলু । সুধার মনে করিতে লজ্জা করে, দুঃখ হয়, যখন সে চমকিত হইয়া নিজের দিকে চায়। সে ত তপনের গ্রামগঠনের কাহিনী শুনিবার জন্য দিনের পর দিন আশাপথ চাহিয়া থাকে না। সে চায়ু তপনের নবীন ভাস্করের মত উজ্জল সুন্দর মূর্তিটি বার বার দেখিতে, সে চায় তাহার জলকঙ্গোলের মত মধুর গভীর কণ্ঠস্বর প্রাণ ভরিয়া শুনিতে, সে চায় তপনের সহিত আর একটু নিকট বন্ধুর মত সম্পর্ক পাতাইতে। যাহার ত্যাগের এক কণাও সে নিজের জীবনে দেখাইতে পারিতেছে না, তাহার প্রতি এ অহেতুক আকর্ষণকে স্বধা ভীত হইয় ভাবে এ বুঝি তাহার পতন, এ বুঝি তাহার খলন । এক এক বার মনে করে হৈমন্তীর বাড়ী এ সপ্তাহে যাইবে না। সে ত তপনের কোন কাজে সাহায্য করে নাই, তবে কেন সে তপনকে দেখিবার জন্ত তাহার সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাইবার জন্ত হযোগ খুজিয়া বেড়াইবে ? কিন্তু মনের এই ক্ষীণ ইচ্ছা টিকে না ওই বিপুল আগ্রহের কাছে। রবিবার বিকালে স্বধী না গিয়া থাকিতে পারে না। তপন কি সব দিনই আসে ? সব দিন সে আসে না। স্বধা ঘণ্ট মিনিট শুনিয়া মূখন নিরাশ হইয়া বাড়ী ফিরে, তখন রাত্রে গুইয় গুইমু মনে হয় কবে কোথায়ু তপনের সঙ্গে দেখা হইয়ছিল, কবে সে কি কথা বলিয়াছিল, কোন শিকার কথাট