| ঔপনিষদ ঋষিদের উপদেশে।
- =====---------
بنوا বস্তু দেখা ধা, অজ্ঞাত বন্ধ জ্ঞানগোচর হয়। সে-বস্তুর জ্ঞান বেদের সংহিতা পড়ে জানা ধায় না । তা পাওয়া ধায় সেই উপদেশ পিতার নিকট প্রার্থনা করাতে আরুণি বললেন, নকুণের উপাদান লৌহ, বলয়াদি অলঙ্কারের উপাদান স্বর্ণ, মৃন্ময় পাত্রের উপাদান মুত্তিকা। এই উপাদানগুলি জানলে যেমন লোহার, সোনার, ও মাটির তৈরি সব জিনিষই সাধারণ ভাবে জানা হয়, তেমনি বস্তু মাত্রেরই উপাদান একটি পরম বস্তু আছে, সেটিকে জানলে মূলে সব বস্তুকেই জানা হয়। সেই বস্তুকে জানাও তেমন কঠিন ব্যাপার নয়, কারণ সেই বস্তু আমাদের এভোকের ভিতরেই আত্মারূপে রয়েছেন। আরুণি শ্বেতকেতুকে নানা দৃষ্টাস্ত সহ নয় বার বললেন, “তত্বমূ আদি শ্বেতকেতো”—’হে শ্বেতকেতে, তুমি হচ্ছ সেই खूख f” প্রকৃত আত্মজ্ঞান না হ’লে সাক্ষাৎ ব্রহ্মজ্ঞান হয় না । প্রকৃত আত্মজ্ঞান আর আত্মার সহিত বিশ্বের সম্বন্ধ জ্ঞান হ'লে দেখা যায়, যাকে আমরাবিশ্ব বলি তাপ্রেকৃতপক্ষে একটি অনন্ত আত্মা, আর সেই আত্মাই আমাদের আত্মা, অন্তরাত্মা, পরম আত্মা । ঈশ্বর যে সমুদায় বস্তুর উপাদান কারণ, সমুদায় জগৎকার্য্যের কওঁ, তা ত কোনও ইতিহাস বা বৈজ্ঞানিক বিকাশক্রম দ্বারা জানা যায় না। তা জানা যায় কেবল আত্মার ভিতরে ঢুকলে। আত্মার ভিতরে ঢুকলে জার আত্মার সঙ্গে জগতের সম্বন্ধ বুঝবার চেষ্টা করলে দেখা যায় সমুদ্রায় বস্তুর অগ্রে অর্থাৎ মূলে, সমুদায় ঘটনার জগ্রে অর্থাৎ কারণক্ষপে, রয়েছেন একমাত্র অদ্বিতীয় সৎবন্ত । তিনি সৰ্ব্বদা বলছেন, “বহু স্যা প্রজার্ধে"-আমি বন্ধ হই, আমি প্রাণীরূপে উৎপন্ন शं ” বহু বস্তু ও প্রাণী, বস্তু ও প্রাণীর বহু পরিবর্তন, তার নিত্য অদ্বৈত স্বরূপের মধ্যেই নিহিত রয়েছে আর তার নিত্য স্বরূপ থেকে দেশ কালে প্রকাশিত হচ্ছে। আরুণি নিজ আত্মাতে পরমাত্মাকে দর্শন করেই,-ৰ্তার স্বষ্টির ইচ্ছ, স্বটির শক্তি, স্বাক্ট কাৰ্য্য প্রত্যক্ষ করেই, উীর বাণী আত্মকর্ণে শুনেই,প্তার উক্ত স্বষ্টি-প্ৰণালী উচ্চারণ বা লিপিবদ্ধ করে থাকৃবেন। পৃষ্টিতে আমরা তিনটি মূল ভাব দেখতে পাই— “ -
- . . প্রশ্বাসী
ురితీకి ( ১ ) প্রকাশ, (২) গতি বা পরিবর্ধন, (৩) এই দুয়ের অভাবাত্মক সত্তা। তেজে প্রকাশ বা জ্ঞান দেখতে পাই । অপ, অর্থাৎ জলে দেখতে পাই গতি আর অন্য বস্তু সংশ্লিষ্ট বা বিশ্লিষ্ট করবার শক্তি। স্কৃত্তিক থেকে অল্প উৎপন্ন হয়, তাই জারুশি মৃত্তিকাকে বলেছেন অল্প। স্মৃত্তিকায় প্রকাশ ও গতি নেই, বরঞ্চ স্মৃত্তিকা প্রকাশ ও গতিকে বাধা দেয়। co'o wros ( resistance ) wr: রূপ-গন্ধাদি গুণ দেখে আরুণি একে মৌলিক সৃষ্ট বস্তুর মধ্যে তৃতীয় বস্ত বলে গণ্য করে থাকৃবেন। তিনি বলছেন, সংবস্তু প্রথমে তেজ হলেন, দ্বিতীয়তঃ অপ, হলেন, তৃতীয়তঃ অন্ন অর্থাৎ মৃত্তিকা হলেন। তার পর এই তিন বস্তুকে ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণে মিশ্রিত করে তিনি অন্যাঙ্ক বস্তু হলেন । আরুণির মতে এই তিন বস্তু আর তাদের মিশ্রণ সবই দেবতা, সজ্ঞান সংবস্তুর সসীম প্রকাশ, জড়বস্তু বলে কোন বস্তু নেই। তার দার্শনিক মন্ত বিজ্ঞানবাদ ( Idealism ) । চিন্তাজগতে তার বিজ্ঞানবাদই বোধ হয় প্রথম । খ্ৰীষ্ট-জন্মের অন্ততঃ এক হাজার বছর আগে এই বিজ্ঞানবান্ধ আবির্ভূত হয়। তথন ধে অন্য কোন বিজ্ঞানবাদ ছিল, তার কোন প্রেমাণ পাওয়া যায় না। বর্তমান জ্ঞানের আলোকে আরুণির বিজ্ঞানবাদ অতিশয় স্কুল ( crude ) বলে বোধ হতে পারে। কিন্তু সজ্ঞান সংবস্তু ছাড়া কোন বস্তু থাকা অসম্ভব, এই নিত্য সত্য, এই অনাদি অপৌরুষেয় মন্ত্র, যে তিনি সাক্ষাৎ ভাবে দেখেছিলেন, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। অনাদি সংবস্তু যে অমর, অবিনাশ, আমরা যাকে মৃত্যু বলি, তার পরেও যে এই বস্তু থাকবে, এই সত্য তিনি স্পষ্টরূপেই শিক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু সংবস্তু যে সসীম ব্যক্তি বা বস্তুরূপে প্রকাশিত হন, সেই রূপগুলি যে অধিনাশ, তা আরুণি মানেন নি। স্বযুপ্তি অর্থাৎ স্বপ্রহীন নিদ্রায় আমরা ব্যক্তিৰ বোধ হারিয়ে সংবস্তুর সঙ্গে একীভূত হয়ে যাই, জাজ্যৎ অবস্থায় আবার ব্যক্তিত্ব বোধ ফিরিয়ে পাই । মরণাস্তে যে আমরা আমাদের ব্যক্তিত্ব বোধ ফিরিয়ে পাব, তা আরুণি শিক্ষা দেন নি। তার দর্শনের এই অসম্পূর্ণত দূর করবার জন্তে কোন কোন বিশিষ্ট ঋষি কি উপায় অবলম্বন করেছিলেন তা আমরা পরে দেখব । বাজসনেয় যাজ্ঞবল্ক্য আরণির শিষ্য ছিলেন, কিন্তু গুঞ্জ