পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

टेऊTछे অলখ-ঝেণরণ

  • S位

ফেনি আর কুসি ! পৃথিবীর সেরা দুটি পেীকে পড়াবে আর আমি হাত গুটিয়ে তাদের মাষ্টারী করব ? ওদের টিকি ছেড়বার জন্তে আমার হাতত সারাক্ষণ নিসপিস করবে, আর তুমি উপদেশ দেবে যে মেয়েদের গায়ে হাত তুলতে নেই । তার চেয়ে ধোপার ওই নম্বর ওয়ান পাঞ্জি ছেলেটাকে নাও মা ! পাড়ার ছেলেদের ঢ়িল মেরে কেমন বকধাৰ্ম্মিকের মত মুখ ক’রে এসে আমাদের বাড়ীতে লুকোয় । ঢ়িল কাকে বলে তাই নাকি ও জানো না।” স্বধা উৎসাহিত হইয়া বলিল, “আচ্ছ, তুই যদি ওটাকে জোটাতে পারিস, আর ওর ভার নিতে পারিস, তাহলে ত ভালই হয় । পাঠশালের ছেলেমেয়ে বাড়াতে ত হবে ।” কুসির মাকে বলিবা মাত্র সে রাজি হইয়া গেল । “দাও না দিদিমণি, লক্ষ্মীছাড়াটাকে মান্তষ করে, তাহলে ত আমার হাড় জুড়োয় । সারাদিন রাস্তায় ধুলো মেখে আর আমাকে শুদ্ধ বাপ মা তুলে গাল দিয়ে ত দিন কাটাচ্ছে। ভদ্ধর নোকের পায়ের কাছে বসতে যদি পায়, সেও ত ওর সাতজন্মের ভাগ্যি !” কিন্তু ননীর মা ফেনিকে জিতে অত সহজে রাজী হষ্টল মা। মেথরের মেয়ের সঙ্গে তাহার মেয়ে একাসনে বসিয়া পড়িবে শুনিয়া সে ত প্রায়ু আকাশ হইতে পড়িল । “স্ট্র কী মেলেচ্ছ কাও দিদিমণি ! আমরা গরীব লোক ব’লে আমাদের কি আর জাত জন্ম সব গেছে ? মেথরের সঙ্গে পড়তে বসলে আর কোনও কালে কি ওর বে-খা হবে, না ওর হাতে কেউ জল খাবে ? বই পড়ে ত মেয়ে চাকরী করবে না জাপিসে, কিন্তু জাত গেলে যে সব যাবে।” শেষে রফা হইল কুসি আলাদা চটের আসনে বসিবে। ফেনি ইচ্ছা করিলে নিজের জন্তু আসন আনিতে পারে অথবা সকলের সঙ্গে মাছুরেও বসিতে পারে । রঞ্জকনন্দনকেও আসন সম্বন্ধে নিজ ইচ্ছামত ব্যবস্থা করিবার অনুমতি দেওয়া হইল। পাঠশালা স্বরুর দিন দেখা গেল তিন জনেই তিন টুকরা ছেড়া চট আনিয়াছে বসিবার জন্য। কিন্তু পাঠারম্ভের পর সকলেই ভূমি-আসন বেশী মুখকর মনে করিয়া চটের আসনের মায়া ত্যাগ করিল। দুই-চার বার পাঠশাল করিতে করিতে চট আনার অভ্যাসটাও ক্রমে তাহারা জুলিয়া গেল। পাড়ার আরও গোটা দুই ছেলে জুটিয়াছে, সবাই সবাইকার ঘাড়ে পড়িয়া মেজের উপর বসিয়াই পড়া শুনা করে। কে যে মেথর আর কে যে চামার তাহ আত মনে রাখিবার আর কাহারও আগ্রহ নাই । সুধা ইস্কুল ভাল করিয়া সাজাইবার জন্য নিজেদের ছেলেবেলার যত ছেড়া গল্পের বই একটা কেরাসিন কাঠের তাকে আনিয়া জড়ো করিয়াছে । দুই-একখানা ছেড়া ধারাপাত কি বর্ণ-পরিচয়ের বইও তাহাদের শৈশবের অত্যাচার অতিক্রম করিয়া এতদিন টিকিয়া আছে। সুধার উৎসাহ দেখিয়া চন্দ্রকাস্তু বলিয়াছেন এই বইগুলি সস্তায় তাহার ইস্কুলের দপ্তরীকে দিয়া বাধাইয়া দিবেন এবং যদি ছাত্রদের কাছে পুরানো বই কিছু পাওয়া যায় তাহাও আনিম্ন দিবেন। মহামায় বলিয়াচেন একটা নূতন হারিকেন লণ্ঠন তিনি স্বধার ইস্কুলে উপহার দিতে রাজি আছেন। হৈমন্ত্রী ত পারিলে তাহার সব বইখাতাই দান করিয়া বসে। সুধা লইতে আপত্তি করাতে সে ছেলেমেয়েদের ইংরেজী বই ও মেট পেনসিল জোগাইবার ভার লইয়াছে। শিৰু দানধ্যানের ধার ধারে না, তবে সে সপ্তাহে তিন সন্ধ্যায়ই স্বtযাগ্য শিক্ষকের মত কাজ করিয়া যায় । পাঠশালের কাজ মহাউৎসাহে চলিতে লাগিল । ছেলেমেয়েগুলা আকাট মূর্খ ছিল, এক মাসের মধ্যেই বর্ণ-পরিচয় সারিয়া একটু আধটু পড়িতে স্বরু করিয়াছে, ইহাতে স্থধার মনে গর্কের ও আনন্দের সীমা নাই, কিন্তু ঐ জানদের উপর আরও একটা আনন্দের ক্ষুধাও যে তাহার আছে। ছোট বটে তাহার এই কাজটুকু, তবু ইহা তাহার দেখাইতে ইচ্ছা করে তপনকে। শুধু দেখানে বলিলেও ঠিক বলা হয় না, দেখাইবার উপলক্ষ্য করিয়া তপনকে একবার তাহাজের এই ছোট বাড়ীটিতে লইয়া আসিতে, তাহার মুখে দুই-একটা উৎসাহের কথা শুনিতে স্বধার যতখানি আগ্রহ হয়, আর অন্ত কোন কাজে ততখানি হয় না। তপনের মুখের দিকে চাহিয়া স্বধা বুঝিতে চায় স্থধার.এ কাজে তপন সভাই খুশী হইয়াছে কি না। তপনের বন্ধু বলিয়া অভিহিত হুইবার যোগ্যতা স্বধা অর্জন করিয়াছে ! কি না তাহা কোন উপায়ে সে একবার ভাল করিয়া জানিতে চায় । স্বধী মনে করিয়াছিল তপনের প্রিয় কার্ষ্যের মধ্যে ডুবিয়া সে তপনকে