পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

۵ سواجS প্রৰণসী $శ్రీఉ8 পূজা করিতেছি, বাহাড়ম্বর প্রদর্শনে আমরা বহু অর্থ অপব্যয় করিতেছি, এই অর্থ ও উৎসাহ দেশের মঙ্গলার্থ ব্যয় করিলে আমাদের মঙ্গল হইত। গৃহলক্ষ্মৗদিগকে কৰ্ম্মে, চরিত্রে এবং নিষ্ঠাপরতায় মুসজ্জিত করিতে পারলে আমাদের দেশের নারীর অপমান লাঘব হইবে । গৃহলক্ষ্মীদিগকে প্রতিম সাজাইবার মত না করিয়৷ শক্তিশালিনী করিত্বে হইবে। নারীধর্ষণকারীদিগকে কঠোর দণ্ডে দণ্ডিত করার সঙ্গে সঙ্গে যনারীরা পুরুষের চরিত্র নষ্ট করিয়া দেশের শত শত যুবক ও ক্ষমতাশালী ধনবানকে বিপথগামী করিতেছে ও হিন্দুর পবিত্র গার্হস্থ্য ধন্ম ও একান্নবৰ্ত্তী প্রথার বিরুদ্ধে অগ্রসর হইতেছে, তাহাদের কঠোর শাসনের ব্যবস্থা না করিলে আমাদের মঙ্গল হইবে না । এ-কালের শিক্ষিত মহিলারা নারীর মঙ্গলের নিমিত্ত নানাবিধ প্রস্তাব ও পন্থা অবধারণ করিতেছেন । কিন্তু পুরুষের সম্মুখে নানাবিধ প্রলোভন স্বষ্টি করিয়া পুরুষের পুরুষত্ব নষ্ট করিবার চেষ্টা ও উদ্যম নারীদের সব্বত্র পরিলক্ষিত হয়। তাহার বিনাশনার্থে কোন স্থানে আয়োজন হইতেছে এরূপ শুনা যায় কি ? পুরুষ নারীকে আবদ্ধ। তথা পরাধীন করিয়া রাখিয়াছে সত্য, কিগু নারী পুরুষকে নানা কৌশলে পশুভাবে রাখিয়া দেশের সব্বনাশ করিতেছে, ইহারও প্রতিকার প্রয়োজন । জগদ্বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক এডিসনের সহধৰ্ম্মিণী এক স্থানে বলিয়া.gs, “A woman can make or break a man.” fossi অন্যত্র বলিয়াছেন যে “মানুষকে বড় কিংবা ছোট করে তার স্ত্রী ; উদারচেত। কোন পুরুষকে দেখিলে অনুমান হইবে যে তাহার স্ত্রী মহামহিমময়ী " নব্য ইটালীর গঠনকৰ্ত্ত বীর মুসোলিনী বলিয়াছেন বে স্ত্রীর মাতৃত্ব এবং পুরুষের বীরত্ব, এই দুইটি সার। একালের শিক্ষিত ললনাদের অস্কায় অপকৰ্ম্মের বিরুদ্ধে সংগ্ৰাম কর প্রয়োজন । পতিত নৃত্যকারীর সংখ্য; fদন পিণ বাড়িতেছে অযথা নগ্নতার বীভৎসতী সমাজে প্রতিভাত হক্টতেছে, এই সকলের নিবারণ প্রয়োজন । শ্রীবৃন্দাবননাথ শৰ্ম্ম৷ পদ্মচিহ্ন ও ইসলাম কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা-দিবস উপলক্ষে অমুষ্ঠিত উৎসবের পতাকা শ্রী, পদু ও স্বস্তিক চিহ্নাঙ্কিত করা তহঁয়ছিল বলিয়৷ কলিকাতাস্থ ইসলামিয়া কলেজের মুসলমান ছাত্রবৃন্দ উঠাতে হিন্দু-পৌত্তলিকতার গন্ধ পাইয়া ধৰ্ম্মগনির আশঙ্কায় প্রতিবাদ জানাইয়াছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে ইসলামিয়া কলেজের ছাত্রদের উক্ত প্রতিবাদের কি উত্তর দিয়াছিলেন, তাহ আমরা অবগত নহি । এ বিষয়ে প্রবাসী-সম্পাদক মহাশয় ধে আলোচনা করিয়াছেন তাহার সহিত আমরা সম্পূর্ণ একমত । ঐ, পদ্ম ও স্বস্তিক চিহ্ন যে কোন হিন্দু দেবদেবীর প্রতীক নহে, কিংবা কোন হিন্দু দেবদেবীর প্রতীকরূপে যে ঐ ঐ চিহ্ন উংসব পতাকায় অঙ্কিত হয় নাই—তাহ আমরা বেশ বুঝিতে পারি ; কিন্তু সাম্প্রদায়িকতার এই বিষাক্ত আবহাওয়ায় কাহারও কাহারও মনে শিল্পসুষমা বোধ এককালে অবলুপ্ত হইয়াছে দেখিয়া বিস্ময় বোধ করিতেছি । আমাদের বিস্ময় আরও বৃদ্ধি পাইয়াছে—তরুণ শিক্ষাখিগণের এবম্বিধ মনোভাবের বিকাশ দেখিয়া । তরুণ বয়সে মমের যে প্রসার হয় অস্ত কালে তাহী সম্ভবপর নয়। ইসলামিয়৷ কলেজের পাঠার্থিগণের যিনি বা যাহার। বৰ্ত্তমান কিংব। অম্নরূপ ব্যাপারে ইস্লাম ধর্শ্বের অপহৃব ও হিন্দুত্ব প্রতিষ্ঠার যড়যন্ত্র উদঘাটিত করিতে প্রয়াসী হন, তাহদের শুভ বুদ্ধির প্রশংসা করিতে পারি না । সমাজের হিতাকাওক্ষায় (?) তাহার যথাতখ। ধশ্বের দোহাই দিয়া ভবিষ্যৎ বংশধরগণের মন ষে কত দূর সঙ্কীর্ণ ও পঙ্গু করিয়া ফেলিতেছেন তাই বুঝিবার সময় অনেক দিন হইল আসিয়াছে । কিন্তু এই প্রসঙ্গে ইতাদের নিকট শুধু নৈতিক দোহাই পাড়িয়াই নিরস্ত হুইতেছি না । মুসলমানের মসজিদ পদ্মচিহ্ন ধারণ করিয়াও অদ্যপি ইসলামধথের গরব ঘোষণা করিতেছে তাঙ্গর দুইটি পাথুরে প্রমাণ" উপস্থিত করিতেছি । পুরাতত্ত্ব অমুসন্ধিৎসু ব্যক্তি মাত্রষ্ট হয়ত অবগত আছেন পাঠান যুগের বাংলার স্বাধীন মুলতানী আমলের যে-সকল মসজিদ অদ্যাপি কালের ভ্ৰকুটি উপেক্ষা করিয়া নিজ অস্তিত্ব বৃক্ষ। কারযু আসিতেছে, তাঙ্গাদের স্থাপত্যরীতি ও গঠনসোঁপাধ্য পশয় বিদেশীয় যাবতীয় শিল্পাঙ্কুরাগগণের প্রশংস দৃষ্টি আকৰ্ষণ করিতে সমর্থ হইয়াছে । মুসলমান স্থাপত্যরীতিতে মসজিদগtএ পd পুষ্পাদিতে শোভিত করা দাধাবচ বলিয়৷ বিবেচিত হইত না । BB BBBBB BB BBBBB BBB BBBBB BggS D DDD দেশে পৃদু উৎকীর্ণ দেখিতে পাওয়া যায়। মসজিদের বহির্গাত্রেই যে এইরূপ পলু উৎকীর্ণ তহঁত তাঃ। নহে——মসজিদের অভ্যস্তরভাগেও মিষ্ট রাবের উপরিদেশ উৎকীর্ণ পদ্মে শোভিত করা হইত। খ্ৰীষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দীতে গৌড়েশ্বর BBBBB BBBB BB BBB ggBBB gtttB BBBBB মিহরাবেও এইরূপ পদ্ম উৎকীর্ণ আছে। পঙ্কুচিহ্নের সঠিত ইসলাম ধৰ্ম্মে পৌত্তলিকতা প্রবেশের আশঙ্কা থাকিলে স্বাধীন মুসলমান সুলতানগণ কখনই তাহার প্রচলন অমুমোদন করিতেন না । অথচ-বাংলার ইতিহাসে এই স্বাধীন সুলতানগণের যুগই সকল দিক্‌ ইহঁতেই বাঙালীর শ্বরণের যোগ্য, সমগ্র মুসলমান অধিকারের ভিতর এই সময়েই বাঙালীর প্রতিভা অপূৰ্ব্ব প্রেরণায় উন্থ দ্ব হইয়া শিল্প, স্থাপত্য সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এক অভিনব বেশে আত্মপ্রকাশ করে । আজ ইসলাম ধর্থের ক্ষুন্নত। আশঙ্কায় যাহার অস্থির হইয়ু পড়িয়াছেন, তাহার। কি এই স্বাধীন সুলতানগণের গৌরবময় কাহিনী জাতির তরুণ শিক্ষাধিগণকে বিস্তুত হইতে বলেন ? এই প্রসঙ্গে আমরা অঙ্কান্ত বহু মসজিদে পদ্ম উৎকীর্ণ থাকার বিবরণ উল্লেখ করিতে বিরত থাকিয় জনৈক ইসলামধৰ্ম্ম-প্রচারকের প্রতিষ্ঠিত (পদ্মচিহ্নশোভিত ) মসজিদের বিবরণ পাঠকগণের নিকট বিবৃত করিতেছি । বিগত ফাগুণ