পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬৯

জ্যৈষ্ঠ ৰিবিধ প্রসঙ্গ—পণ্ডিত জৰtহরলাল নেহরুর ভ্রহ্মদেশ দশন రిés ংগ্রেসের আদর্শ মুসলমান জনসাধারণকে জানাইবার চেষ্টা মি: মোহম্মদ আলি জল্লা কংগ্রেসের সঙ্গে একটা চুক্তি না চইলে নিজে কংগ্রেসের সহিত সহযোগিতা করিতে প্রস্তুত নহেন, অন্য মুসলমানরাও কংগ্রেসের সহিত সহযোগিতা করে, এরূপ চান না। তিনি প্রকারাস্তরে তাহার চৌদ্দ দফা দাবী কংগ্রেসকে মানাইয়া লইতে চান, অথবা সরকারী সাম্প্রদায়িক র্যাটোয়ারাটা মানাষ্টয়া লইতে চান । মৌলান। শোঁ কুৎআলি র্তাহার অনেকট সমর্থন করিয়াছেন । অধিকন্তু মৌলানা বলিয়াছেন, কংগ্রেস যদি মুসলমানদের সহযোগিতা চান, তাহা হইলে আসল মুসলমানদের সঙ্গে কথাবাৰ্ত্ত চালাইতে থাকুন, নতুবা হিতে বিপরীত হইবে। আসল মুসলমানের অর্থ অবত্য তিনি, মি: জিন্না ও উদ্বিধ অন্যান্য ব্যক্তি । অন্য দিকে, আ গা-অযোধ্যার মুসলমান কংগ্রেস নেতা মি: রাফিদীন কিডোয়াঈ, অযোধ্যার চীফ কোর্টের ভূতপূৰ্ব্ব প্রধান জঙ্গ সর হাসান, পঞ্জাবের অন্যতম মুসলমান অধ্যাপক আবদুল মজাল থান প্রভৃতি মিঃ জিন্নার মত সমূহের ৭ল্পাঞ্জ'র লেতী থগুন করিয়াছেন । কংগ্রেস মুসলমান জনসাধারণের নিকট নিজের মত ও আদর্শ প্রচার কfরয় তাহাদিগকে কংগ্রেসের দলভুক্ত কfরতে গণ । মুসলমানরা কংগ্রেসওয়ালা হইলে তাঙ্গদের কোনই ক্ষতি নাই । কংগ্রেসের পঞ্চাশ বৎসরের ইতিহাসে মুসলমান বা অন্য কোন অহিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে অনিষ্টকর কোন কংগ্রেসী প্রস্তাবের বা কায্যের বিষয় আমরা অবগত নহি । বরং কংগ্রেস মুসলমানদিগকে সন্তুষ্ট করিবার নিমিত্ত সাম্প্রদায়িক ব'টোয়ার সম্বন্ধে এক পা “অ-গ্ৰহণ” নামক নৌকায় রাখিয়ছিলেন, এবং আর একটা পা রাখিয়াছিলেন “অ-বর্জন” নামক নৌকার উপর। মুসলমানদের প্রতি কংগ্রেসের মনোভাব ও আচরণ এরূপ, যে, হিন্দু মহাসভার কোন কোন নেত কংগ্রেসকে ‘ম্যান্টি-হিন্দু বা হিন্দুবিরোধী বলিয়াছেন। সকল ধৰ্ম্মসম্প্রদায়েব লোকই নিৰ্ভয়ে অনায়াসে কংগ্রেসের সভ্য হইতে পারেন । আমাদের আশঙ্কা অন্ত রকমের । করাচী কংগ্রেসে ধৰ্ম্ম ও শ্রেণী নিবিশেষে সকল ভারতীয়ের যে-সকল ভিত্তিগড় wford (“fundamental rights”) os হইয়াছে, তাহা ছোট বড় সবল সম্প্রদায়ের লোকদের পক্ষে যথেষ্ট। তাহার উপর কংগ্রেস যদি এক বা একাধিক সম্প্রদায়কে বিশেষ কোন রকম প্রতিশ্রুতি দেন, তাহা হইলে কংগ্রেস গণতান্ত্রিক না হইয়া সাম্প্রদায়িক হহয়। পড়িবেন । ইডিপূৰ্ব্বেই সাম্প্রদায়িক বাটােয়ারার অগ্রহণ-আবর্জনাতু কংগ্রেসে সাম্প্রদায়িকতার ছোয়াচ লাগিয়াছে। সেক্ট কারণেও কংগ্রেসকে বিশেষ সাবধান থাকিতে হইবে যাহাতে মুসলমানদিগকে দলভুক্ত করিবার আত্যস্তিক আগ্রহে গণতান্ত্রিক আদর্শ হইতে কংগ্রেসওয়ালারা বিন্দুমাত্রও বিচ্যত ল৷ তল । কংগ্রেসের অবাধ্যতার শাস্তি দিবার হিড়িক কংগ্রেসের নিয়ম বা নির্দেশ না মানিয় অবাধত করার ওজুঙ্গতে আগে বাংলা দেশের কয়েক জনের শাস্তি হঠয়াছে ; এ বিষয়ে আমাদের ব্যক্তিগত কোন ভয় না থাকায় এবং আমরা বঙ্গের কংগ্রেস দলাদলির কোন পক্ষেরহ সমগ্ৰ উfক মা পড়ায়, কোন পক্ষ অবলম্বন না করিয়া বলিতে পারি, শুধু শাস্তি দ্বারা বঙ্গে কংগ্রেস শক্তিশালী হঠতে পাfরবেন না, মহৎ আদর্শ অগুসারে নি:স্বাথ ভাবে মহৎ কাজ বা ভালী কংগ্রেসওয়ালার। কুরিন্থে পারিলে বঙ্গে কংগ্রেস শক্তিশালী হইবে । দণ্ডনীতির অবশু আমরা সম্প্রতি আরও কয়েক জনের হইয়াড়ে । প্রয়োগ কোন স্থলেই করা উচিত নয়, ইহ; સfન ની পণ্ডিত জবাহরলাল নেহরুর ব্রহ্মদেশ দর্শন ব্ৰহ্মদেশে পণ্ডিত জবাহরলাল নেহরুর সমুচিত সম্বৰ্দ্ধনা হইতেছে। ধৰ্ম্ম ও সংস্কৃতি বিষয়ে পুরাকালে ভারতবর্ষের সহিত ব্ৰহ্মদেশের ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল । মধ্যে সেই যোগস্থয় ছিন্ন হয়েছিল ; ব্রিটিশ রাজত্বকালে, ব্রিটিশ জাতির অনভিপ্লেত ভাবে, তাহ আবার স্থাপিত হয় । ত্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী ও বণিকদের সুবিধার নিমিত্ত ব্রহ্মদেশকে ভারতবর্ষ হইতে পৃথক করা সত্ত্বেও সেই সংস্কৃতির যোগ রক্ষা করিতে হইবে । ব্ৰহ্মদেশনিবাসী ভারতীয়দিগকেই Վճյ2{ս: